COP–এর পূর্ণরূপ হলো Conference of the Parties. এর উদ্দেশ্য হচ্ছে জলবায়ু পরিবর্তনের বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক সমাধান, নীতিনির্ধারণ, প্রতিশ্রুতি নির্ধারণ ও বাস্তবায়ন পর্যবেক্ষণ করা। প্রথম কপ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয় ১৯৯৫ সালে জার্মানির বন শহরে। ২০২৪ সালে সংযুক্ত আরব আমিরাতের দুবাই শহরে অনুষ্ঠিত হয় কপ২৯।
প্রশ্ন ১: কপ৩০ সম্মেলন কোথায় অনুষ্ঠিত হয়?
উত্তর: বেলেম, ব্রাজিল।
প্রশ্ন ২: কপ৩০ সম্মেলন শুরু হয় কত তারিখ?
উত্তর: ১০ নভেম্বর ২০২৫।
প্রশ্ন ৩: কপ৩০ সম্মেলন কত তারিখে শেষ হয়?
উত্তর: ২২ নভেম্বর ২০২৫ (২১ নভেম্বর শেষ হওয়ার কথা থাকলও এক দিন সময় বৃদ্ধি করা হয়)।
প্রশ্ন ৪: কপ৩০–এর স্লোগান কী?
উত্তর: Global Mutirão (বিশ্বব্যাপী সম্মিলিত প্রচেষ্টা)। Mutirão একটি ব্রাজিলীয় পর্তুগিজ শব্দ, যার অর্থ হলো মানুষের স্বেচ্ছাসেবী, সমন্বিত ও একসঙ্গে কাজ করা।
প্রশ্ন ৫: কপ৩০–এর থিম কী?
উত্তর: অভিযোজন (Adaptation), নবায়নযোগ্য জ্বালানিতে রূপান্তর (Energy Transition), জলবায়ু অর্থায়ন (Climate Finance) এবং সামাজিক ন্যায়বিচার (Social Justice).
প্রশ্ন ৬: কপ৩০ সম্মেলনে কতটি দেশের প্রতিনিধিরা অংশ নিয়েছে?
উত্তর: ১৯৩টি দেশ ও ইউরোপীয় ইউনিয়ন।
প্রশ্ন ৭: কপ৩০–তে কতজন প্রতিনিধি অংশ নিয়েছেন?
উত্তর: প্রায় ৫৬ হাজার।
প্রশ্ন ৮: পরবর্তী কপ সম্মেলন (কপ৩১) কোথায় অনুষ্ঠিত হবে?
উত্তর: তুরস্ক (সম্ভাব্য সাল ২০২৬)।
প্রশ্ন ৯: বেলেম সম্মেলনের সর্বাধিক আলোচিত বিষয় কী ছিল?
উত্তর: জ্বালানিব্যবস্থার ন্যায্য রূপান্তর।
প্রশ্ন ১০: পরবর্তী জলবায়ু সম্মেলন কোথায় হবে?
উত্তর: তুরস্ক
জ্বালানি: কপ২৮–এর ‘ফসিল জ্বালানি থেকে সরে আসার’ সিদ্ধান্তই শুধু পুনর্ব্যক্ত হলো, নতুন বা শক্তিশালী চুক্তি যোগ হয়নি। ব্রাজিল আলাদা করে একটি স্বেচ্ছা ‘রোডম্যাপ’ দিলেও তা মূল চুক্তির বাইরে।
অর্থায়ন: ২০৩৫ সালের মধ্যে জলবায়ু অভিযোজন তহবিল তিন গুণ বাড়ানোর আহ্বান জানানো হয়েছে। কিন্তু এই অর্থ কতটা সরকারি আর কতটা বেসরকারি, তা পরিষ্কার নয়। ধনী দেশগুলো আগের প্রতিশ্রুতিতেও পিছিয়েছে।
প্রকৃতি ও বন: ব্রাজিল ১২৫ বিলিয়ন ডলার তহবিলের ‘Tropical Forests Forever Facility’ চালু করেছে বন রক্ষায় উৎসাহ দিতে। ব্রাজিলের প্রস্তাবিত বন উজাড় রোধের রোডম্যাপও চূড়ান্ত চুক্তিতে জায়গা পায়নি।