চট্টগ্রাম চেম্বার

হাইকোর্টে রিট করে প্রার্থিতা ফিরে পেলেন দুই প্রার্থী

চট্টগ্রাম চেম্বারের নির্বাচনে দুজনের প্রার্থিতা বৈধ ঘোষণা করে তাঁদের নামে ব্যালট নম্বর প্রদানের নির্দেশ দিয়েছেন আদালত। তাঁরা হলেন রাইজিং গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) আমজাদ হোসেন চৌধুরী এবং জার ট্রেডের স্বত্বাধিকারী মো. জাহিদুল হাসান। গত মঙ্গলবার শুনানি শেষে হাইকোর্টের বিচারপতি খিজির আহমেদ চৌধুরী ও বিচারপতি সৈয়দ হাসান জোবায়েরের সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চ এ আদেশ দেন। রিট দায়েরকারী আইনজীবী কে এম সাইফুল ইসলাম গতকাল বুধবার প্রথম আলোকে এ তথ্য নিশ্চিত করেন।

আগামী ১ নভেম্বর চট্টগ্রাম চেম্বারের নির্বাচন অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা রয়েছে। নির্বাচনে আমজাদ হোসেন চৌধুরী সাধারণ শ্রেণিতে মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছিলেন। এ শ্রেণি থেকে ১২ জন পরিচালক নির্বাচিত হবেন। আর মো. জাহিদুল হাসান সহযোগী শ্রেণি থেকে নির্বাচন করছেন। এ শ্রেণি থেকে পরিচালক নির্বাচিত হবেন ৬ জন।

চেম্বার সূত্র জানায়, সিআইবি প্রতিবেদন ইতিবাচক নয় এবং পুলিশ ক্লিয়ারেন্স সনদের মূল কপি না থাকায় গত ২৪ সেপ্টেম্বর আমজাদ হোসেন ও জাহিদুল হাসানের প্রার্থিতা বাতিল করা করা হয়। নির্বাচনী আপিল বোর্ড ৩০ সেপ্টেম্বর তাঁদের আপিল নামঞ্জুর করে। এর ফলে চূড়ান্ত প্রার্থী তালিকায় তাঁদের নাম নেই। এরপর প্রার্থিতা ফিরে পেতে আদালতে রিট পিটিশন দায়ের করেন দুই প্রার্থী।

রিট দায়েরকারী আইনজীবী কে এম সাইফুল ইসলাম বলেন, চট্টগ্রাম চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রিজের নির্বাচন পরিচালনা বোর্ড এই দুজনের প্রার্থিতা বাতিল করেছিল। সে জন্য হাইকোর্টে রিট করা হয়েছে। শুনানি শেষে তাঁদের প্রার্থিতা ফিরিয়ে দেওয়ার আদেশ প্রদান করেছেন আদালত। পাশাপাশি নির্বাচনের জন্য ব্যালট নম্বরও দিতে বলা হয়েছে।

আমজাদ হোসেন চৌধুরী ও মো. জাহিদুল হাসান প্রথম আলোকে জানান, তাঁরা আদালতের রায়সহ চেম্বারে নির্বাচনী বোর্ডের কাছে প্রতিনিধি পাঠিয়েছেন। চেম্বারের নির্বাচনী বোর্ডের চেয়ারম্যান মনোয়ারা বেগম বলেন, ‘নথিপত্র জমা হলে আমরা সেগুলো দেখব। যেহেতু আদালতের রায়, সে অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’

৮ অক্টোবর চেম্বারের নির্বাচনের চূড়ান্ত প্রার্থী তালিকা প্রকাশ করে নির্বাচন বোর্ড। সেদিন বেলা একটা পর্যন্ত প্রার্থিতা প্রত্যাহারের সুযোগ ছিল। চূড়ান্ত তালিকা অনুযায়ী, সাধারণ শ্রেণিতে মোট প্রার্থী ৩৬ জন। সহযোগী শ্রেণিতে মোট প্রার্থী ১৪ জন। এ ছাড়া ট্রেড ও টাউন অ্যাসোসিয়েশন শ্রেণিতে ৩ জন করে প্রার্থী রয়েছেন। এ বছর চেম্বারের মোট ভোটার ৬ হাজার ৭৮০ জন।

চট্টগ্রাম চেম্বারে সর্বশেষ ভোট হয়েছিল ২০১৩ সালে। এরপর সব কমিটি এসেছে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায়। ব্যবসায়ীদের ভোটে চট্টগ্রাম চেম্বারে ১২ জন সাধারণ শ্রেণিতে, ৬ জন সহযোগী শ্রেণিতে এবং টাউন অ্যাসোসিয়েশন ও ট্রেড গ্রুপ থেকে ৩ জন করে ৬ জন পরিচালক নির্বাচিত হয়ে থাকেন। এরপর নবনির্বাচিত পরিচালকেরা নিজেদের ভোটে একজন সভাপতি ও দুজন সহসভাপতি নির্বাচিত করেন।