
জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের চলমান আন্দোলনের পরিপ্রেক্ষিতে জকসু সংবিধির প্রস্তাব গৃহীত হয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের ১০২তম বিশেষ সিন্ডিকেট সভায় এ সিদ্ধান্ত হয়।
মঙ্গলবার বিকেল পাঁচটা থেকে রাত সাড়ে নয়টা পর্যন্ত অনলাইনে বিশেষ এ সিন্ডিকেট সভা হয়। তবে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা বলছেন, তাঁদের অপর দাবি পূরণ না হওয়ায় ও জকসুর বিষয়ে সুস্পষ্ট বার্তা তাঁদের হাতে না আসায় অবস্থান কর্মসূচি চলবে।
এক সিন্ডিকেট সদস্য বলেন, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (জকসু) নিয়ে সিন্ডিকেট সভা হয়েছে। তবে সেখানে সম্পূরক বৃত্তি নিয়ে কোনো আলোচনা হয়নি। তিনি জানান, এমফিল পিএইচডিতে অধ্যয়নরত কোনো ব্যক্তি জকসু নির্বাচনে ভোটার ও প্রার্থী হতে পারবেন না। একই সঙ্গে স্থায়ী চাকরি করা কোনো শিক্ষার্থীও ভোটার কিংবা প্রার্থী হতে পারবেন না। তবে যেসব শিক্ষার্থী অস্থায়ী চাকরি করছেন তাঁরা ভোটার ও প্রার্থী হতে পারবেন।
বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক মো. রেজাউল করিম প্রথম আলোকে বলেন, ‘আজ সিন্ডিকেটে সাড়ে তিন ঘণ্টা দীর্ঘ আলোচনা হয়েছে। সেখানে সংবিধি গৃহীত হয়েছে কিন্তু এখনো অনেকগুলো বিষয় চূড়ান্ত হয়নি। কিছু সুনির্দিষ্ট বিষয়ের ওপর প্রস্তাব এসেছে, সেগুলো সিন্ডিকেট সদস্যরা আগামীকালের মধ্যে জমা দেবেন। এসব প্রস্তাব পাওয়া মাত্র নীতিমালাটি চূড়ান্ত করে আগামী রোববারের মধ্যে ইউজিসিতে (বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন) পাঠানো হবে।’
আবাসন খাতে শিক্ষার্থীদের সম্পূরক বৃত্তি এবং জকসু নীতিমালা ও এর পথনকশার ঘোষণার দাবিতে মঙ্গলবার পঞ্চম দিনের মতো প্রশাসনিক ভবনের নিচে অবস্থান কর্মসূচি পালন করেছেন শিক্ষার্থীরা। তাঁরা জানিয়েছেন, বিশেষ সিন্ডিকেট সভায় জকসু সংবিধির প্রস্তাব গৃহীত হলেও বুধবার ষষ্ঠ দিনের মতো অবস্থান কর্মসূচি চলবে। তাঁদের ভাষ্য, বৃত্তি ও জকসুর বিষয়ে কর্তৃপক্ষের কাছ থেকে সুস্পষ্ট দিকনির্দেশনা না আসার আগ পর্যন্ত আন্দোলন চালিয়ে যাওয়া হবে।
বিশ্ববিদ্যালয়ের ২০১৯-২০ শিক্ষাবর্ষের ব্যবস্থাপনা বিভাগের শিক্ষার্থী ফয়সাল মুরাদ প্রথম আলোকে বলেন, ‘সম্পূরক বৃত্তি এবং জকসু নিয়ে লিখিত সিদ্ধান্ত আসার আগ পর্যন্ত আমাদের অবস্থান কর্মসূচি চালু থাকবে। দাবি আদায় না করে আমরা আন্দোলন থেকে সরব না।’