
কেউ মোটামুটি পরিচিতি পেয়েছিলেন, কেউ আবার ততটা পাননি। তবে তাঁদের মধ্যে মিল একটাই, যেমন হুট করে এসেছিলেন, তেমনই হুট করেই আড়ালে চলে গেছেন। পিঙ্কভিলা অবলম্বনে জেনে নেওয়া যাক এমন পাঁচ নায়িকার খবর।
তানিশা মুখার্জি
কাজলের ছোট বোন তানিশা মুখার্জির অভিষেক হয় ‘শসসস...’ সিনেমা দিয়ে। ২০০৩ সালে মুক্তি পায় হিন্দি সিনেমাটি। তাঁকে আবেদনময়ী চরিত্রে পাওয়া যায় ‘নীল অ্যান্ডি নিকি’ সিনেমায়। এ ছাড়া ছিলেন ‘সরকার’, ‘ট্যাঙ্গো চার্লি’ ছবিতে।
ব্যাপক খ্যাতি পেয়েছিলেন বলা যাবে না, তবে বলিউড মোটাদাগে পরিচিতি পেয়েছিলেন তানিশা। কিন্তু বিভিন্ন সিনেমা থেকে পরে বাদ পড়তে থাকেন তিনি, সঙ্গে যোগ হয় ব্যক্তিগত নানা ঝামেলা। শেষ পর্যন্ত আড়ালে চলে যান তানিশা। পরে রিয়েলিটি শো ‘বিগ বস’ দিয়ে প্রত্যাবর্তনের চেষ্টা করে সফল হননি।
গায়েত্রী যোশী
নির্মাতা আশুতোষ গোয়াড়িকরের সিনেমা ‘স্বদেশ’-এ শাহরুখ খানের সঙ্গে অভিষেক। এর চেয়ে ভালো অভিষেক আর কী হতে পারে। কিন্তু গায়েত্রী যোশীর ক্যারিয়ারের এই একটি সিনেমাই; আর পর্দায় দেখা যায়নি তাঁকে। ২০০৫ সালে ব্যবসায়ী বিকাশ ওবেরয়কে বিয়ে করে বিনোদন দুনিয়া থেকে অবসর নেন তিনি।
কোয়েনা মিত্র
আইটেম গান দিয়ে ঝড় তুলেছিলেন কোয়ানা মিত্র, পরে করেন ‘মুসাফির’, ‘এক খিলাড়ি এক হাসিনা’ ইত্যাদি সিনেমা। হিন্দি সিনেমার পাশাপাশি দক্ষিণি সিনেমাতেও দেখা গেছে তাঁকে। কিন্তু ২০০৭ সালের পর থেকে ধীরে ধীরে পাদপ্রদীপের আড়ালে চলে থাকেন অভিনেত্রী। পরে রিয়েলিটি শো দিয়ে চেষ্টা করেছেন বটে, কিন্তু ফিরতে পারেননি। ২০১৫ সালে বাংলা সিনেমা ‘বেশ করেছি প্রেম করেছি’তে দেখা যায় কোয়েনাকে।
কিম শর্মা
২০০০ সালে তারকাবহুল ‘মোহাব্বতে’ সিনেমা দিয়ে অভিষেক, সিনেমার অন্য নতুন তারকাদের সঙ্গে তিনিও চোখে পড়েন প্রযোজকদের।
পরে হিন্দির সঙ্গে করেন তেলেগু সিনেমাও। কিন্তু পরে আর সেভাবে সাফল্য পাননি। ২০১০ সালে ব্যবসায়ী আলী পাঞ্জানিকে বিয়ে করে কেনিয়া চলে যান। পরে আর সেভাবে তাঁকে পর্দায় পাওয়া যায়নি।
প্রীতি ঝানগিয়ানি
যদিও তাঁর অভিষেক হয় মালয়ালম সিনেমা দিয়ে। ‘মোহাব্বতে’ দিয়ে কিমের মতো নজর কেড়েছিলেন প্রীতিও। সিনেমাটির জন্য আইফায় সেরা নবাগত অভিনেত্রীর পুরস্কার জিতেছিলেন তিনি।
পরে ‘আওয়ারা পাগল দিওয়ানা’, ‘এলওসি: কারগিল’, ‘আন: মেন অ্যাট ওয়ার্ক’ সিনেমায় কাজ করলেও সেভাবে নজর কাড়তে পারেননি। ২০১০ সালের পর থেকেই অভিনয়ে অনিয়মিত হয়ে পড়েন। ২০১৭ সালে রাজস্থানি সিনেমা ‘তাওডু দ্য সানলাইট’-এর পর আর কোনো সিনেমায় দেখা যায়নি।