অনলাইন আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে বিধিমালা অনুযায়ী একজন শিক্ষার্থী সর্বোচ্চ তিনবার মাইগ্রেশনের সুযোগ পাবেন।
অনলাইন আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে বিধিমালা অনুযায়ী একজন শিক্ষার্থী সর্বোচ্চ তিনবার মাইগ্রেশনের সুযোগ পাবেন।

এমবিবিএস-বিডিএসে ভর্তি কার্যক্রম পিছিয়েছে, নতুন তারিখ

২০২৫-২৬ শিক্ষাবর্ষের এমবিবিএস ও বিডিএস কোর্সে প্রাথমিকভাবে নির্বাচিতদের ভর্তিপ্রক্রিয়া পেছানো হয়েছে। ৩০ ডিসেম্বর থেকে ভর্তিপ্রক্রিয়া শুরু হওয়ার কথা ছিল (শেষ ৬ জানুয়ারি ২০২৬)। এর পরিবর্তে ভর্তি কার্যক্রম শুরু হবে আগামী বছরের ১০ জানুয়ারি থেকে। ভর্তি কার্যক্রম চলবে ১৮ জানুয়ারি ২০২৬ পর্যন্ত। এর আগে ৩০ ডিসেম্বর থেকে ৬ জানুয়ারি পর্যন্ত ভর্তি কার্যক্রমের তারিখ নির্ধারণ করা হয়েছিল।গতকাল রোববার (২৮ ডিসেম্বর ২০২৫) স্বাস্থ্য শিক্ষা অধিদপ্তরের এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে ।

এ–সংক্রান্ত বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, ‘২০২৫-২৬ শিক্ষাবর্ষের এমবিবিএস এবং বিডিএস কোর্সে প্রাথমিকভাবে নির্বাচিত প্রার্থীদের সংশ্লিষ্ট সরকারি মেডিকেল কলেজ ও ডেন্টাল কলেজ বা ইউনিটে ভর্তিপ্রক্রিয়া অনিবার্য কারণবশত ৩০ ডিসেম্বর থেকে ৬ জানুয়ারির পরিবর্তে আগামী ১০ জানুয়ারি থেকে ১৮ জানুয়ারি অফিস চলাকালীন পর্যন্ত নির্ধারণ করা হলো।’

ভর্তির সময় যেসব কাগজপত্র প্রয়োজন—

* ২০২৫-২৬ শিক্ষাবর্ষে এমবিবিএস এবং বিডিএস ভর্তি পরীক্ষার প্রবেশপত্র ও ফলাফলের কপি;

* এইচএসসি পরীক্ষার মূল রেজিস্ট্রেশন কার্ড;

* এসএসসি ও এইচএসসি বা সমমান পরীক্ষার একাডেমিক ট্রান্সক্রিপ্ট বা নম্বরপত্র;

* এসএসসি ও এইচএসসি বা সমমান পরীক্ষা পাসের মূল সনদপত্র ও প্রশংসাপত্র;

* স্থানীয় সিটি করপোরেশনের মেয়র অথবা পৌরসভার চেয়ারম্যান অথবা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান অথবা ওয়ার্ড কমিশনার প্রদত্ত মূল নাগরিক সনদপত্র;

* চার কপি সদ্য তোলা পাসপোর্ট সাইজের সত্যায়িত রঙিন ছবি;

* পার্বত্য জেলার উপজাতীয় প্রার্থীর ক্ষেত্রে সার্কেল চিফ এবং জেলা প্রশাসকের সনদ ও অ-উপজাতীয় প্রার্থীদের ক্ষেত্রে সার্কেল চিফ বা জেলা প্রশাসক প্রদত্ত মূল সনদপত্র এবং অন্যান্য জেলার উপজাতীয় প্রার্থীদের ক্ষেত্রে গোত্র প্রধান ও সংশ্লিষ্ট জেলা প্রশাসক প্রদত্ত মূল সনদপত্র।

স্বাস্থ্য শিক্ষা অধিদপ্তর সূত্রে জানা গেছে, ১২ ডিসেম্বর অনুষ্ঠিত এমবিবিএস ও বিডিএস ভর্তি পরীক্ষার ফলের ভিত্তিতে ভর্তি কার্যক্রম পরিচালিত হবে। ভর্তি পরীক্ষায় প্রাপ্ত নম্বরের সঙ্গে এসএসসি ও এইচএসসি পরীক্ষার নম্বর যোগ করে মেধা স্কোর নির্ধারণ করা হয়। ওই স্কোরের ভিত্তিতে ৩৭টি সরকারি মেডিকেল কলেজে এমবিবিএস কোর্সে ৫ হাজার ৪১ জন এবং সরকারি ডেন্টাল কলেজ ও ৮টি মেডিকেল কলেজের ডেন্টাল ইউনিটে ৪৬ জন শিক্ষার্থীকে প্রাথমিকভাবে নির্বাচিত করা হয়েছে।

মাইগ্রেশন নীতিমালা

নির্বাচিত শিক্ষার্থীরা সংশ্লিষ্ট কলেজে ভর্তি সম্পন্ন করার পর মাইগ্রেশনের (কলেজ পরিবর্তন) জন্য অনলাইনে আবেদন করতে পারবেন। অনলাইন আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে বিধিমালা অনুযায়ী একজন শিক্ষার্থী সর্বোচ্চ তিনবার মাইগ্রেশনের সুযোগ পাবেন বলে জানিয়েছে স্বাস্থ্য শিক্ষা অধিদপ্তর।