
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) ২০২৫-২৬ শিক্ষাবর্ষে আন্ডারগ্র্যাজুয়েট প্রোগ্রামে ভর্তি পরীক্ষার আবেদনপ্রক্রিয়া শুরু হয়েছে গত বুধবার (২৯ অক্টোবর)। আবেদনপ্রক্রিয়া চলবে ১৬ নভেম্বর পর্যন্ত।
বিশ্ববিদ্যালয়ের ওয়েবসাইটে প্রকাশিত বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, ২০২০ থেকে ২০২৩ সাল পর্যন্ত মাধ্যমিক বা সমমান এবং ২০২৫ সালের উচ্চমাধ্যমিক বা সমমানের পরীক্ষায় উত্তীর্ণ ছাত্রছাত্রীদের মধ্যে যাঁরা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে বিভিন্ন ইউনিটে ভর্তির জন্য নির্ধারিত শর্ত পূরণ করেন, কেবল তাঁরাই ২০২৫-২৬ শিক্ষাবর্ষে আন্ডারগ্র্যাজুয়েট প্রোগ্রামে ভর্তির জন্য আবেদন করতে পারবেন।
বিজ্ঞান ইউনিট
বিজ্ঞান ও কৃষিবিজ্ঞান শাখায় উচ্চমাধ্যমিক এবং মাদ্রাসা শিক্ষা বোর্ডের বিজ্ঞান শাখায় আলিম ও IGCSE/O Level ও IAL/GCE A Level পরীক্ষায় উত্তীর্ণ প্রার্থীদের মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক বা সমমানের পরীক্ষায় (৪র্থ বিষয়সহ) প্রাপ্ত জিপিএর যোগফল ন্যূনতম ৮ থাকতে হবে। মাধ্যমিক বা সমমান এবং উচ্চমাধ্যমিক বা সমমান পরীক্ষায় আলাদাভাবে ন্যূনতম জিপিএ–৩.৫ থাকতে হবে। এই শর্ত সাপেক্ষে প্রার্থীরা এই ইউনিটে ভর্তির জন্য আবেদন করতে পারবেন।
তবে উচ্চমাধ্যমিক ও মাদ্রাসা শিক্ষা বোর্ডের মানবিক ও বাণিজ্য শাখার শিক্ষার্থীরাও এই ইউনিটে ভর্তির জন্য আবেদন করতে পারবেন। সে ক্ষেত্রে শিক্ষার্থীর মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক বা সমমানের পরীক্ষায় (৪র্থ বিষয়সহ) প্রাপ্ত জিপিএর যোগফল হতে হবে ন্যূনতম ৭.৫। আলাদাভাবে ন্যূনতম ৩.০ থাকতে হবে।
উচ্চমাধ্যমিকের মানবিক শাখায় এবং মাদ্রাসা শিক্ষা বোর্ডের সাধারণ শাখায় আলিম ও IGCSE/O Level ও IAL/GCE A Level পরীক্ষায় উত্তীর্ণ প্রার্থী, যাঁদের মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক বা সমমানের পরীক্ষায় (৪র্থ বিষয়সহ) প্রাপ্ত জিপিএর যোগফল ন্যূনতম ৭.৫। মাধ্যমিক বা সমমান এবং উচ্চমাধ্যমিক বা সমমান পরীক্ষায় আলাদাভাবে ন্যূনতম জিপিএ–৩ থাকতে হবে।
তবে উচ্চমাধ্যমিক ও মাদ্রাসা শিক্ষা বোর্ডের বিজ্ঞান ও বাণিজ্য শাখার শিক্ষার্থীরাও এই ইউনিটে ভর্তির জন্য আবেদন করতে পারবেন। সে ক্ষেত্রে শিক্ষার্থীর মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক বা সমমানের পরীক্ষায় (৪র্থ বিষয়সহ) প্রাপ্ত জিপিএর যোগফল বিজ্ঞান শাখার জন্য ন্যূনতম ৮.০ (আলাদাভাবে ন্যূনতম ৩.৫) এবং বাণিজ্য শাখার জন্য ন্যূনতম ৭.৫ (আলাদাভাবে ন্যূনতম ৩.০) থাকতে হবে।
উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ডের ব্যবসায় শিক্ষা শাখা ও IGCSE/O Level এবং IAL/GCE A Level পরীক্ষায় উত্তীর্ণ প্রার্থীদের মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক বা সমমানের পরীক্ষায় (৪র্থ বিষয়সহ) প্রাপ্ত জিপিএর যোগফল ন্যূনতম ৭.৫ থাকতে হবে। মাধ্যমিক বা সমমান এবং উচ্চমাধ্যমিক বা সমমান পরীক্ষায় আলাদাভাবে ন্যূনতম জিপিএ–৩.০ থাকতে হবে।
উচ্চমাধ্যমিক ও মাদ্রাসা শিক্ষা বোর্ডের বিজ্ঞান ও মানবিক শাখার শিক্ষার্থীরাও এই ইউনিটে ভর্তির জন্য আবেদন করতে পারবেন। সে ক্ষেত্রে শিক্ষার্থীর মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক বা সমমানের পরীক্ষায় (৪র্থ বিষয়সহ) প্রাপ্ত জিপিএর যোগফল বিজ্ঞান শাখার জন্য ন্যূনতম ৮ (আলাদাভাবে ন্যূনতম ৩.৫) এবং মানবিক শাখার জন্য ন্যূনতম ৭.৫ (আলাদাভাবে ন্যূনতম ৩.০) থাকতে হবে। (ভর্তি নির্দেশিকায় বিস্তারিত তথ্য উল্লেখ থাকবে)।
মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক বা সমমানের পরীক্ষার যেকোনো শাখার শিক্ষার্থীরা এই ইউনিটে আবেদন করতে পারবেন। সে ক্ষেত্রে মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিকে (৪র্থ বিষয়সহ) জিপিএর যোগফল ন্যূনতম ৬.৫ হতে হবে এবং মাধ্যমিক বা সমমান এবং উচ্চমাধ্যমিক বা সমমান পরীক্ষায় আলাদাভাবে ন্যূনতম ৩.০ থাকতে হবে।
মাধ্যমিক বা সমমান এবং উচ্চমাধ্যমিক বা সমমানের পরীক্ষায় আলাদাভাবে ন্যূনতম ৩.৫ থাকতে হবে এবং এ দুই পরীক্ষায় প্রাপ্ত জিপিএর যোগফল ন্যূনতম ৮.০ হতে হবে।
IGCSE/O-Level ও IAL/GCE A-Level-এ উত্তীর্ণ প্রার্থীর ক্ষেত্রে : IGCSE/O-Level–এ অন্তত ৫টি বিষয়ে (Mathematics আবশ্যিক) এবং IAL/GCE A-Level–এ অন্তত ২টি বিষয়ে উত্তীর্ণ শিক্ষার্থীরা ভর্তির জন্য আবেদন করতে পারবেন। তবে IGCSE/O-Level ও IAL/GCE A-Level-এর ৭টি বিষয়ের মধ্যে কমপক্ষে ২টি বিষয়ে A গ্রেড থাকতে হবে এবং IGCSE/O-Level LAL/GCE A-Level-এ যথাক্রমে আলাদাভাবে ন্যূনতম গ্রেড পয়েন্ট ৩.৫ থাকতে হবে। পরীক্ষায় প্রাপ্ত লেটার গ্রেডের পয়েন্ট হবে : A=5.0, B=4.0, C=3.5, D=0.0।
সময়সূচি অনুযায়ী কলা, আইন ও সামাজিক বিজ্ঞান ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষা আগামী ১৩ ডিসেম্বর শনিবার, বিজ্ঞান ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষা ২০ ডিসেম্বর শনিবার, ব্যবসায় শিক্ষা ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষা আগামী ৬ ডিসেম্বর শনিবার এবং চারুকলা ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষা (সাধারণ জ্ঞান ও অঙ্কন) আগামী ২৯ নভেম্বর শনিবার অনুষ্ঠিত হবে। সব ইউনিটের পরীক্ষা বেলা ১১টা থেকে দুপুর সাড়ে ১২টা পর্যন্ত অনুষ্ঠিত হবে।
আইবিএ ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষা ২৮ নভেম্বর ২০২৫, শুক্রবার অনুষ্ঠিত হবে। পরীক্ষা সকাল ১০টা থেকে দুপুর ১২টা পর্যন্ত অনুষ্ঠিত হবে।
আবেদন ফি ১ হাজার ৫০ টাকা। চারটি রাষ্ট্রায়ত্ত বাণিজ্যিক ব্যাংকের (সোনালী, জনতা, অগ্রণী, রূপালী) যেকোনো শাখায় অথবা অনলাইনে ডেবিট/ক্রেডিট কার্ড, মোবাইল ফিন্যান্সিয়াল সেবা ব্যবহার করে শিক্ষার্থীরা আবেদন ফি জমা দেবেন।
চারুকলা ইউনিট ও আইবিএ ইউনিট ব্যতীত অন্য তিনটি ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষা ঢাকাসহ আটটি বিভাগীয় শহরে অনুষ্ঠিত হবে। বিভাগীয় কেন্দ্রগুলো হচ্ছে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়, বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়, খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়, শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়, বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়, ময়মনসিংহ/কবি নজরুল বিশ্ববিদ্যালয় ত্রিশাল ও বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়।
এর আগে এ–সংক্রান্ত সভায় চারুকলা ইউনিট ছাড়া অন্যান্য ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষায় ৬০ নম্বরের বহুনির্বাচনী প্রশ্ন (এমসিকিউ) ও ৪০ নম্বরের লিখিত পরীক্ষা হবে। শুধু চারুকলা ইউনিটের পরীক্ষায় ৪০ নম্বরের বহুনির্বাচনী প্রশ্ন ও ৬০ নম্বরের অঙ্কন পরীক্ষা গ্রহণের সিদ্ধান্ত হয়। চারুকলা ইউনিটের বহুনির্বাচনী প্রশ্নের পরীক্ষার জন্য ৩০ মিনিট এবং লিখিত পরীক্ষার জন্য ৬০ মিনিট সময় নির্ধারণ করা হয়েছে। অন্যান্য ইউনিটের বহুনির্বাচনী প্রশ্ন পরীক্ষার জন্য ৪৫ মিনিট এবং লিখিত পরীক্ষার জন্য ৪৫ মিনিট সময় নির্ধারণ করা হয়েছে। ভর্তি পরীক্ষায় মোট ১২০ নম্বরের ভিত্তিতে শিক্ষার্থীদের মূল্যায়ন করা হবে। এর মধ্যে ভর্তি পরীক্ষায় ১০০ এবং মাধ্যমিক বা সমমান এবং উচ্চমাধ্যমিক বা সমমান পরীক্ষার ফলের ওপর থাকবে ২০ নম্বর।