Thank you for trying Sticky AMP!!

রাবিতে ভর্তি পরীক্ষা ২০-২২ অক্টোবর, পদ্ধতিতে পরিবর্তন

রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে ২০১৯-২০ শিক্ষাবর্ষে স্নাতক প্রথম বর্ষের (সম্মান) ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে আগামী ২০ থেকে ২২ অক্টোবর। বহুনির্বাচনী প্রশ্ন (এমসিকিউ) ও লিখিত উভয় পদ্ধতিতে এবারের পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে। এ বছর পাস করা শিক্ষার্থীরাই শুধু পরীক্ষায় অংশ নিতে পারবেন।

আজ বুধবার সকালে শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ সিনেট ভবনে ভর্তি পরীক্ষা-সংক্রান্ত মূল কমিটির সভায় এসব সিদ্ধান্ত হয়েছে।

অনলাইনে প্রাথমিক আবেদনের পর উচ্চমাধ্যমিক (এএইচএসসি) পরীক্ষায় প্রাপ্ত নম্বরের মেধাক্রম অনুসারে তিনটি ইউনিটের বিপরীতে ৩২ হাজার করে শিক্ষার্থী ভর্তি পরীক্ষায় অংশগ্রহণের সুযোগ পাবেন।

কত আসন
বিশেষ কোটাসহ ৪ হাজার ১৫১ আসনের বিপরীতে তিনটি ইউনিটে পরীক্ষা নেওয়া হবে। আগামী ২০,২১ ও ২২ অক্টোবর প্রতিদিন দুটি শিফটে তিনটি ইউনিটের পরীক্ষা নেওয়া হবে। একজন পরীক্ষার্থী কেবল একটি ইউনিটে আবেদন করতে পারবেন। এবারের পরীক্ষায় কোনো পরীক্ষার্থী দ্বিতীয়বার অংশগ্রহণ করার সুযোগ পাবেন না। ২০১৯ সালে এএইচএসসি পরীক্ষায় পাস করেছেন এমন শিক্ষার্থীরা শুধু এবারের ভর্তি পরীক্ষায় অংশ নিতে পারবেন।

আবেদন কখন, ফি কত
আগামী ৩ সেপ্টেম্বর দুপুর ১২টা থেকে ১২ সেপ্টেম্বর রাত ১২টা পর্যন্ত অনলাইনে প্রাথমিক আবেদন করা যাবে। প্রাথমিক আবেদনের জন্য ৫৫ টাকা ফি দিতে হবে। এইচএসসি পরীক্ষায় প্রাপ্ত নম্বরের মেধাক্রম অনুসারে প্রাথমিক আবেদনে উত্তীর্ণ প্রার্থীদের ১৭ থেকে ৩০ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত চূড়ান্ত আবেদন করতে হবে। চূড়ান্ত আবেদনের জন্য প্রতিটি ইউনিটের বিপরীতে ১ হাজার ৯৮০ টাকা ফি দিতে হবে।

ভর্তি পরীক্ষা কীভাবে হবে
তিনটি ইউনিটে দুটি করে শিফটে ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে। ‘এ’ ইউনিটে রয়েছে কলা, আইন, সামাজিক বিজ্ঞান, চারুকলা অনুষদ এবং শিক্ষা ও গবেষণা ইনস্টিটিউট; ‘বি’ ইউনিটে বিজনেস স্টাডিজ অনুষদ এবং ব্যবসায় প্রশাসন ইনস্টিটিউট; ‘সি’ ইউনিটে বিজ্ঞান, জীব ও ভূবিজ্ঞান, কৃষি এবং প্রকৌশল অনুষদ। এএইচএসসি পরীক্ষায় মানবিক শাখা থেকে উত্তীর্ণ শিক্ষার্থীরা শুধু ‘এ’ ইউনিটে, বাণিজ্য শাখা থেকে উত্তীর্ণরা শুধু ‘বি’ ইউনিটে এবং বিজ্ঞান শাখা থেকে উত্তীর্ণ শিক্ষার্থীরা শুধু ‘সি’ ইউনিটে আবেদনের সুযোগ পাবেন।

ভর্তি পরীক্ষায় আবেদনের জন্য মানবিক শাখা থেকে উত্তীর্ণদের ন্যূনতম তিনসহ মোট জিপিএ ৭.০০, বাণিজ্য শাখা থেকে উত্তীর্ণদের ন্যূনতম ৩.৫০ সহ মোট জিপিএ ৭.৫০ এবং বিজ্ঞান শাখা থেকে উত্তীর্ণ শিক্ষার্থীদের ন্যূনতম ৩.৫০ সহ মোট জিপিএ ৮.০০ থাকতে হবে।

পরীক্ষা পদ্ধতিতে পরিবর্তন
এ বছর ১০০ নম্বরের ভর্তি পরীক্ষায় অংশ নিতে হবে ভর্তি-ইচ্ছুকদের। এর মধ্যে রয়েছে ৬০ নম্বরের এমসিকিউ এবং ৪০ নম্বরের লিখিত পরীক্ষা। পরীক্ষার্থীরা ৬০ নম্বরের এমসিকিউর জন্য ৫০ মিনিট এবং ৪০ নম্বরের লিখিত পরীক্ষার জন্য ৪০ মিনিট সময় পাবেন। লিখিত পরীক্ষায় সংক্ষিপ্ত প্রশ্নোত্তর ধরনের ২০টি প্রশ্ন থাকবে। এমসিকিউ পরীক্ষার মেধাক্রমের ফলাফলের ভিত্তিতে প্রতিটি ইউনিটের আসনসংখ্যার ১০ গুণ পরীক্ষার্থীর লিখিত পরীক্ষার খাতা মূল্যায়ন করা হবে। এই পরীক্ষার্থীদের এমসিকিউ ও লিখিত পরীক্ষায় প্রাপ্ত নম্বরের যোগফলের ভিত্তিতে চূড়ান্ত ফলাফল প্রকাশ করা হবে। চূড়ান্ত ফলাফলের মেধাক্রম অনুসারে পরীক্ষার্থীরা ভর্তির সুযোগ পাবেন।

আরও পড়ুন :

ঢাবিতে ভর্তির আবেদন ৫ আগস্ট থেকে, পরীক্ষা নতুন নিয়মে