Thank you for trying Sticky AMP!!

বিদায়ের বেদনায় ভাঙল চারুকলা উৎসব

আন্তর্জাতিক চারুকলা উৎসব-২০২০–এর সমাপনী দিনে দেশ–বিদেশের শিল্পীদের আঁকা ছবির প্রদর্শনী দেখছেন দর্শনার্থীরা। গতকাল নীলফামারীর নীলসাগরে। ছবি: প্রথম আলো

নীলফামারীর নীলসাগরে অনুষ্ঠিত চার দিনব্যাপী আন্তর্জাতিক চারুকলা উৎসব শেষ হয়েছে। গতকাল শনিবার দুপুরে নীলসাগর দিঘির পাড়ে এক সমাপনী অনুষ্ঠানের মাধ্যমে বিদায়ের বেদনা নিয়ে পরিসমাপ্তি ঘটে এ উৎসবের।

তবে শিল্পীদের আঁকা চিত্রকর্ম নিয়ে আয়োজন করা প্রদর্শনী চলেছে গতকাল সন্ধ্যা পর্যন্ত। উৎসবে অংশ নেওয়া দেশি-বিদেশি ও খুদে শিল্পীদের আঁকা ছবিগুলো ছিল এ প্রদর্শনীতে।
সমাপনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি তথ্য ও যোগাযোগ প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহ্মেদ। তিনি তাঁর বক্তব্যে বলেন, ‘ভালো মানুষ যদি রাজনীতিতে না আসেন, তাহলে খারাপ মানুষদের দিয়ে রাজনীতি পরিচালিত হবে। এ জন্য আমাদের ভালো মানুষ তৈরির কাজ করতে হবে। সেটি তৈরির মাধ্যম শিল্পকলা।’

অনুষ্ঠানের সভাপতি ও ‘আন্তর্জাতিক চারুকলা উৎসব ২০২০’-এর প্রধান পৃষ্ঠপোষক স্থানীয় সাংসদ আসাদুজ্জামান নূর, ‘শিশুদের ছবি আঁকার মধ্য দিয়ে একটা বোধের সৃষ্টি হবে। আর সে বোধ হবে মানবিকতার, সৌন্দর্যের প্রতি, মানুষের প্রতি, দেশের প্রতি ভালোবাসার।’

দুপুরে প্রদর্শনীস্থলে গিয়ে দেখা যায়, বিভিন্ন স্কুল-কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের পাশাপাশি নানা বয়সের, নানা পেশার মানুষ ভিড় করেছেন। ছবি দেখার পাশাপাশি মুঠোফোনে কেউ ছবি তুলছেন, কেউবা আঁকা চিত্রকর্মগুলোর সঙ্গে সেলফি তুলছেন। লুঙ্গি পরিহিত মাঝবয়সী একজন খুঁটিয়ে খুঁটিয়ে চিত্রকর্মগুলো দেখছিলেন। এ সময় কথা বলে জানা যায়, তাঁর নাম মহিবুল ইসলাম (৫৫)। পাশের ধোপাডাঙ্গা গ্রামে তাঁর বাড়ি। পেশায় কৃষক। তিনি বলেন, ‘আমাদের ছোট বাচ্চারা এত সুন্দর ছবি এঁকেছে, তাই দেখতে এসেছি। আমার খুব ভালো লাগছে।’
উৎসবে অংশ নেওয়া দশম শ্রেণির শিক্ষার্থী মাহাজাবিন আফরোজ বলে, ‘আমরা চার দিন ধরে একসঙ্গে গুণী শিল্পীদের সঙ্গে কাটিয়েছি। অনেক কিছু জানতে পেরেছি। এটা অনেক আনন্দের। আজ ঘরে ফিরে যাচ্ছি ভাবতে খারাপ লাগছে।’

অনুষ্ঠানে জেলা প্রশাসক মো. হাফিজুর রহমান চৌধুরী, পুলিশ সুপার মোহাম্মদ মোখলেছুর রহমান, জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি দেওয়ান কামাল আহমেদ, উৎসব কমিটির আহ্বায়ক অধ্যাপক মোহাম্মদ ইউনুস, কিউরেটর হারুন অর রশীদ, সদস্যসচিব ওয়াদুদ রহমান প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।