Thank you for trying Sticky AMP!!

পূর্বাচলে ঢাকা আন্তর্জাতিক বাণিজ্য মেলা

বাণিজ্য মেলা শুরু হচ্ছে ২১ জানুয়ারি

মাসব্যাপী ঢাকা আন্তর্জাতিক বাণিজ্য মেলা (ডিআইটিএফ) শুরু হবে ২১ জানুয়ারি। রাজধানীর পূর্বাচলে অবস্থিত বঙ্গবন্ধু বাংলাদেশ-চীন মৈত্রী এক্সিবিশন সেন্টারে (বিবিসিএফইসি) দেশে পণ্য প্রদর্শনীর সবচেয়ে বড় এ আয়োজন শুরু হবে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বাণিজ্য মেলার ২৮তম এ আসরের উদ্বোধন করার কথা রয়েছে।

বাংলাদেশ রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরোর (ইপিবি) মহাপরিচালক মাহবুবুর রহমান এসব তথ্য জানিয়েছেন। তিনি বলেন, গতকাল সোমবার এবারের বাণিজ্য মেলা শুরুর বিষয়ে আনুষ্ঠানিক অনুমতি পেয়েছে ইপিবি। এবারের মেলায় দেশ-বিদেশের মোট ৩৩০টি স্টল, প্যাভিলিয়ন ও মিনি প্যাভিলিয়ন থাকবে। এর মধ্যে ১৫-১৮টি বিদেশি স্টল রয়েছে।

বরাবরের মতো ভারত, পাকিস্তান, ইরান, তুরস্ক, থাইল্যান্ডসহ বিভিন্ন দেশ থেকে ব্যবসায়ীরা এবারের মেলায় অংশ নেবেন। এ ছাড়া স্থানীয় উদ্যোক্তারাও তাঁদের পণ্য প্রদর্শন ও বিক্রি করবেন।

সাধারণত প্রতিবছর ১ জানুয়ারি থেকে বাণিজ্য মেলা শুরু হয়। তবে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের কারণে ২০২৪ সালের বাণিজ্য মেলা শুরুর সময় পেছানো হয়। গত ৭ জানুয়ারি দেশে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। এরপর নতুন সরকারের দায়িত্ব গ্রহণ ও অন্যান্য আনুষ্ঠানিকতা শেষে মেলার নতুন তারিখ নির্ধারণ করা হয়েছে।

ইপিবির মহাপরিচালক মাহবুবুর রহমান জানিয়েছেন, মেলার প্রস্তুতি হিসেবে ইতিমধ্যে স্টল বরাদ্দ, টাকা জমা, টিকিট বুথ নির্মাণসহ বড় অংশের কাজ শেষের দিকে। চলতি সপ্তাহের মধ্যে স্টল নির্মাণসহ বাকি কাজ শেষ হবে বলে আশা করা হচ্ছে।

২০২২ সাল থেকে পূর্বাচলের বঙ্গবন্ধু বাংলাদেশ-চীন মৈত্রী প্রদর্শনী কেন্দ্রে বাণিজ্য মেলা অনুষ্ঠিত হচ্ছে। চলতি বছর সেখানে তৃতীয়বারের মতো ২৮তম ঢাকা আন্তর্জাতিক বাণিজ্য মেলা অনুষ্ঠিত হবে। এর আগে ঢাকার শেরেবাংলা নগরে বাণিজ্য মেলা অনুষ্ঠিত হতো। মূলত জনদুর্ভোগ এড়াতে বাণিজ্য মেলা মূল শহর থেকে পূর্বাচলে স্থানান্তর করে সরকার।

ইপিবি সূত্রে জানা যায়, গত বছর বাণিজ্য মেলায় দেশ-বিদেশের ৩৩১টি স্টল, প্যাভিলিয়ন ও মিনি প্যাভিলিয়ন ছিল। গত বছর সিঙ্গাপুর, হংকং, ইন্দোনেশিয়া, তুরস্ক, মালয়েশিয়া, ভারত, পাকিস্তান, দক্ষিণ কোরিয়াসহ ১০টি দেশের ব্যবসায়ীরা তাঁদের পণ্য প্রদর্শন ও বিক্রি করেন। মাসব্যাপী এ মেলায় ১০০ কোটি টাকার পণ্য বিক্রি করে অংশগ্রহণকারী প্রতিষ্ঠানগুলো।

এ ছাড়া মেলায় ৩০০ কোটি টাকার তাৎক্ষণিক রপ্তানি আদেশও পাওয়া যায়। মেলায় ৩০ থেকে ৩৫ লাখ দর্শনার্থী উপস্থিত হয়েছিলেন বলে জানায় ইপিবি। ২০২৩ সালে মেলার প্রবেশের টিকিটের দাম ছিল বড়দের জন্য ৪০ টাকা আর শিশুদের জন্য ২০ টাকা। এ বছরও একই হারে ফি নির্ধারণ করা হবে বলে ইপিবি কর্মকর্তারা জানিয়েছেন।