Thank you for trying Sticky AMP!!

চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের আটকে থাকা একাডেমিক পরীক্ষা স্বাস্থ্যবিধি মেনে

করোনা মহামারির কারণে স্বাস্থ্যবিধি মেনে স্নাতক ও স্নাতকোত্তরের আটকে থাকা পরীক্ষা নেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় (চবি) কর্তৃপক্ষ। আজ রোববার দুপুরে বিশ্ববিদ্যালয়ের একাডেমিক কাউন্সিলের সভায় এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। উপাচার্য শিরীন আখতারের সভাপতিত্বে প্রশাসনিক ভবনের সম্মেলনকক্ষে এ সভা অনুষ্ঠিত হয়।

সভায় মোটা দাগে তিনটি সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। এক. স্বাস্থ্যবিধি মেনে অগ্রাধিকার ভিত্তিতে আটকে থাকা পরীক্ষা আয়োজন। দুই. করোনার তীব্রতা বাড়ার আশঙ্কায় আবাসিক হল বন্ধ রাখা। তিন. পরীক্ষা কবে হবে, কীভাবে হবে, শিক্ষার্থীরা কোথায় থাকবেন; তা ঠিক করতে কমিটি গঠন।

একাডেমিক কাউন্সিলের সদস্য কাজী এস এম খসরুল আলম প্রথম আলোকে এসব বিষয় জানিয়ে বলেন, আটকে থাকা পরীক্ষা কবে হবে সে সিদ্ধান্ত হয়নি। হল বন্ধ থাকবে। ফলে শিক্ষার্থীরা এসে কোথায় থাকবেন তা ঠিক করতে হবে। এ কারণ কমিটি গঠন করতে বলা হয়েছে। কমিটি একটি পূর্ণাঙ্গ নির্দেশনা প্রস্তুত করবে। এরপর নির্দেশনামতে অগ্রাধিকার ভিত্তিতে পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে।

বিশ্ববিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার ও একাডেমিক কাউন্সিলের সচিব এস এম মনিরুল হাসান বলেন, প্রায় সব কটি বিভাগ ও ইনস্টিটিউটে পরীক্ষা আটকে আছে।

কারও একটি পরীক্ষা, আবার কারও দুটি-তিনটি। অনেকের ভাইভা, ব্যবহারিক পরীক্ষাও আটকে আছে। ফলে অগ্রাধিকারের ভিত্তিতে এসব পরীক্ষা নেওয়া হবে।

অবশ্য করোনার আগে যাঁদের পরীক্ষা একেবারে শুরুই হয়নি, তাঁরা তালিকার শেষে থাকবে। মূলত, কয়েকটি হয়ে আটকে আছে এমন বর্ষের পরীক্ষা নিয়ে নেওয়া হবে।
চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে বর্তমানে ৯টি অনুষদে ৪৮টি বিভাগ ও ৬টি ইনস্টিটিউট রয়েছে।

শিক্ষার্থী আছেন প্রায় ২৫ হাজার, বিপরীতে শিক্ষক আছেন ৯২০ জন। এ ছাড়া শিক্ষার্থীদের জন্য হল রয়েছে ১৩টি। এর মধ্যে ছাত্রদের ৮টি, ছাত্রীদের জন্য ৫টি।