এনজি শট : বাঁধন

হাসতে হাসতে পেট ব্যথা হয়ে গিয়েছিল

>

‘এনজি শট’ মানে ‘নট গুড শট’। অভিনয়শিল্পীরা শুটিংয়ের সময় প্রায়ই এ ঘটনার মুখোমুখি হন। সেই অভিজ্ঞতা কখনো বিরক্তির, কখনো মজার আবার কখনোবা মধুর। এই বিভাগে আজ জেনে নিন বাঁধনের এনজি শটের মজার স্মৃতি।

বাঁধন
বাঁধন

আল হাজেনের লড়াই নাটকের একটি দৃশ্য করতে গিয়ে একাধিক এনজি শটের কবলে পড়েছিলাম। নাটকটিতে আমার স্বামী থাকেন আরফান আর বাবা আমিরুল হক চৌধুরী। বাবা তিনটি বিয়ে করেছেন। দৃশ্যটি—আমার বাবা তাঁর আরেক ঘরের ছেলে মোশাররফ করিমের নামে সব সম্পত্তি লিখে দেবেন। তা জানতে পেরে আমার স্বামীকে নিয়ে বাবার বাড়িতে যাই। বাবা উঠানে বসে আছেন। আমি খুব সিরিয়াস চেহারা করে বাবাকে বলব, ‘এক ঘরের ছেলেকে সব লিখে দেওয়া চলবে না। আমরা দাবি ছাড়ব না। যদি আমাদের বঞ্চিত করে সব লিখে দেন, তাহলে আখেরাতেও আপনার জায়গা হবে না।’
সবাই আমরা প্রস্তুত। ক্যামেরা চলছে। বাবার দিকে তাকিয়ে সংলাপ দেওয়া শুরু করেছি। এরপর আরফানের দিকে তাকাতেই তাঁর মুখের এক্সপ্রেশন দেখে আমি আর সংলাপ দিতে পারলাম না। মাঝপথে আটকে গেলাম। কোনোভাবেই হাসি চেপে রাখতে পারলাম না। হাসতে হাসতে পেট ব্যথা হয়ে গিয়েছিল। এরপর যতবারই দৃশ্যটি করার চেষ্টা করি, আরফানের দিকে তাকালেই ওই একই অবস্থা তৈরি হয়। এভাবে কতবার যে শটটি এনজি হয়েছিল, হিসেব নেই! এরপর কোনোভাবেই যখন সম্ভব হলো না, তখন মাস্টার শট বাদ দিয়ে সবার আলাদা আলাদা ক্লোজ শট নিয়ে কোনো রকমে দৃশ্যটি শেষ করা হয়।
শফিক আল মামুন