
৪৪তম বিসিএসের লিখিত পরীক্ষার খাতা দেখা শেষ করছেন প্রথম পরীক্ষকেরা। অনেক পরীক্ষক প্রথম পরীক্ষক হিসেবে খাতা দেখা শেষ করে তা জমাও দেওয়া শুরু করেছেন। এখন দ্বিতীয় পরীক্ষক হিসেবে খাতা নেওয়া শুরু করেছেন। সরকারি কর্ম কমিশন (পিএসসি) সূত্র বিষয়টি নিশ্চিত করেছে।
জানতে চাইলে পিএসসির পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক শাখার এক কর্মকর্তা প্রথম আলোকে বলেন, ৪৪তম বিসিএসের লিখিত পরীক্ষা শেষ হওয়ার পর তা প্রথম পরীক্ষকদের দেখার জন্য দেওয়া হয়েছিল। তাঁদের এই খাতা দেখতে সময়ও বেঁধে দেওয়া হয়। এখন প্রথম পরীক্ষকেরা সেই খাতা জমা দিয়ে দ্বিতীয় পরীক্ষক হিসেবে খাতা নেওয়া শুরু করেছেন। এরপর তাঁরা যখন দ্বিতীয় পরীক্ষক হিসেবে খাতা জমা দেবেন, তখন তা যাচাই করা হবে। এই দুই খাতার মধ্যে ২০ শতাংশ বা এর অধিক নম্বরের পার্থক্য থাকলে তা নিয়ম অনুসারে তৃতীয় পরীক্ষককে দিয়ে দেখিয়ে চূড়ান্ত করা হবে।
যে তিনটি বিসিএস সরকারি কর্ম কমিশনের (পিএসসি) অগ্রাধিকারের মধ্যে রয়েছে, তার মধ্যে অন্যতম একটি হলো ৪৪তম বিসিএস। ৪৪তম বিসিএসের লিখিত পরীক্ষা গত বছরের ২৯ ডিসেম্বর শুরু হয়, শেষ হয় গত জানুয়ারি মাসে। পিএসসি সূত্র জানায়, এই লিখিত পরীক্ষার খাতা দেখা সময়মতো শেষ করতে চায় পিএসসি। আর খাতা দেখায় যাতে পরীক্ষক দেরি না করেন, সে জন্য পরীক্ষকদের খাতা সঠিক সময়ে জমা দেওয়ার তাগিদ দেওয়া হয়েছে। যদি কোনো পরীক্ষক সময়মতো খাতা জমা না দেন, তাহলে তাঁকে পরবর্তী সময়ে আর খাতা দেওয়া হবে না বলেও জানায় পিএসসির ওই সূত্র।
চলতি বছর ৪৪তম বিসিএসের কার্যক্রম শেষ করার কথা জানিয়ে পিএসসির একটি সূত্র প্রথম আলোকে বলেছে, ৪৪তম বিসিএস অনেকটাই গুছিয়ে আনা হয়েছে। ৪৩তম বিসিএসের পাশাপাশি এই বিসিএসের মৌখিক পরীক্ষা নেওয়ার পরিকল্পনা আছে পিএসসির। এ বছরই এই বিসিএস শেষ করার কার্যক্রম হাতে নিয়ে এগোচ্ছে পিএসসি।
৪৪তম বিসিএস পরীক্ষায় মোট ৩ লাখ ৫০ হাজার ৭১৬ চাকরিপ্রার্থী আবেদন করেছিলেন। ২০২১ সালের ৩০ ডিসেম্বর ৪৪তম বিসিএসের অনলাইন আবেদন শুরু হয়। আবেদনের শেষ সময় ছিল ৩১ জানুয়ারি। পরে তা বাড়িয়ে ২ মার্চ নির্ধারণ করে পিএসসি।
এরপর গত বছরের ২৭ মে প্রিলিমিনারি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। এ পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হওয়ার ২৫ দিনের মধ্যে ফলাফল প্রকাশের মাধ্যমে রেকর্ড করে পিএসসি। প্রিলিমিনারি পরীক্ষায় ১৫ হাজার ৭০৮ পরীক্ষার্থী পাস করেন।
৪৪তম বিসিএসের বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, এই বিসিএসে বিভিন্ন ক্যাডারে ১ হাজার ৭১০ জন কর্মকর্তা নেওয়া হবে। এর মধ্যে প্রশাসন ক্যাডারে ২৫০ জন, পুলিশ ক্যাডারে ৫০, পররাষ্ট্র ক্যাডারে ১০, আনসার ক্যাডারে ১৪, নিরীক্ষা ও হিসাবে ৩০, কর ক্যাডারে ১১, সমবায়ে ৮, রেলওয়ে পরিবহন ও বাণিজ্যিকে ৭, তথ্যে ১০, ডাকে ২৩, বাণিজ্যে ৬, পরিবার পরিকল্পনায় ২৭, খাদ্যে ৩, টেকনিক্যাল ক্যাডারে ৪৮৫ ও শিক্ষা ক্যাডারে ৭৭৬ জন নেওয়া হবে।