নিজেদেরও প্রস্তুত করতে হবে

কোভিড-১৯ এর ধাক্কায় আমাদের অনেক ক্রয়াদেশ বাতিল হয়ে গিয়েছিল গত বছর। পরিসংখ্যান অনুযায়ী বললে ২২ শতাংশ ক্রয়াদেশ বাতিল হয়েছিল। বিদায়ী ২০২০-২১ অর্থবছরের প্রথম ছয় মাসে নেতিবাচক প্রবণতা চলতে থাকে। শেষ ছয় মাসে যখন মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ও ইউরোপের দেশগুলো টিকা কার্যক্রমে সফল হলো, তখন ক্রয়াদেশগুলো নতুন করে আগের চেয়ে বেশি হারে আসতে শুরু করেছে। প্রবৃদ্ধির অন্যতম কারণ এটাই। দেখা গেল, এবার মোট রপ্তানি আয়ে পোশাকের একক অবদান কমে গেছে, বেড়ে গেছে বহুমুখীকরণ পণ্যের অবদান। এর ধারাবাহিকতা ধরে রাখতে হবে।

এ জন্য তিনটি বিষয়ে গুরুত্ব দিতে হবে। প্রথমত কঠিন বর্জ্য ব্যবস্থাপনা ও বর্জ্য শোধনাগার (সিইটিপি) কার্যকরভাবে চালু করা জরুরি। প্রয়োজনে সিইটিপির আধুনিকায়ন করতে হবে। এটা হলো পরিবেশগত দিক। দ্বিতীয়ত সামাজিক কমপ্লায়েন্স, যা চামড়া খাতে এক রকম আছে। অর্থাৎ চামড়া খাতেই শতভাগ ট্রেড ইউনিয়ন আছে। তৃতীয়ত হচ্ছে বিশ্ববাজারের সঙ্গে মিলিয়ে মূল্য প্রতিযোগিতামূলক হওয়া।

পরিবেশদূষণ রোধে ঢাকার হাজারীবাগ থেকে সাভারের চামড়াশিল্প নগরীতে ট্যানারি স্থানান্তরিত হয়েছে ঠিকই, কিন্তু আন্তর্জাতিক মান অনুযায়ী এখনো তা গ্রহণযোগ্য নয়। বিশ্ববাজারে চামড়াজাত পণ্য বা জুতা রপ্তানিতে এখনো এটি একটি বড় চ্যালেঞ্জ।

আমার কাছে মনে হয়, তিনটি বিষয় সামনে নিয়ে এগোতে পারলে ২০২৫ সালের মধ্যে ৫০০ কোটি ডলার রপ্তানি আয় করা খুবই সম্ভব। এ জন্য দক্ষতা বৃদ্ধিও জরুরি। অস্বীকার করার জো নেই, আমরা দক্ষতা কিছুটা হারিয়ে ফেলেছি। নীতি সহায়তা যেমন চাই, ভালো অবস্থান তৈরি করতে হলে সমানভাবে নিজেদেরও প্রস্তুত করতে হবে।