বৈভব তানেজা। বয়স ৪৭ বছর। পড়াশোনা ভারতের দিল্লি বিশ্ববিদ্যালয়ে। তিনি ইলন মাস্কের টেসলার চিফ ফিন্যান্সিয়াল অফিসার-সিএফও। ভারতীয় বংশোদ্ভূত বৈভব নতুন করে এসেছেন আলোচনায়। কারণ, তাঁর বেতন প্যাকেজ। ২০২৪ সালের সবচেয়ে বেশি বেতনের সিএফও তিনি। পেছনে ফেলেছেন গুগলের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা-সিইও সুন্দর পিচাই এবং মাইক্রোসফটের সিইও সত্য নাদেলাকেও। ২০২৪ সালে টেসলার সিএফও হিসেবে বৈভব বেতন পেয়েছেন ১৩৯ দশমিক ৫ মিলিয়ন ডলার। এ ছাড়া নিকোলা কোম্পানির সিএফও ২০২০ সালে যে ৮৬ মিলিয়ন ডলারের রেকর্ড করেছিলেন বেতন পেয়ে, তা–ও ছাড়িয়ে গেছেন দিল্লি বিশ্ববিদ্যালয়ের এই সাবেক শিক্ষার্থী।
২০২৩ সালে পদোন্নতি পাওয়ার পর বৈভব তানেজার বেতন বেড়ে হয় চার লাখ ডলার। সত্য নাদেলা ও অ্যালফাবেটের সিইও সুন্দর পিচাইকেও বেতনের নিরিখে পেছনে ফেলেছেন তিনি। যদিও বৈভব তানেজার মূল বেতন চার লাখ ডলার, তবে তাঁর আয়ের প্রধান অংশ এসেছে শেয়ার এবং ইকুইটি পুরস্কার থেকে। ২০২৩ সালের আগস্টে সিএফও হওয়ার পর কোম্পানি থেকে শেয়ার ও ইকুইটি পান তিনি। টেসলার স্টকের দাম বাড়ার কারণে আয় বৃদ্ধি হয় তাঁর।
২০১৭ সালে টেসলায় যোগ দেন বৈভব তানেজা। তাঁর বেশির ভাগ আয়ের অংশই এসেছে স্টক অপশন থেকে। টেসলা শেয়ার যা তাঁকে দেওয়া হয়েছিল সংস্থায় যোগদানের শুরুতে, তখন তার মোট মূল্য ছিল ২৫০ ডলার। ২০২৫ সালের ১৯ মে-তে এসে এই স্টকের দাম বেড়ে হয়েছে ৩৪২ ডলার।
দিল্লি বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বাণিজ্যে স্নাতক শেষে চার্টার্ড অ্যাকাউন্ট্যান্ট হিসেবে কাজ শুরু করেন বৈভব। ১৭ বছর ধরে (১৯৯৯ থেকে ২০১৬) বৈভব ভারত ও আমেরিকায় পিডব্লিউসি সংস্থায় কাজ করেছেন। ২০১৬ সালে তিনি যোগ দেন সোলারসিটি করপোরেশনে। সেখানে ভাইস প্রেসিডেন্ট থেকে শুরু করে করপোরেট কন্ট্রোলার পদের দায়িত্ব পালন করেন। ওই বছরই সোলারসিটি সংস্থা কিনে নেয় টেসলা, তারপর বৈভব তানেজা এই দুই সংস্থারই অ্যাকাউন্টিং টিমের প্রধান হিসেবে কাজ চালিয়ে যান। ২০২১ সালে বৈভবকে টেসলা ইন্ডিয়া মোটরস অ্যান্ড এনার্জি প্রাইভেট লিমিটেডের ডিরেক্টর পদে নিয়োগ দেওয়া হয়। তারপর টেসলার চিফ ফিন্যান্সিয়াল অফিসার পদে পদোন্নতি পান বৈভব তানেজা। ২০২৩ সালের আগস্টে তিনি সিএফও পদে পদোন্নতি পেয়ে জ্যাক কার্কহর্নের স্থলাভিষিক্ত হন।