শিক্ষার্থীদের মূল্যায়ন ব্যবস্থায় বড় রকমের পরিবর্তনে প্রণীত নতুন শিক্ষাক্রম পরীক্ষামূলকভাবে শুরু হচ্ছে ২২ ফেব্রুয়ারি। এদিন থেকে ষষ্ঠ শ্রেণিতে বাছাই করা শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোতে তা শুরু হবে। তবে প্রাথমিক স্তরের প্রথম শ্রেণিতে তা শুরু হবে আগামী মার্চে।
শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলার সিদ্ধান্ত জানানোর জন্য আজ বৃহস্পতিবার সচিবালয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান শিক্ষামন্ত্রী দীপু মনি। এ সময় প্রাথমিক ও গণশিক্ষা প্রতিমন্ত্রী জাকির হোসেনও উপস্থিত ছিলেন।
প্রাথমিক থেকে মাধ্যমিক স্তরের নতুন শিক্ষাক্রম এ মাসে চালু হওয়ার কথা। শুরুর সুনির্দিষ্ট সময় জানতে চাইলে শিক্ষামন্ত্রী বলেন, ২২ ফেব্রুয়ারি ষষ্ঠ শ্রেণিতে পরীক্ষামূলকভাবে তা শুরু হবে। আর প্রাথমিকের প্রথম শ্রেণিতে হয়তো মার্চে শুরু হতে পারে। ষষ্ঠ শ্রেণিতে ৬২টি স্কুলে এই শিক্ষাক্রম পরীক্ষামূলকভাবে চালু হচ্ছে। আর প্রথম শ্রেণিতে ১০০টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে হওয়ার কথা।
নতুন শিক্ষাক্রমে প্রাক্-প্রাথমিক থেকে উচ্চমাধ্যমিক স্তর পর্যন্ত বিদ্যমান পরীক্ষার চেয়ে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ধারাবাহিক মূল্যায়ন (শিখনকালীন) বেশি হবে। এর মধ্যে তৃতীয় শ্রেণি পর্যন্ত কোনো পরীক্ষা হবে না, পুরোটাই মূল্যায়ন হবে সারা বছর ধরে চলা বিভিন্ন রকমের শিখন কার্যক্রমের ভিত্তিতে। পরবর্তী শ্রেণিগুলোর মূল্যায়নের পদ্ধতি হিসেবে পরীক্ষা ও ধারাবাহিক শিখন কার্যক্রম—দুটিই থাকছে।
এ ছাড়া নতুন নিয়মে এখনকার মতো এসএসসি ও এইচএসসি পরীক্ষা হবে না। শুধু দশম শ্রেণির পাঠ্যসূচির ভিত্তিতে হবে এসএসসি পরীক্ষা। একাদশ ও দ্বাদশ শ্রেণিতে দুটি পাবলিক পরীক্ষা হবে। প্রতিটি বর্ষ শেষে বোর্ডের অধীনে এই পরীক্ষা হবে। এরপর এ দুই পরীক্ষার ফলের সমন্বয়ে এইচএসসির চূড়ান্ত ফল প্রকাশ করা হবে।
চলতি বছরের এসএসসি ও এইচএসসি পরীক্ষা কবে নাগাদ হবে জানতে চাইলে দীপু মনি বলেন, সম্ভাব্য সময় হলো এ বছরের মাঝামাঝি নাগাদ। জুন থেকে আগস্টের মধ্যে এসএসসি ও এইচএসসি পরীক্ষা নেওয়ার চেষ্টা করা হবে।
এবারও সংক্ষিপ্ত পাঠ্যসূচিতে ও কম বিষয়ে পরীক্ষা হবে কি না, এমন প্রশ্নে শিক্ষামন্ত্রী বলেন, সংক্ষিপ্ত পাঠ্যসূচিতে হবে তা বলে দেওয়া হয়েছে। তবে কম বিষয়ে পরীক্ষা নেওয়া হবে কি না, সেটি পরীক্ষা শুরুর কাছাকাছি সময়ে গিয়ে বলা যাবে।
করোনা সংক্রমণের কারণে ২০২১ সালের এসএসসি ও এইচএসসি পরীক্ষা কেবল গ্রুপভিত্তিত তিন বিষয়ে কম নম্বরের ভিত্তিতে হয়েছে।