
দেশে আরও উৎপাদনশীল কর্মশক্তি গঠন, অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি জোরদার ও জনকল্যাণ নিশ্চিত করতে শিক্ষা ও কর্মসংস্থানের মধ্যকার ব্যবধান ঘোচাতে হবে। এ জন্য সম্মিলিত পদক্ষেপ নেওয়া দরকার। আজ বুধবার ‘শ্রেণিকক্ষ থেকে ক্যারিয়ার: বাংলাদেশের ভবিষ্যৎকে সমৃদ্ধিকরণ’ শীর্ষক এক গোলটেবিল আলোচনায় বক্তারা এ কথা বলেন। সাজেদা ফাউন্ডেশন রাজধানীর একটি হোটেলে এ আলোচনার আয়োজন করে। প্রতিষ্ঠানটি এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানিয়েছে।
অনুষ্ঠানে সাজেদা ফাউন্ডেশনের চেয়ারপারসন ফারুক সোবহান বলেন, ‘বাংলাদেশ একসময় এশিয়ার বেশ কিছু দেশের চেয়ে এগিয়ে ছিল, কিন্তু এখন পিছিয়ে পড়েছে। তাদের অগ্রগতির মূল কারণ মানসম্মত শিক্ষা।’ তিনি শিক্ষার মানোন্নয়নে একটি সামগ্রিক দৃষ্টিভঙ্গি গ্রহণের আহ্বান জানান।
প্রতিষ্ঠানটির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) জাহিদা ফিজ্জা কবির বলেন, বিশ্বের অন্যতম তরুণ জনগোষ্ঠী থাকলেও শিক্ষা যদি বাস্তবতার সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ না হয়, তাহলে জনমিতিক লভ্যাংশ বোঝায় পরিণত হতে পারে।
গোলটেবিল আলোচনায় ভার্চ্যুয়ালি যুক্ত হয়ে খান একাডেমির প্রতিষ্ঠাতা সাল খান বলেন, প্রযুক্তি শিক্ষা গণতন্ত্রীকরণের নতুন দিগন্ত খুলে দিতে পারে। যখন শিক্ষার্থীরা মানসম্মত শিক্ষায় প্রবেশের সুযোগ পায় এবং শিক্ষকেরা উদ্ভাবনী পদ্ধতিতে শেখানোর সুযোগ পান, তখন শিক্ষাক্ষেত্রে প্রকৃত পরিবর্তন ঘটে।
সাজেদা ফাউন্ডেশনের শিক্ষা বিভাগের স্ট্র্যাটেজি লিড আজওয়া নাঈম বলেন, শিক্ষকেরা এখন তথ্যভিত্তিক পদ্ধতিতে শিক্ষাদান করছেন, যা শিক্ষার্থীর শেখার মানে ইতিবাচক প্রভাব ফেলছে।
বাংলাদেশের শিক্ষাব্যবস্থাকে পুনর্গঠনের আহ্বান জানিয়ে বক্তারা বলেন, তরুণ প্রজন্ম যাতে শুধু জ্ঞান নিয়েই নয়, বরং দক্ষতা, সৃজনশীলতা ও আত্মবিশ্বাস নিয়ে কর্মজগতে প্রবেশ করতে পারে।
অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য দেন ক্যাম্পেইন ফর পপুলার এডুকেশনের নির্বাহী পরিচালক এবং তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সাবেক উপদেষ্টা রাশেদা কে চৌধূরী, ব্যাংক এশিয়ার ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) সোহেল আর কে হুসেইন, গ্রিন ডেলটা ইনস্যুরেন্সের এমডি ফারজানা চৌধুরী, প্রাইম ব্যাংকের উপব্যবস্থাপনা পরিচালক (ডিএমডি) নাজিম চৌধুরী, আইডিএলসি ফাইন্যান্সের অতিরিক্ত এমডি আসিফ সাদ বিন শামস, কমার্শিয়াল ব্যাংকের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) মাজিথ মিওয়ানেজ, ইউরোপীয় ইউনিয়নের (ইইউ) প্রোগ্রাম ম্যানেজার নাদিয়া রশিদ, খান একাডেমির ব্যবস্থাপক এমিলি গোল্ডম্যান, কাজী ফার্মসের পরিচালক জাহিন হাসান, নেসলের মানবসম্পদ পরিচালক হোসনে আরা লোমা, সরকারের এলএআইএসই প্রোগ্রামের প্রকল্প পরিচালক শিপন কুমার দাস, আগামী এডুটেকের প্রোগ্রাম ডিরেক্টর দিলরুবা চৌধুরী, আমেরিকান চেম্বার অব কমার্স ইন বাংলাদেশের (অ্যামচেম) নির্বাহী পরিচালক চৌধুরী মোহাম্মদ রিয়াদ এবং সাজিদা ফাউন্ডেশনের উপদেষ্টা শেহজাদ মুনিম ও ডেপুটি সিইও মো. ফজলুল হক।