সংশোধিত শ্রম আইন অধ্যাদেশে শ্রমিকদের কালো তালিকাভুক্ত করার বিষয়টি নিষিদ্ধ করা হয়েছে। কিন্তু ২৬ ধারায় শ্রমিকের চাকরিচ্যুতির বিষয়টি বাদ দেওয়া হয়নি। অধ্যাদেশে মাতৃত্বকালীন ছুটির সময় কয়েক দিন বাড়ানো হয়েছে। তবে সরকারি কারখানা অথবা সংস্থায় মাতৃত্বকালীন ছুটির সমপরিমাণ ছুটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানেও দেওয়ার দাবি ছিল আমাদের। আমরা মনে করি, মাতৃত্বকালীন ছুটির বিষয়ে কোনো বৈষম্য থাকা উচিত না। দেশের রপ্তানি প্রক্রিয়াকরণ অঞ্চল (ইপিজেড) ও অর্থনৈতিক অঞ্চলের জন্য ভিন্ন ভিন্ন শ্রম আইন রয়েছে। আমাদের দাবি ছিল, দেশের সবখানে একই শ্রম আইন থাকবে; সেটি হয়নি। নতুন অধ্যাদেশ অনুযায়ী, একটি প্রতিষ্ঠানে সর্বোচ্চ পাঁচটি ট্রেড ইউনিয়ন করা যাবে, যা এত দিন তিনটি ছিল। এটি ইতিবাচক দিক। এতে অন্যান্য খাতের মতো চামড়াশিল্প খাতেও শ্রমিকেরা আরও বেশি সংগঠিত হওয়ার সুযোগ পাবেন।
এসব দেখে প্রাথমিকভাবে মনে হয়েছে সংশোধিত শ্রম আইন অধ্যাদেশে শ্রমিক সংগঠনগুলোর দাবিদাওয়ার কিছু কিছু বিষয় এসেছে, আবার কিছু কিছু বিষয় আসেনি। আমরা সব শ্রমিক সংগঠন আলাপ করে সর্বসম্মতভাবে একটা প্রতিক্রিয়া দেব। তবে আইন, বিধি যা-ই হোক, সেগুলোর সঠিক বাস্তবায়নই সবচেয়ে বড় কথা। বাংলাদেশের শ্রম আইন বলেন, বিধিমালা বলেন—এসব যে খুব খারাপ পর্যায়ে আছে, এমন না। কিন্তু আমরা সব সময় লক্ষ করি, এসব আইন ও বিধির প্রয়োগ বা বাস্তবায়ন ঠিকভাবে হয় না। অতীতেও বিভিন্ন সময় বহুবার শ্রম আইন সংশোধন হয়েছে; বিধি পরিবর্তন হয়েছে। কিন্তু বাস্তবায়নের দুর্বলতার ক্ষেত্রে আমরা খুব বেশি পার্থক্য দেখিনি।
আবুল কালাম আজাদ, সভাপতি, ট্যানারি ওয়ার্কার্স ইউনিয়ন