Thank you for trying Sticky AMP!!

তিউনিসিয়ায় আন্দোলন করায় বেতন খোয়ালেন ১৭ হাজার শিক্ষক, বরখাস্ত ৩৫০ অধ্যক্ষ

তিউনিসিয়ায় বেতন বাড়ানোর দাবিতে আন্দোলন করায় ১৭ হাজার শিক্ষকের বেতন বন্ধ করে দিয়েছে দেশটির সরকার

আফ্রিকার দেশ তিউনিসিয়ার শিক্ষকেরা বেতন বৃদ্ধির দাবিতে আন্দোলন করেছিলেন। এ আন্দোলন করায় ১৭ হাজার শিক্ষকের বেতন বন্ধ করে দিয়েছে দেশটির সরকার। একই সঙ্গে ৩৫০ স্কুলের অধ্যক্ষকে বরখাস্ত করা হয়েছে। তিউনিসিয়া কঠিন অর্থনৈতিক সংকটের মধ্য দিয়ে যাচ্ছে। এ সিদ্ধান্ত দেশটির পরিস্থিতি আরও খারাপ করে তুলবে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।

Also Read: যুক্তরাজ্য আইআরপি প্রকল্পে নেবে শিক্ষক, সুযোগ পাচ্ছে কোন কোন দেশ

বার্তা সংস্থা রয়টার্সের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, তিউনিসিয়া ১৭ হাজার শিক্ষকের বেতন দেওয়া স্থগিত করেছে। বেতন বৃদ্ধির দাবিতে বিক্ষোভের জন্য ৩৫০ স্কুলের অধ্যক্ষকে বরখাস্ত করা হয়েছে।

আন্দোলনের জেরে বেতন স্থগিত করার এ সিদ্ধান্ত তিউনিসিয়ার প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রায় ৩০ শতাংশ শিক্ষক ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারেন। তিউনিসিয়ার নাগরিকেরা আগে থেকেই অর্থনৈতিক সংকটের মধ্য দিয়ে যাচ্ছেন। বেতন বন্ধের বিষয়ে সরকারের এ সিদ্ধান্ত শক্তিশালী ইউজিটিটি ইউনিয়নের সঙ্গে বিরোধ আরও বাড়িয়ে তুলবে বলে মনে করা হচ্ছে। এ অবস্থায় নিজেদের প্রতিবাদের অংশ হিসেবে শিক্ষকেরা স্কুলে শিক্ষার্থীদের গ্রেড দিতে অস্বীকার করেছেন।

Also Read: আগামী বছরের এসএসসি পরীক্ষা ৩ ঘণ্টায়, ১০০ নম্বরে

তিউনিসিয়া ১৭ হাজার শিক্ষকের বেতন স্থগিত। বেতন বৃদ্ধির দাবিতে বিক্ষোভের জন্য ৩৫০ স্কুলের অধ্যক্ষকে বরখাস্ত করা হয়েছে

তিউনিসীয় শিক্ষামন্ত্রী মোহাম্মদ আলী বোগদিরি বলেন, স্কুলের শিক্ষার্থীদের গ্রেড না দেওয়া কার্যত একটি বিপর্যয়ের ঘটনা। এটি শিশু শিক্ষার্থীদের বিরুদ্ধে একধরনের অপরাধ।

শিক্ষক ইউনিয়নের কর্মকর্তা ইকবেল আজ্জাবি রয়টার্সকে বলেন, বেতন বন্ধের এ সিদ্ধান্তের লক্ষ্য হচ্ছে তিউনিসিয়ার ‘শিক্ষকদের অনাহারে’ রাখার মতো। এতে প্রত্যাশিত প্রতিবাদ ও আন্দোলনের কারণে স্কুলের পরবর্তী কার্যক্রম চালানো বেশ কঠিন হবে। এর প্রতিবাদে ইতিমধ্যেই শত শত স্কুলের অধ্যক্ষ তাঁদের পদত্যাগপত্র জমা দিতে শুরু করেছেন।

তিউনিসিয়ার শিক্ষা মন্ত্রণালয় বলছে, দেশের সরকারি অর্থে শিক্ষকদের দাবি পূরণ করার সুযোগ নেই।

শিক্ষা মন্ত্রণালয় ও শিক্ষক ইউনিয়নের মধ্যে এ দ্বন্দ্ব তিউনিসিয়ায় চলমান সংকটকে আরও গভীর করবে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। একই সঙ্গে এ অবস্থা চলতে থাকলে পরবর্তী সেশনে স্কুলের শিক্ষা কার্যক্রম শুরু হুমকির মুখে পড়তে পারে।