Thank you for trying Sticky AMP!!

ন্যায্য দাম না পেয়ে ৯০০ চামড়া মাটিচাপা

ন্যায্য দাম না পেয়ে কোরবানির পশুর ৯০০টি চামড়া মাটিতে পুঁতে ফেলা হয়েছে। জগন্নাথপুর, সুনামগঞ্জ, ১৩ আগস্ট। ছবি: সংগৃহীত

ন্যায্য দাম না পেয়ে প্রতিবাদ জানিয়ে কোরবানির পশুর ৯০০টি চামড়া মাটিতে পুঁতে ফেলা হয়েছে। মঙ্গলবার বিকেলে সুনামগঞ্জের জগন্নাথপুর উপজেলার সৈয়দপুর শাহারপাড়া ইউনিয়নের সৈয়দপুর গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।

স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, প্রতি বছরের মতো এবারও সৈয়দপুর হোসাইনিয়া হাফিজিয়া আরাবিয়া দারুল হাদিস মাদ্রাসার পক্ষে থেকে বিভিন্ন গ্রাম থেকে কোরবানির পশুর চামড়া সংগ্রহ করা হয়। মাদ্রাসা কর্তৃপক্ষ চামড়া বিক্রির জন্য দুই দিন ধরে চেষ্টা করেও ন্যায্য দামে তা বিক্রি করতে পারেনি। ফলে ক্ষুব্ধ হয়ে চামড়াগুলো মাটি চাপা দেয় তারা।

ওই মাদ্রাসার মুহতামিম সৈয়দ ফখরুল ইসলাম বলেন, ‘মাদ্রাসার উন্নয়নের জন্য এবারও আমাদের মাদ্রাসার পক্ষ থেকে বাড়ি বাড়ি গিয়ে কোরবানি দাতাদের কাছ থেকে কোরবানির পশুর ৯০০ চামড়া সংগ্রহ করা হয়। এর মধ্যে গরুর চামড়া রয়েছে ৮০০টি এবং ছাগলের চামড়া ১০০টি। এসব চামড়ার ন্যায্য দাম না পেয়ে বাধ্য হয়ে চামড়াগুলো মাটি চাপা দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিই।’ তিনি অভিযোগ করেন, ‘চামড়াগুলো সংগ্রহ ও চামড়ায় লবণ ব্যবহারে জন্য প্রায় ৫০ হাজার টাকা ব্যয় হয়েছে।’

সৈয়দপুর শাহারপাড়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান তৈয়ব মিয়া বলেন, চামড়ার দামে এমন পতনে ক্ষুব্ধ হয়ে মাদ্রাসা কর্তৃপক্ষ মাদ্রাসার উন্নয়নের জন্য সংগৃহীত চামড়াগুলো মাটি চাপা দিয়ে প্রতিবাদ জানিয়েছে।

রাত ১০টার দিকে জগন্নাথপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মাহফুজুল আলম প্রথম আলোকে বলেন, স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যানের সঙ্গে কথা বলে নয় শ চামড়া মাটি চাপা দেওয়ার বিষয়টি তিনি জেনেছেন। তিনি বলেন, ‘মাদ্রাসা কর্তৃপক্ষ আর্থিকভাবে এখন স্বাবলম্বী। ফলে সরকারকে বেকায়দায় ফেলার জন্য তারা এ ধরনের কাজ করেছে।’

আরও পড়ুন: