
কোম্পানির পুনর্গঠনের অংশ হিসেবে যুক্তরাষ্ট্রের ফাস্ট ফুড কোম্পানি ম্যাকডোনাল্ডস কিছু কর্মীর বেতন কমানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে। তবে একই সঙ্গে তারা কিছু দোকান বন্ধ করে দিয়ে কর্মী ছাঁটাইও করবে।
ওয়াল স্ট্রিট জার্নালের প্রতিবেদনের সূত্রে বার্তা সংস্থা রয়টার্স এ সংবাদ জানিয়েছে। ওই খবরে বলা হয়েছে, সব মিলিয়ে কয়েক শ কর্মী ছাঁটাই হতে পারে।
তবে অনেক ক্ষেত্রে কর্মীদের বেতন কমিয়ে চাকরিতে বহাল থাকার সুযোগ দিচ্ছে ম্যাকডোনাল্ডস। ওই সব কর্মীদের পদবি পরিবর্তন হবে এবং তাদের বোনাস ও অন্যান্য সুবিধা কমবে। বিশ্বের প্রায় সবখানেই কর্মী ছাঁটাই ও সুবিধা কমানো হবে বলে জানিয়েছে রয়টার্স। তবে ম্যাকডোনাল্ডস কর্তৃপক্ষ এ বিষয়ে মন্তব্য করতে রাজি হয়নি।
রেস্তোরাঁসহ ম্যাকডোনাল্ডসের করপোরেট কার্যালয়ে বিশ্বব্যাপী দেড় লাখ কর্মী কাজ করেন। বছরের শুরুর দিকে কোম্পানিটি জানিয়েছিল, করপোরেট পর্যায়ে এত কর্মী প্রয়োজন আছে কি না, সেটা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। এ ছাড়া কোম্পানির কিছু উদ্যোগের গুরুত্ব কমানো হচ্ছে।
এদিকে, কর্মী ছাঁটাই করবে মার্কিন খুচরা বিক্রেতা কোম্পানি ওয়ালমার্টও। গত সপ্তাহে তারা দুই হাজারের বেশি কর্মী ছাঁটাইয়ের ঘোষণা দেয়। সিএনএনের সংবাদে বলা হয়, প্রতিষ্ঠানটি যুক্তরাষ্ট্রের পাঁচটি গুদাম থেকে এসব কর্মী ছাঁটাই করবে।
বেসরকারি কোম্পানি হিসেবে বিশ্বে সবচেয়ে বেশি মানুষের কর্মসংস্থান সৃষ্টি করেছে ওয়ালমার্ট। ৬০ বছর আগে প্রতিষ্ঠিত হওয়া এই কোম্পানিতে কাজ করেন ২৩ লাখ কর্মী।
করোনাভাইরাস মহামারির রেশ কাটিয়ে বিশ্ব অর্থনীতি যখন শুধুই ঘুরে দাঁড়াতে শুরু করেছিল, তখনই শুরু হয় রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ। যার প্রভাবে বিশ্ব অর্থনীতির গতি কমেছে।
আন্তর্জাতিক মুদ্রা ভান্ডারের (আইএমএফ) তথ্যানুসারে, গত বছরে বিশ্বের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির হার ছিল ৩ দশমিক ৪। চলতি বছরে তা ৩ শতাংশের নিচে নামতে পারে বলে জানিয়েছেন আইএমএফের প্রধান ক্রিস্টালিনা জর্জিয়েভা।
মহামারি-পরবর্তী সময়ে বিশ্বজুড়ে মূল্যস্ফীতি বড় সমস্যা হিসেবে দেখা দিয়েছে বলে জানান ক্রিস্টালিনা জর্জিয়েভা। তিনি বলেন, ১৯৯০ সালের পর চলতি বছরে প্রবৃদ্ধি সবচেয়ে কম হতে পারে। এ কারণে বিশ্বজুড়ে বেকারত্ব, ক্ষুধা ও দারিদ্র্য বৃদ্ধির আশঙ্কা রয়েছে বলেও জানান তিনি।
বিশেষ করে উচ্চ মূল্যস্ফীতি মোকাবিলায় বিশ্বের বিভিন্ন দেশ যেভাবে নীতি সুদহার বৃদ্ধি করছে, তাতে প্রবৃদ্ধির গতি কমে গেছে। চাহিদা কমেছে মানুষের। এ বাস্তবতায় বিশ্বের বিভিন্ন স্থানে কর্মী ছাঁটাই হচ্ছে। সবচেয়ে বেশি হচ্ছে প্রযুক্তি খাতে।