বাণিজ্য উপদেষ্টা শেখ বশিরউদ্দীনকে আহ্বায়ক করে ১৭ সদস্যের ‘কোরবানি–সম্পর্কিত বিষয়াদির সুষ্ঠু ব্যবস্থাপনা নিশ্চিতকরণ কমিটি’ করেছে সরকার। আজ মঙ্গলবার মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ এ ব্যাপারে প্রজ্ঞাপন জারি করেছে।
প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস ৪ মে রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় আসন্ন পবিত্র ঈদুল আজহার সময় কোরবানির পশুর চামড়ার ন্যায্যমূল্য নিশ্চিতকরণ, পশু আনা–নেওয়া, বর্জ্য ব্যবস্থাপনাসহ সার্বিক বিষয়ে সুষ্ঠু ব্যবস্থাপনা নিশ্চিত করতে একটি উচ্চপর্যায়ের কমিটি গঠনের নির্দেশ দিয়েছিলেন। এ নির্দেশনার ৯ দিনের মাথায় আজ এ কমিটি গঠিত হলো।
ওই বৈঠক শেষে মুহাম্মদ ইউনূস বলেছিলেন, ‘দীর্ঘদিন ধরেই আমরা দেখছি মানুষ কোরবানির পশুর চামড়ার ন্যায্যমূল্য পাওয়া থেকে বঞ্চিত হচ্ছে। এর ফলে সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে সমাজের হতদরিদ্র মানুষেরা, যারা এ চামড়া বিক্রির টাকার ওপর অনেকাংশে নির্ভরশীল। এই অব্যবস্থাপনার অবসান হওয়া প্রয়োজন।’
কমিটিতে ৯ জন উপদেষ্টা থাকবেন। তাঁরা হচ্ছেন স্বরাষ্ট্র; শিল্প; সড়ক পরিবহন ও সেতু; পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন; স্থানীয় সরকার, মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ; ধর্মবিষয়ক এবং তথ্য ও সম্প্রচার উপদেষ্টা।
এ ছাড়া থাকবেন প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী (স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়), বাংলাদেশ বিনিয়োগ উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (বিডা) প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা, প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব, বাণিজ্যসচিব, শিল্পসচিব, এনজিও প্রতিনিধি, ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধি এবং সরকার মনোনীত বেসরকারি প্রতিনিধি। সদস্যসচিব থাকবেন বাণিজ্যসচিব।
কমিটির কার্যপরিধি হচ্ছে
সঠিকভাবে চামড়া সংগ্রহ ও সংরক্ষণ এবং এ জন্য পর্যাপ্ত লবণের সরবরাহ নিশ্চিত করার প্রক্রিয়া নির্ধারণ করা; চামড়ার উপযুক্ত মূল্য নিশ্চিত করা এবং কোরবানির সঙ্গে সম্পর্কিত বিষয়াদির সুষ্ঠু ও দক্ষ ব্যবস্থাপনা নিশ্চিত করা; চামড়ার বিক্রয়লব্ধ অর্থপ্রাপ্তির ক্ষেত্রে ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানগুলোর স্বার্থ সুরক্ষার লক্ষ্যে প্রয়োজনীয় নির্দেশনা দেওয়া; কোরবানির হাট, পশু পরিবহন এবং পরিবহনের সময় নিষ্ঠুরতা প্রতিরোধের বিষয়ে নির্দেশনা জারি এবং সাভারের চামড়াশিল্প নগরীসহ সারা দেশে দ্রুত ও যথাযথভাবে বর্জ্য ব্যবস্থাপনার জন্য কর্মপরিকল্পনা প্রণয়ন করা।
প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছে, প্রয়োজন অনুসারে এ কমিটি সভা ডাকবে। আর প্রয়োজনে নতুন সদস্য নিতে পারবে (কো-অপ্ট)।