Thank you for trying Sticky AMP!!

সীমান্তে অস্থিরতা, পরবর্তী আদেশ না দেওয়া পর্যন্ত নাইক্ষ্যংছড়ির ৫টি স্কুল বন্ধ

বাংলাদেশ-মিয়ানমার সীমান্ত এলাকায় অস্থিরতার কারণে বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার ঘুমধুম ইউনিয়নের সীমান্তবর্তী পাঁচটি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় সাময়িকভাবে বন্ধ ঘোষণা করেছে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়।

শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তা বিবেচনায় বাইশপারি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, ভাজবনিয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, তুমব্রু সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, পশ্চিমকুল তুমব্রু সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ও দক্ষিণ ঘুমধুম সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে।

Also Read: এসএসসি পরীক্ষার কেন্দ্র পরিদর্শন নিয়ে নতুন সিদ্ধান্ত নিলেন শিক্ষামন্ত্রী

আজ সোমবার প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে। বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, পরবর্তী আদেশ না দেওয়া পর্যন্ত এসব স্কুল বন্ধ থাকবে। স্থানীয় পরিস্থিতির উন্নতি হলে জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার, বান্দরবান পার্বত্য জেলা ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সঙ্গে আলোচনা করে এসব বিদ্যালয়ে আবার পাঠদান করাসহ বিদ্যালয় খোলার প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করবেন।

Also Read: ব্রিটিশ কাউন্সিল দেবে ১ মিলিয়ন পাউন্ডের অনুদান, দেখুন বিস্তারিত

বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার ঘুমধুম ইউনিয়নে মিয়ানমার থেকে ছোড়া মর্টার শেলের আঘাতে দুজন নিহত হয়েছেন। নিহত দুজনের মধ্যে একজন বাংলাদেশি নারী, অন্যজন রোহিঙ্গা পুরুষ। আজ বেলা পৌনে তিনটার দিকে ঘুমধুম ইউনিয়নের জলপাইতলী গ্রামের একটি রান্নাঘরের ওপর মর্টার শেলটি এসে পড়ে।

Also Read: মাদরাসা ও কারিগরি শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা পাবেন বিশেষ মঞ্জুরির টাকা, অর্থ যাবে নগদে

সীমান্তের আশপাশের বাসিন্দারা জানিয়েছেন, গতকাল রোববার রাত থেকে সীমান্তের ওপারে মিয়ানমারের বর্ডার গার্ড পুলিশের (বিজিপি) ব্যাটালিয়ন সদর দপ্তর ঢেঁকিবনিয়া থেকে তীব্র গোলাগুলির শব্দ ভেসে আসছে। সেখানে রাখাইন রাজ্যের বিদ্রোহী গোষ্ঠী আরাকান আর্মি (এএ) বিজিপির ব্যাটালিয়ন সদর দপ্তরে হামলা চালালে এ লড়াই শুরু হয় বলে জানা গেছে। লড়াইয়ে উভয় পক্ষ মর্টার শেল, রকেট লঞ্চার, মেশিনগানসহ ভারী অস্ত্র ব্যবহার করছে। এর আগে গতকাল বিজিপির আরেকটি চৌকি তুমব্রু রাইট ক্যাম্প আরাকান আর্মি দখল করে বলে জানা গেছে। ওই চৌকি থেকে ঢেঁকিবনিয়ার দূরত্ব মাত্র দুই কিলোমিটার।

স্থানীয় সূত্রের ভাষ্য অনুযায়ী, এর আগে গত ২৯ ও ৩১ জানুয়ারি ঘুমধুম সীমান্তের ওপার থেকে গোলাগুলির শব্দ শোনা যায়। সে সময় মর্টার শেল ও গোলার অন্তত চারটি অংশ তুমব্রু, কোনারপাড়া ও পশ্চিম ঘুমধুমে এসে পড়ে।