পবিত্র রমজান মাস সিয়াম সাধনা এবং ইবাদত বন্দেগীর উৎকৃষ্ট সময়। শিক্ষার্থীদের এ সময় রোজা রেখে এমনিতেই শরীর-মন থাকে ক্লান্ত। তার ওপর যদি বলা হয় পড়াশোনার কথা, তাহলে তো আরও বেশি ক্লান্তি লাগে। কিন্তু এই রমজানের সময়েই একটুখানি কৌশলী হলে অন্যদের থেকে পড়াশোনায় এগিয়ে থাকা যায়। স্কুল-কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয়ের পরীক্ষায়, কিংবা জীবনের যেকোনো প্রতিযোগিতামূলক পরীক্ষায় পাওয়া যায় সাফল্যের ছোঁয়া।
রমজানে দিনের বেলায় দেখা যায়, আমরা তেমন পড়াশোনা করতে চাই না। নামাজ পড়ে, ইবাদত-বন্দেগি করে এবং শুয়েবসেই কাটিয়ে দেওয়া হয়। যারা রোজা রাখে না, তাদের ক্ষেত্রেও প্রায় একই ব্যাপার ঘটে। ইফতারের পরও পড়তে বসতে মন চায় না। তারাবিহর পর না ঘুমিয়ে সাহ্রি পর্যন্ত পড়াশোনা করার একটা প্রবণতা থাকে। কিন্তু সারা দিন রোজা রেখে, ভরপেট খাওয়াদাওয়া করে রাতের এই সময় আমাদের মস্তিষ্ক পড়া মনে রাখার জন্য প্রস্তুত থাকে না।
পড়াশোনার রুটিন কোনটি ভালো আর কোনটি খারাপ, তা ব্যক্তিবিশেষের ওপর নির্ভর করে। তবে সাধারণভাবে একটি পদ্ধতির কথা বলা যায়।
১. ফজরের পর এক থেকে দেড় ঘণ্টা পড়তে হবে। এরপর জোহর পর্যন্ত ঘুমিয়ে নিতে হবে।
২. জোহরের পর থেকে আসর পর্যন্ত পড়তে হবে।
৩. আসরের পর থেকে মাগরিব পর্যন্ত সময়টায় ইবাদত-বন্দেগি, কিংবা একটু বাইরে ঘোরাঘুরি, হালকা খেলাধুলা, বন্ধু-পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে সময় দেওয়ায় কাজে লাগাতে হবে।
৪. ইফতারে পেট ভরে খাওয়া যাবে না। ভাজা-পোড়া কম খেতে হবে, একেবারে না খেতে পারলে ভালো। ইফতারের পর এশা পর্যন্ত পড়াশোনা করতে হবে।
৫. তারাবিহর পর দেরি না করে দ্রুত ঘুমিয়ে পড়ে সাহ্রির ঘণ্টাখানেক আগে উঠে পড়তে বসতে হবে।
৬. সবচেয়ে বেশি গুরুত্ব দিতে হবে, জোহরের পর থেকে আসর পর্যন্ত পড়ার সময়টায়, আর ফজরের পরের সময়টাতে।
১. সাহ্রি করে ফজর নামাজের পর থেকে ক্লাসে যাওয়ার আগ পর্যন্ত পড়তে হবে।
২. ক্লাস থেকে ফিরে ইফতারের আগ পর্যন্ত সময়টায় ইবাদত-বন্দেগি, কিংবা একটু বাইরে ঘোরাঘুরি, হালকা খেলাধুলা, বন্ধু-পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে সময় দেওয়ায় কাজে লাগাতে হবে।
৩. ইফতারে পেট ভরে খাওয়া যাবে না। ভাজা-পোড়া কম খেতে হবে, একেবারে না খেতে পারলে ভালো। ইফতারের পর এশা পর্যন্ত পড়াশোনা করতে হবে।
৪. তারাবিহর পর দেরি না করে দ্রুত ঘুমিয়ে পড়তে হবে।
৫. সবচেয়ে বেশি গুরুত্ব দিতে হবে ফজরের পরের সময়টাতে।
এটাই সবচেয়ে ভালো রুটিন, ঠিক এমনটা নয়। তবে রমজানের এই সময়কে কাজে লাগিয়ে পড়াশোনায় অন্যদের তুলনায় এগিয়ে থেকেছেন এবং ক্যারিয়ারেও ভালো করছেন, এমন ব্যক্তিদের ক্ষেত্রে এ রকম একটি রুটিন মেনে চলার প্রবণতা দেখা যায়।
যারা এখনো পড়াশোনায় অনিয়মিত তাঁদের ক্ষেত্রে এই রুটিনটি দিয়ে শুরু করা যেতে পারে। ধীরে ধীরে নিজের মতো করে কিছুটা পরিবর্তন করে নিতে পারেন।