অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের গত এক বছরে অর্থনীতির বিভিন্ন সূচকের পতন ঠেকানো গেছে। ঝুঁকির মাত্রা কমানো গেছে। তবে অর্থনীতি ও ব্যবসা-বাণিজ্য এখনো পুরোপুরি চাপমুক্ত হয়নি, বেশ কিছু জায়গায় এখনো অস্বস্তি রয়ে গেছে। জাতীয় রাজনীতি ও নির্বাচনকে কেন্দ্র করে ব্যবসা-বাণিজ্যে ও বিনিয়োগে একধরনের অনিশ্চয়তা আছে। নতুন করে যুক্ত হয়েছে রপ্তানি খাতে যুক্তরাষ্ট্রের পাল্টা শুল্ক।
ভালো খবর হলো, প্রবাসী আয় ও রপ্তানি আয়ে গতি থাকায় ডলার–সংকট কাটানো গেছে, রিজার্ভ পরিস্থিতির উন্নতি হয়েছে। মূল্যস্ফীতির লাগাম টেনে ধরতে আমদানি নিয়ন্ত্রণ করার ফলেও রিজার্ভকে সুসংহত করেছে। ব্যাংক ও আর্থিক সংস্কারের উদ্যোগ শুরু হয়েছে। গত সরকারের আমলে অনিয়ম-দুর্নীতির কারণে ভেঙে পড়া ব্যাংকগুলো টেনে তুলতে কেন্দ্রীয় ব্যাংক তৎপর আছে। তবে এখনো কয়েকটি ব্যাংক ভালো অবস্থায় নেই।
খারাপ খবর হলো, বিনিয়োগ ও কর্মসংস্থান পরিস্থিতি আগের মতোই আছে। মূল্যস্ফীতি কিছুটা কমানো গেলেও এখনো তা ৮ শতাংশের বেশি আছে, যা গরিব ও সীমিত আয়ের মানুষকে ভোগাচ্ছে। অন্যদিকে রাজস্ব আদায়ে অগ্রগতি নেই। সরকারের বিদেশি দেনা পরিশোধ গত অর্থবছরে ৪০০ কোটি ডলার ছাড়িয়ে গেছে, যা অর্থনীতিকে নতুন করে চাপে ফেলছে।
জাহিদ হোসেন গত এক বছরের অর্থনীতির মূল্যায়নকে তিন ভাগে ভাগ করেছেন। এক. সামষ্টিক অর্থনীতির অস্থিতিশীল অবস্থা থেকে স্থিতিশীলতা এসেছে। দুই. মূল্যস্ফীতি কিছুটা কমেছে, তবে স্বস্তির জায়গা আসেনি। তিন. ব্যাংক খাতে দুর্দশা কাটেনি। তবে যে রক্তক্ষরণ চলছিল, তা থামানো গেছে।
অন্তর্বর্তী সরকারের গত এক বছরে অর্থনীতি নিয়ে শ্বেতপত্র প্রণয়ন কমিটি গঠনের পাশাপাশি টাস্কফোর্স, রাজস্ব, পরিসংখ্যান নিয়ে একাধিক কমিটি করা হয়। এসব কমিটি যেসব সুপারিশ করেছে, তা পুরোপুরি বাস্তবায়নের আগ্রহ সরকারের মধ্যে তেমন দেখা যাচ্ছে না।
এসব বিষয়ে বিশ্বব্যাংকের ঢাকা কার্যালয়ের সাবেক মুখ্য অর্থনীতিবিদ জাহিদ হোসেন প্রথম আলোকে বলেন, এক বছর আগে অর্থনীতি খাদের কিনারায় ছিল। এখন খাদ থেকে সেই দূরত্ব কিছুটা বেড়েছে মাত্র। বিভিন্ন খাতে সংস্কারের উদ্যোগ নেওয়া হলেও নানা জটিলতার কারণে বাস্তবায়নে ঘাটতি আছে।
জাহিদ হোসেন গত এক বছরের অর্থনীতির মূল্যায়নকে তিন ভাগে ভাগ করেছেন। এক. সামষ্টিক অর্থনীতির অস্থিতিশীল অবস্থা থেকে স্থিতিশীলতা এসেছে। দুই. মূল্যস্ফীতি কিছুটা কমেছে, তবে স্বস্তির জায়গা আসেনি। তিন. ব্যাংক খাতে দুর্দশা কাটেনি। তবে যে রক্তক্ষরণ চলছিল, তা থামানো গেছে। এখন ব্যাংক খাতে আতঙ্ক নেই। জাহিদ হোসেন আরও বলেন, বিনিয়োগ ও কর্মসংস্থান নিয়ে যে স্থবিরতা ছিল। সেই পরিস্থিতির উন্নতি হয়নি।
প্রবাসী আয় ও রপ্তানি আয় ছাড়া বাকি সব সূচক ছিল নিম্নমুখী। অনেকটাই বিকল ও ভগ্নদশার একটি অর্থনীতি পায় বর্তমান অন্তর্বর্তীকালীন সরকার।
আওয়ামী লীগ সরকারের শেষ কয়েক বছর ধরেই দেশের অর্থনীতি নানা ধরনের সংকটের মধ্য দিয়ে গেছে। বিশেষ করে ওই সরকারের শেষ দুই বছরে অর্থনীতি পতনমুখী ছিল। ডলারের তীব্র সংকট, ঋণের নামে ব্যাংক লুটপাট আর বিদেশে অর্থ পাচার অর্থনীতির ক্ষত আরও গভীর করেছে। ওই সময়ে দুই অঙ্কের ঘরের উচ্চ মূল্যস্ফীতি সাধারণ মানুষকে ভুগিয়েছে।
আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে স্বজনতোষী ও গোষ্ঠীর স্বার্থে নেওয়া পদক্ষেপে সুবিধা পেয়েছেন গুটিকয় ব্যবসায়ী আর ক্ষমতাসীনদের আত্মীয়-পরিজন। প্রায় ১৮ লাখ কোটি টাকার ঋণ রেখে বিদায় নেয় আওয়ামী লীগ সরকার। প্রবাসী আয় ও রপ্তানি আয় ছাড়া বাকি সব সূচক ছিল নিম্নমুখী। অনেকটাই বিকল ও ভগ্নদশার একটি অর্থনীতি পায় বর্তমান অন্তর্বর্তীকালীন সরকার।
মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণে আনাই অন্যতম বড় চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়ায় নতুন সরকারের কাছে। সুদের হার বাড়িয়ে এবং আমদানি নিয়ন্ত্রণ করে মূল্যস্ফীতি কমানোর পদক্ষেপ নেয় সরকার। ফলে কিছুটা সাফল্যও আসে। এক বছরে সার্বিক মূল্যস্ফীতি ১২ শতাংশ এবং খাদ্য মূল্যস্ফীতি ১৪ শতাংশ থেকে নেমে এক অঙ্কের ঘরে এসেছে। এখনো সার্বিক মূল্যস্ফীতি ৮ শতাংশের বেশি আছে।
তবে বাজার তদারকি ও পথেঘাটে চাঁদাবাজি বন্ধ হয়নি। চাঁদা নেওয়ার খেলোয়াড়ের পরিবর্তন হয়েছে মাত্র। মধ্যস্বত্বভোগীদের দৌরাত্ম্যও কমেনি। আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনা সম্ভব হয়নি। এতে ব্যবসা-বাণিজ্য ও শিল্প খাত বিশেষ করে তৈরি পোশাক খাতে অনিশ্চয়তাও কাটেনি। বিনিয়োগ ও কর্মসংস্থান পরিস্থিতির খুব একটা উন্নতি হয়নি। নতুন সরকার এসে ঘটা করে বিনিয়োগ সম্মেলনে করেছে, তবু পরিস্থিতির তেমন উন্নতি হয়নি।
বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর (বিবিএস) হিসাব বলছে, গত অর্থবছরের (২০২৪-২৫) মোট দেশজ উৎপাদনের (জিডিপি) তুলনায় সরকারি বিনিয়োগ আগের বছরের চেয়ে কমেছে। বেসরকারি বিনিয়োগ পরিস্থিতি আরও খারাপ। বিবিএসের হিসাব অনুসারে, গত ডিসেম্বর মাস পর্যন্ত ২৭ লাখ ৩০ লাখ হাজার বেকার আছেন। তরুণ জনগোষ্ঠীর মধ্যেই বেকারত্বের হার বেশি। এ ছাড়া নিজেদের পছন্দমতো কাজ পাননি এমন মানুষ আছেন প্রায় এক কোটি, যাদের ছদ্ম বেকার বলা হয়।
গত ২০ বছরের মধ্যে বিদায়ী অর্থবছরে বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচি (এডিপি) সর্বনিম্ন বাস্তবায়ন হয়েছে। ২০২৪-২৫ অর্থবছরে মাত্র ৬৮ শতাংশ এডিপি বাস্তবায়ন হয়। এডিপি বাস্তবায়ন কম হলে তা কর্মসংস্থানের ওপর প্রভাব ফেলে।
অর্থনীতিতে নতুন চাপ সৃষ্টি করছে বিদেশি ঋণ পরিশোধ। মেট্রোরেল, কর্ণফুলী টানেল, হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের তৃতীয় টার্মিনাল, পদ্মা সেতু রেল সংযোগসহ বড় বড় প্রকল্পের ঋণ পরিশোধ শুরু হয়েছে। ফলে গত অর্থবছরে প্রথমবারের বিদেশি ঋণ শোধ ৪০০ কোটি ডলার ছাড়াল, যা গত অর্থবছরের ঋণের অর্থছাড়ের প্রায় অর্ধেক। ঋণের অর্থছাড়ের মধ্যে অর্ধেক দিয়েছে এশীয় উন্নয়ন ব্যাংক (এডিবি), বিশ্বব্যাংক ও জাপান। অন্যদিকে গত অর্থবছরে ভারত, চীন ও রাশিয়া ঋণ দেওয়ার কোনো প্রতিশ্রুতি দেয়নি।
এদিকে রাজস্ব খাতের পরিস্থিতি আরও খারাপ হয়েছে। গত অর্থবছরের প্রায় ৯২ হাজার কোটি টাকার ঘাটতি হয়েছে, যা এযাবৎকালের রেকর্ড। রাজস্ব খাতের সংস্কারের উদ্যোগ নিয়েও এনবিআরে বড় ধরনের আন্দোলন হয়েছে। প্রায় দেড় মাসের মতো পুরোদমে কাজ হয়নি। রাজস্ব খাতের আন্দোলন এবং জুলাই-আগস্টের গণ-অভ্যুত্থান ও রাজনৈতিক অনিশ্চয়তায় ব্যবসা-বাণিজ্য শ্লথ ছিল। ফলে রাজস্ব আদায়ে বড় ঘাটতি হয়। তাই আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) শর্ত অনুসারে শুল্ক-কর আদায় করা যায়নি। এ ছাড়া রাজস্ব আদায় সক্ষমতার অভাব এবং কর ভিত্তির অপ্রতুলতার মতো পুরোনো সমস্যাও আছে।
গত ২০ বছরের মধ্যে বিদায়ী অর্থবছরে বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচি (এডিপি) সর্বনিম্ন বাস্তবায়ন হয়েছে। ২০২৪-২৫ অর্থবছরে মাত্র ৬৮ শতাংশ এডিপি বাস্তবায়ন হয়। এডিপি বাস্তবায়ন কম হলে তা কর্মসংস্থানের ওপর প্রভাব ফেলে।
আওয়ামী লীগ সরকারের সময়ে সবচেয়ে বেশি লুটপাট হয়েছে ব্যাংক খাত। ওই সরকারের পরোক্ষ মদদে বেশ কয়েকটি নিয়ন্ত্রণে নিয়েছিল চট্টগ্রামভিত্তিক এস আলম গ্রুপ। তারা ব্যাংকগুলো থেকে ২ লাখ কোটি টাকা লুটপাট করে এবং বেশির ভাগই বিদেশে পাচার করার অভিযোগ আছে। এসব ঋণ খেলাপি হওয়ায় মোট খেলাপি ঋণ সোয়া পাঁচ লাখ কোটি টাকায় পৌঁছেছে। এটিও একটি নতুন রেকর্ড।
বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর হিসেবে আহসান এইচ মনসুর যোগ দেওয়ার পর আওয়ামী লীগ মদদপুষ্ট ব্যবসায়ীদের নিয়ন্ত্রণে থাকা ১৪টি ব্যাংকের পর্ষদ ভেঙে দেওয়া হয়। এই ব্যাংকগুলোতে অনিয়ম বন্ধ হলেও ঋণের নামে যে অর্থ লোপাট করা হয়েছে, তা আদায়ে কার্যকর পদক্ষেপ দেখা যায়নি। তবে অর্থ পাচার রোধে বিভিন্ন উদ্যোগ নেওয়ায় এবং ডলারের দাম বাজারভিত্তিক করায় বেড়েছে বৈধপথে প্রবাসী আয়।
এ ছাড়া ব্যাংক খাতে অনিয়ম প্রতিরোধে একাধিক আইন পরিবর্তনের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। তবে এখনো বাস্তবায়ন হয়নি। এ ছাড়া দুর্বল পাঁচ ব্যাংক একীভূত করার উদ্যোগ শুরু হয়েছে। বিদেশি প্রতিষ্ঠান দিয়ে এসব ব্যাংকের সম্পদ মূল্যায়ন করা হয়েছে, যা অতীতে কখনো হয়নি। তবে কবে নাগাদ ব্যাংকগুলো একীভূত হবে, তা পরিষ্কার নয়।
ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর অর্থ পাচার বেশ কমে এসেছে। এর ফলে প্রতি মাসে গড়ে ৫০ কোটি ডলার প্রবাসী আয় বেড়েছে। অনেক কারখানা বন্ধ হয়ে গেলেও রপ্তানি এখনো ঊর্ধ্বমুখী। এর ফলে দীর্ঘদিন ধরে চলা ডলারের সংকট কেটে গেছে।
বিদায়ী ২০২৪-২৫ অর্থবছরে বিদেশ থেকে রেকর্ড পরিমাণ ৩ হাজার ৩৩ কোটি ডলার পাঠিয়েছেন প্রবাসীরা। আগের অর্থবছরের তুলনায় প্রায় সাড়ে ৬ বিলিয়ন বা ২৭ শতাংশ বেশি রেমিট্যান্স তথা প্রবাসী আয় পাঠিয়েছেন তাঁরা।
রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরোর (ইপিবি) হিসাবে, বিদায়ী অর্থবছরে ৪ হাজার ৮২৮ কোটি ডলারের পণ্য রপ্তানি হয়েছে, যা আগের অর্থবছরের তুলনায় ৮ দশমিক ৫৮ শতাংশ বেশি। তবে যুক্তরাষ্ট্রের নতুন শুল্ক শঙ্কা জাগাচ্ছে। তৈরি পোশাকসহ রপ্তানিকারকেরা চিন্তার মধ্যে আছেন।
ডলারের জোগান বাড়লে এবং ডলারের খরচ কমলে (আমদানি খরচ এবং বিদেশি ঋণ পরিশোধ) রিজার্ভ বাড়ে। গত অর্থবছরে মূলধনি যন্ত্রপাতি আমদানিতে ঋণপত্র (এলসি) নিষ্পত্তি ২৫ শতাংশ কম হয়েছে। মধ্যবর্তী পণ্য ও প্রস্তুত পণ্য আমদানিতেও নেতিবাচক। এর মানে আমদানি বিল পরিশোধে ডলারের খরচ কমেছে।
বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্য অনুযায়ী, জুন শেষে বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ বেড়ে ৩১ দশমিক ৭৭ বিলিয়ন ডলার হয়েছে। গত ২৮ মাসের মধ্যে যা সর্বোচ্চ। জুন শেষে আইএমএফের মানদণ্ড বিপিএম ৬ অনুযায়ী রিজার্ভ দাঁড়িয়েছে ২৬ দশমিক ৭৪ বিলিয়ন ডলার। ২০২৪ সালের ৩১ জুলাই রিজার্ভের পরিমাণ ছিল ২ হাজার ৪৮ কোটি ডলার।
এ ছাড়া চার বছর পর গত অর্থবছরে সার্বিক লেনদেন ভারসাম্যে ৩২৯ কোটি ডলার উদ্বৃত্ত হয়েছে। চলতি হিসাবে আগের অর্থবছরের ৬৫১ কোটি ডলারের ঘাটতি থেকে গত অর্থবছরে ৯৮ কোটি ডলার উদ্বৃত্ত হয়েছে। এতে বাণিজ্যঘাটতিও কমে এসেছে।
‘অন্তর্বর্তী সরকারের মেয়াদ কম, তাই বিনিয়োগ করতে গিয়ে তাদের ওপর কম ভরসা পান দেশি–বিদেশি বিনিয়োগকারীরা।’ এমন মন্তব্য করেছেন ঢাকা চেম্বারের সাবেক সভাপতি ও এ কে খান গ্রুপের পরিচালক আবুল কাসেম খান। তিনি প্রথম আলোক বলেন, রাজনৈতিক সরকার থাকলে অন্তত পাঁচ বছর নিশ্চিন্তে থাকেন উদ্যোক্তারা। বর্তমান সরকার নির্বাচনের একটি সময়সীমা দিয়েছে। তাই বিনিয়োগকারীরা এখন নতুন করে ভাবতে শুরু করবেন।
তাঁর মতে, ডলার, রিজার্ভ, ব্যাংক খাতে যে অস্থিরতা ছিল, তাতে স্থিতিশীলতা আনা সম্ভব হয়েছে। এতে ব্যবসায়ীদের ভয় কেটেছে। তবে এই সরকার সংস্কারে জোর দিচ্ছে। কিন্তু অর্থনীতি ও ব্যবসা-বাণিজ্য নিয়ে সংস্কারের জোরালো উদ্যোগ দেখা যায়নি। এসব খাতের সংস্কারে ব্যবসায়ীসহ অন্যান্য অংশীজনদের সঙ্গে যে নিয়মিত সংলাপে বসা উচিত।