জুনিয়র স্কুল সার্টিফিকেট পরীক্ষা: বিশেষ প্রস্তুতি ৫৬

তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি

সংক্ষিপ্ত প্রশ্নোত্তর
প্রিয় পরীক্ষার্থী, ২০১৫ সালের জেএসসি পরীক্ষায় তথ্য ও যোগাযোগপ্রযুক্তি বিষয়টি আবশ্যিক। বিষয়টিতে মোট নম্বর থাকবে ৫০। সংক্ষিপ্ত প্রশ্ন থাকবে ৮টি। ৫টি প্রশ্নের উত্তর দিতে হবে। প্রতিটি প্রশ্নের নম্বর থাকবে ৫। আজ অধ্যায়-২ থেকে সংক্ষিপ্ত প্রশ্নোত্তর দেওয়া হলো।

প্রশ্ন: ট্রি টপোলজি কী? এই টপোলজি ব্যবহারের সুবিধা ও অসুবিধাগুলো লেখো।
উত্তর: ট্রি মানে গাছ। নামের সাথে এ টপোলজি তৈরির পদ্ধতিতেও মিল রয়েছে। যে টপোলজিতে কম্পিউটারগুলো পরস্পরের সাথে শাখা-প্রশাখা হিসেবে বিন্যস্ত থাকে, যা দেখতে অনেকটা গাছের মতো (যেমন গাছের মূল এবং শাখা-প্রশাখা থাকে) তাকে ট্রি টপোলজি বলে। এখানে গাছের মূল হচ্ছে হোস্ট কম্পিউটার, বাকি কম্পিউটারগুলো হলো শাখা-প্রশাখা।
ট্রি টপোলজির সুবিধা ও অসুবিধাগুলো নিচে দেওয়া হলো:
সুবিধা
১. ট্রি টপোলজিতে শাখা-প্রশাখার মাধ্যমে নেটওয়ার্ক সম্প্রসারণ সুবিধাজনক।
২. অফিস ব্যবস্থাপনার জন্য এ নেটওয়ার্ক বেশি উপযোগী।
অসুবিধা
১. মূল কম্পিউটার নষ্ট হলে সম্পূর্ণ নেটওয়ার্ক অচল হয়ে যায়।
২. নেটওয়ার্কের গঠনপ্রকৃতি জটিল।

প্রশ্ন: মেশ টপোলজি কী? মেশ টপোলজি ব্যবহারে প্রাপ্ত সুবিধা ও অসুবিধাগুলো কী কী?
উত্তর: যে টপোলজিতে কম্পিউটারগুলো একটা আরেকটির সাথে যুক্ত থাকে এবং একাধিক পথে যুক্ত হতে পারে, তাকে মেশ টপোলজি বলে। এখানে কম্পিউটারগুলো শুধু যে অন্য কম্পিউটার থেকে তথ্য নেয়, তা নয়; বরং সেটা সে নেটওয়ার্কের অন্য কম্পিউটারের মধ্যে বিতরণও করতে পারে।
মেশ টপোলজির সুবিধা ও অসুবিধাগুলো নিচে দেওয়া হলো:
সুবিধা
১. প্রতিটি কম্পিউটার থেকে প্রতিটি কম্পিউটারে তথ্য পাঠানো যায়।
২. ডেটা পাঠাতে সময় কম প্রয়োজন হয়।
৩. নতুন সংযোগ দেওয়া সম্ভব।
অসুবিধা
১. কম্পিউটারের সংখ্যা বেড়ে গেলে খরচ অনেক বেড়ে যায়।
২. অল্পসংখ্যক কম্পিউটারের ক্ষেত্রে এ ধরনের নেটওয়ার্ক টপোলজি বাস্তবায়ন করা সুবিধাজনক।
৩. অনেক বেশি তারের প্রয়োজন হয়।
৪. সংযোগ লাইনগুলোর দৈর্ঘ্য বেশি হওয়ায় খরচ বেশি হয়।

প্রশ্ন: কম্পিউটার নেটওয়ার্ক করলে কী ধরনের সুবিধা পাওয়া যায়, বর্ণনা করো।
উত্তর: কম্পিউটার নেটওয়ার্কে অনেকগুলো কম্পিউটার একসাথে জুড়ে দেওয়া হয়, যাতে একটি কম্পিউটার অন্য কম্পিউটারের সাথে যোগাযোগ করতে পারে এবং তথ্য আদান-প্রদান করতে পারে। এ নেটওয়ার্কের বিভিন্ন রকম ব্যবহার রয়েছে।
কম্পিউটার নেটওয়ার্কের সুবিধাসমূহ নিচে দেওয়া হলো:
১. তথ্যকে কার্যকরভাবে ব্যবহার করা যায়।
২. তথ্যকে উপস্থাপন করা যায় এবং ডেটাবেইসে সংরক্ষণ করা যায়।
৩. তথ্যপ্রযুক্তি-সংক্রান্ত সব প্রয়োজনীয় সফটওয়্যার ভাগাভাগি করে নেওয়ার সুযোগ হয়।
৪. সামাজিক নেটওয়ার্কের মাধ্যমে মানুষের সাথে মানুষের যোগাযোগ সৃষ্টির সুযোগ তৈরি হয়।
৫. আজকাল টেলিফোন করা যায়।
৬. কথা শোনার পাশাপাশি ছবিও দেখা যায়।
৭. রাষ্ট্র পরিচালনা, নিরাপত্তা ও যুদ্ধবিগ্রহেও নেটওয়ার্ক ব্যবহূত হয়।
৮. বিনোদনের ক্ষেত্রেও নেটওয়ার্কের নানামুখী ব্যবহার রয়েছে। যেমন সিনেমা দেখা, গান শোনা প্রভৃতি।
# বাকি অংশ ছাপা হবে আগামীকাল
প্রভাষক
মোহাম্মদপুর প্রিপারেটরি স্কুল অ্যান্ড কলেজ, ঢাকা