এইচএসসি পরীক্ষায় সমাজকর্ম প্রথম ও দ্বিতীয় পত্রে বেশি নম্বর পেতে হলে

প্রিয়, এইচএসসি পরীক্ষার্থী, সমাজকর্ম প্রথম ও দ্বিতীয় পত্রের এই দুই বিষয়েই সংক্ষিপ্ত সিলেবাসে পরীক্ষা হবে। পরীক্ষার আগে কদিন ভালো করে পড়ো।

বহুনির্বাচনী অংশে ভালো করতে হলে নির্ধারিত অধ্যায়গুলো মনোযোগ সহকারে রিভিশন দেবে। সমাজকর্ম প্রথম ও দ্বিতীয় পত্রে বেশি নম্বর পেতে হলে অবশ্যই তোমাকে বহুনির্বাচনী অংশে ভালো করতে হবে।

সৃজনশীল প্রশ্নের উত্তর দেওয়ার আগে উদ্দীপকটি অবশ্যই ভালোভাবে পড়তে হবে। বিশেষ করে প্রয়োগ ও উচ্চতর দক্ষতামূলক উত্তর লেখার আগে উদ্দীপকটি কয়েকবার পড়ে নিতে হবে।

উদ্দীপকটি সাধারণত মৌলিক, সম্পূর্ণ নতুন এবং বাস্তব জীবনের সঙ্গে সম্পর্কিত হয়ে থাকে। তাই সুনির্দিষ্ট ধারণা খুঁজে বের করে পাঠ্যপুস্তকের আলোকে যুক্তি ও তথ্য–প্রমাণ উপস্থাপনের মাধ্যমে সেই ধারণা ব্যাখ্যা করবে। সৃজনশীল প্রশ্নপদ্ধতিতে চারটি অংশ (জ্ঞান, অনুধাবন, প্রয়োগ ও উচ্চতর দক্ষতা) মিলে একটি পূর্ণাঙ্গ প্রশ্ন।

জ্ঞানমূলক অংশ

জ্ঞানমূলক অংশের প্রশ্নের নম্বর ১। এ পর্যায়ে প্রশ্নের ধরন হলো কী, কখন, কোথায়, কাকে বলে, সংজ্ঞা দাও—এসব শব্দের মাধ্যমে উত্তর অতি সংক্ষেপে এক বা দুই বাক্যে দেবে। যেমন পেশা কাকে বলে? এর উত্তর: একটি নির্দিষ্ট শাখায় তাত্ত্বিক জ্ঞানার্জন ও ব্যবহারিক দক্ষতা অর্জন করে, সে জ্ঞানকে জীবনধারণের উপায় হিসেবে বাস্তব ক্ষেত্রে প্রয়োগ করাকে পেশা বলা হয়।

অনুধাবনমূলক অংশ

অনুধাবনমূলক প্রশ্নের নম্বর ২। এর মধ্যে ১ নম্বর জ্ঞানের জন্য আর ১ নম্বর অনুধাবনের জন্য। অনুধাবনমূলক প্রশ্নের উত্তর দুই প্যারায় লেখার চেষ্টা করবে। প্রথম প্যারায় (জ্ঞানমূলক অংশ) যে বিষয় জানতে চাওয়া হয়েছে, সে বিষয়ে লিখবে। দ্বিতীয় প্যারায় অনুধাবনের দিকটি স্পষ্ট করবে।

প্রয়োগমূলক অংশ

প্রয়োগমূলক প্রশ্নে মোট নম্বর থাকবে ৩। জ্ঞানে ১ নম্বর, অনুধাবনে ১ নম্বর ও প্রয়োগে ১ নম্বর। তাত্ত্বিক বিষয়টি জ্ঞানের দিক, প্রথম প্যারায় জ্ঞানের অংশের উত্তর লিখবে। প্রসঙ্গটি পাঠ্যবইয়ের আলোকে ব্যাখ্যা করাই হলো অনুধাবন, দ্বিতীয় প্যারায় অনুধাবন অংশের উত্তর লিখবে। সব শেষে ওই দিকটি উদ্দীপকে কীভাবে ফুটে উঠেছে, তা বিশ্লেষণ করাই প্রয়োগ। প্রয়োগ অংশে প্রতীক, সারণি ও চিত্র ব্যবহার করা যেতে পারে।

উচ্চতর দক্ষতামূলক অংশ

উচ্চতর দক্ষতামূলক প্রশ্নের মোট নম্বর ৪। উচ্চতর দক্ষতা মানেই একটি সিদ্ধান্তের ব্যাপার। এ ক্ষেত্রে উদ্দীপকের আলোকে একটি সিদ্ধান্ত গ্রহণ করে তার সপক্ষে তথ্য, তত্ত্ব, যুক্তি ও রেফারেন্সের ভিত্তিতে বিষয়টি ব্যাখ্যা-বিশ্লেষণ করতে হবে। তুলনামূলক বিচার-বিবেচনার ভেতর দিয়ে শিক্ষার্থী তার নিজস্ব ও আলাদা দৃষ্টিভঙ্গি তুলে ধরতে পারছে কি না, তা-ই এই অংশের বিবেচ্য বিষয়।

দরকারি তথ্য—

বিভিন্ন আইনের পটভূমি, সমাজকমে৴র মূল্যবোধ, ওয়াক্ফ, সামাজিক নিরাপত্তা, বিধবা বিবাহ, নারীশিক্ষা থেকে প্রশ্ন আসার সম্ভাবনা বেশি। সমাজকর্ম দ্বিতীয় পত্রে চিকিৎসা সমাজকর্ম, সামাজিক সমস্যা, ১৯৬১ সালের মুসলিম পারিবারিক আইন অনেক গুরুত্বপূর্ণ। সঠিকভাবে উত্তর দিতে পাঠ্যবইয়ের ওপর ভালো ধারণা থাকতে হবে। সে জন্য পাঠ্যবইটি বুঝে পড়বে। বহুনির্বাচনী অংশে প্রতিটি অধ্যায় থেকেই প্রশ্ন করা হয়। এ ক্ষেত্রে প্রতিটি অধ্যায়ে সমাজবিজ্ঞানীর নাম, সংজ্ঞা, সাল, বৈশিষ্ট্য, পটভূমি প্রভৃতি খুব ভালো করে পড়তে হবে।

* লেখক: মাহমুদ বিন আমিন, প্রভাষক, সরকারি শহীদ সোহরাওয়ার্দী কলেজ, ঢাকা