একক ভ্যাট হারের সুপারিশ করেছে ঢাকা চেম্বার

আগামী বাজেটে মূল্য সংযোজন কর বা ভ্যাটের একক হার করার সুপারিশ করেছে ঢাকা চেম্বার। এ ছাড়া অনানুষ্ঠানিক খাতের ব্যবসায়ীদের জন্য এক শতাংশ ভ্যাট হার নির্ধারণ করার কথাও বলেছে সংস্থাটি।

ঢাকা চেম্বার বলছে, ভ্যাটের একক হার হলে সামগ্রিক কর ব্যবস্থাপনায় স্বচ্ছতা আসার পাশাপাশি ব্যবসার পরিচালন খরচ কমবে এবং উৎপাদন খাতে ইতিবাচক প্রভাব পড়বে।

ব্যক্তিশ্রেণির করমুক্ত আয়ের সীমা সাড়ে তিন লাখ টাকা থেকে বাড়িয়ে পাঁচ লাখ টাকা করার প্রস্তাবও করেছে ঢাকা চেম্বার।

আজ মঙ্গলবার আগামী অর্থবছরের প্রাক্‌–বাজেট আলোচনায় অংশ নিয়ে এনবিআর চেয়ারম্যান আবদুর রহমান খানের কাছে ৪২টি বাজেট প্রস্তাব দিয়েছে ঢাকা চেম্বার। আগারগাঁওয়ের এনবিআর ভবনে এ আলোচনা হয়। ঢাকা চেম্বার সভাপতি তাসকীন আহমেদ প্রতিনিধিদলের নেতৃত্ব দেন।

বর্তমানে একক ভ্যাট হার ১৫ শতাংশ হলেও বিভিন্ন খাতে ১০ শতাংশ, সাড়ে ৭ শতাংশ, ৫ শতাংশসহ একাধিক ভ্যাট হার আছে।

ডিসিসিআই সভাপতি তাসকীন আহমেদ আগামী অর্থবছর থেকে সব করদাতাকে অনলাইনে আয়কর রিটার্ন প্রদান কার্যক্রমের আওতায় নিয়ে আসার উদ্যোগকে স্বাগত জানান। দেশে করদাতার সংখ্যা বৃদ্ধি এবং করজাল সম্প্রসারণের লক্ষ্যে এনবিআরকে স্বল্প, মধ্য ও দীর্ঘমেয়াদি লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণের প্রস্তাব করেন ঢাকা চেম্বার সভাপতি।

এনবিআর চেয়ারম্যান আবদুর রহমান খান বলেন, বাণিজ্য–সংশ্লিষ্ট রাজস্ব নীতিমালা ক্রমে সংস্কারের মাধ্যমে ব্যবসা ও বিনিয়োগ সম্প্রসারণে এনবিআর দৃঢ়প্রতিজ্ঞ। তিনি বলেন, সমাজে কেউ কর দেবে কেউ দেবে না, তা মোটেও গ্রহণযোগ্য নয়। তিনি জানান, গত ১০ বছরে টিনধারীর সংখ্যা এক কোটি ছাড়ালেও কর প্রদানকারীর সংখ্যা কাঙ্ক্ষিত মাত্রায় বাড়েনি, যা বেশ হতাশাব্যঞ্জক।