সবজি
সবজি

সবজির দাম চড়া, স্বস্তির খবর নেই

শীতের সবজি বাজারে আসতে এখনো ২০–৩০ দিন সময় লাগতে পারে। তবে সাধারণত এই সময়ে বাজারে শীতের আগাম কিছু সবজি আসে। ফলে অন্যান্য সবজির দাম কমতির দিকে থাকে। তবে এ বছর শীতের আগাম সবজি এখনো সেভাবে বাজারে আসেনি। ফলে আগামী দু–তিন সপ্তাহে সবজির দাম কমার কোনো ইঙ্গিত দেখা যাচ্ছে না বলে জানিয়েছেন বিক্রেতারা।

বাজার ঘুরে দেখা গেছে, বর্তমানে বেশির ভাগ সবজি প্রতি কেজি ৬০ থেকে ৮০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। কোনো কোনো সবজির দাম আরও বেশি। বিক্রেতারা বলছেন, মোটামুটি দুই মাসের বেশি সময় ধরে চড়া দামে সবজি বিক্রি হচ্ছে। শীতের সবজির সরবরাহ শুরু হলে দাম কমতে পারে।

গতকাল বৃহস্পতিবার রাজধানীর মহাখালী কাঁচাবাজার, মোহাম্মদপুর কৃষি মার্কেট, টাউন হল বাজার ও কারওয়ান বাজার ঘুরে এবং বিক্রেতাদের সঙ্গে কথা বলে এসব তথ্য জানা গেছে।

এ বছর শীতের আগাম সবজি এখনো সেভাবে বাজারে আসেনি। ফলে আগামী দু–তিন সপ্তাহে সবজির দাম কমার কোনো ইঙ্গিত দেখা যাচ্ছে না বলে জানিয়েছেন বিক্রেতারা।

বাজারে এখন প্রতি কেজি কাঁচা মরিচ বিক্রি হচ্ছে ২০০ টাকার আশপাশে। কিছুদিন আগে দাম আরও বেশি ছিল। বর্তমানে বাজারে দেশীয় মরিচ নেই বললেই চলে। যা পাওয়া যায়, সেগুলো ভারত থেকে আমদানি করা। ফলে কোনো কারণে বর্ডার (আমদানি) বন্ধ থাকলে কিংবা টানা বৃষ্টি হলেই মরিচের দাম বেড়ে যায়। মাসখানেক আগে এ কারণে খুচরায় এক কেজি মরিচের দাম ৪০০ টাকা পর্যন্ত উঠেছিল। পরে দাম কমে আসে।

ধরন ও মানভেদে এখন প্রতি কেজি বেগুন বিক্রি হচ্ছে ১০০ থেকে ১৮০ টাকায়। পাড়া–মহল্লায় দাম আরও কিছুটা বেশি। বেগুনের এমন চড়া দাম দুই মাসের বেশি সময় ধরে। টমেটোর দামও বেশি। এখন প্রতি কেজি টমেটো ১২০ থেকে ১৪০ টাকায় বিক্রি হয়। এসব টমেটো ভারত থেকে আমদানি করা। বিক্রেতারা জানান, শীতে দেশীয় টমেটো আসার আগপর্যন্ত দাম এমনই থাকবে।

অন্যান্য সবজির মধ্যে করলা, কাঁকরোল, বরবটি, ঢ্যাঁড়স, লতি প্রভৃতি সবজি ৮০ থেকে ১০০ টাকার মধ্যে এবং পটোল, ঝিঙে, চিচিঙ্গা, ধুন্দুল প্রভৃতি সবজি প্রতি কেজি ৬০ থেকে ৮০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। তবে সবজির মান ও বাজারভেদে দামে কিছুটা ভিন্নতা হতে পারে।

এদিকে বাজারে দীর্ঘদিন কম দামে আলু বিক্রি হচ্ছে। এ সপ্তাহে সেই দাম কেজিতে আরও ২ টাকা কমেছে। তাতে আলুর কেজি হয়েছে ২০ টাকা। আর পেঁয়াজের কেজি আগের মতোই ৭৫-৮০ টাকা।

বাজার ঘুরে দেখা গেছে, বর্তমানে শিম, ফুলকপি, লালশাকের মতো কিছু শীত মৌসুমের আগাম শাকসবজি বাজারে আসছে। যদিও এসব সবজির দাম এখন বেশি। যেমন প্রতি কেজি শিম এখন ১৪০–১৬০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। শীতের মধ্যে শিমের দাম ৪০–৫০ টাকায় নেমে আসে।

অন্যান্য সবজির মধ্যে করলা, কাঁকরোল, বরবটি, ঢ্যাঁড়স, লতি প্রভৃতি সবজি ৮০ থেকে ১০০ টাকার মধ্যে এবং পটোল, ঝিঙে, চিচিঙ্গা, ধুন্দুল প্রভৃতি সবজি প্রতি কেজি ৬০ থেকে ৮০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। তবে সবজির মান ও বাজারভেদে দামে কিছুটা ভিন্নতা হতে পারে।

বাংলাদেশ কাঁচামাল আড়ত মালিক সমিতির সভাপতি মো. ইমরান মাস্টার বলেন, ‘নভেম্বরের মাঝামাঝি সময় থেকে শীতের সবজির সরবরাহ বাড়বে। তখন সার্বিকভাবে সবজির দাম কমে আসবে বলে আশা করছি।’

বাজার ঘুরে দেখা গেছে, বর্তমানে শিম, ফুলকপি, লালশাকের মতো কিছু শীত মৌসুমের আগাম শাকসবজি বাজারে আসছে। যদিও এসব সবজির দাম এখন বেশি। যেমন প্রতি কেজি শিম এখন ১৪০–১৬০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। শীতের মধ্যে শিমের দাম ৪০–৫০ টাকায় নেমে আসে।

বাজারে চালের দামে কিছুটা নিম্নমুখী প্রবণতা দেখা গেছে। গতকাল ঢাকার খুচরা বাজারে প্রতি কেজি মিনিকেট ৭০–৮০ টাকা, নাজির ৭০–৮৫ টাকা, ব্রি–২৮ চাল ৫৬–৫৮ টাকা ও মোটা (স্বর্ণা) চাল ৫২–৫৪ টাকায় বিক্রি হয়েছে। এদের মধ্যে গত ১৫ দিনে ব্রি–২৮, নাজির ও মোটা চালের দাম কেজিতে ২ টাকা কমেছে।

গত সপ্তাহে হঠাৎ ফার্মের মুরগির ডিমের দাম ডজনে ১০ টাকা বেড়েছিল। সেই দাম এখন কমেছে। গতকাল ঢাকার বাজারে ফার্মের মুরগির এক ডজন বাদামি ডিম ১৪০ টাকায় বিক্রি হয়েছে। আর ফার্মের মুরগির সাদা ডিমের দাম ডজনে ৫ টাকা কম। এক মাস ধরে অনেকটা স্থিতিশীল দামে বিক্রি হচ্ছে ফার্মের মুরগি। গতকাল বাজারে প্রতি কেজি ব্রয়লার মুরগি ১৮০ থেকে ১৯০ টাকা এবং সোনালি মুরগি ২৮০ থেকে ৩০০ টাকার মধ্যে বিক্রি হয়েছে।