আকাঙ্ক্ষা শর্মা। ছবি: অভিনেত্রীর ইনস্টাগ্রাম থেকে
আকাঙ্ক্ষা শর্মা। ছবি: অভিনেত্রীর ইনস্টাগ্রাম থেকে

‘যোদ্ধা’ হয়ে এলেন আকাঙ্ক্ষা

‘কেশরি বীর’ সিনেমার মাধ্যমে বলিউডে অভিষেক হচ্ছে আকাঙ্ক্ষা শর্মার। সিনেমাতে একটি ঐতিহাসিক চরিত্রে আকাঙ্ক্ষাকে দেখা যাবে। এ রকম একটি ছবির অংশ হতে পেরে উচ্ছ্বাস প্রকাশ করে তিনি বলেছেন, ‘সোমনাথ মন্দিরের ওপর নির্মিত সিনেমার জন্য আমাকে নির্বাচন করা হয়েছে। এটা আমার প্রথম সিনেমা। সিনেমার সব শিল্পী প্রথম দিন থেকেই সেটে আমার খেয়াল রেখেছেন। এভাবে আমাকে স্বাগত জানানো হবে, ভাবিনি।’

এই সিনেমাতে ‘রজল’ নামের এক যোদ্ধার চরিত্রে অভিনয় করেছেন আকাঙ্ক্ষা। বাস্তবে রজলের সঙ্গে নিজের কতটা মিল খুঁজে পান?

আকাঙ্ক্ষা শর্মা। ছবি: অভিনেত্রীর ইনস্টাগ্রাম থেকে

উত্তরে অভিনেত্রী বলেছেন, ‘বাস্তবে আমি খুবই লাজুক প্রকৃতির। তবে আমার অভিনীত চরিত্র রজলের সঙ্গে আমার অনেক মিলও আছে। কারণ, সব মানুষের ভেতরে এক যোদ্ধা লুকিয়ে থাকে, প্রতিদিনই সবাইকে কোনো না কোনো চ্যালেঞ্জের বিরুদ্ধে লড়াই করতে হয়। আমিও জীবনে অনেক লড়াই লড়েছি। সেই সব অভিজ্ঞতা আমাকে চরিত্রটি তুলে ধরতে সাহায্য করেছিল।’

‘কেশরি বীর’ সিনেমাতে সুরজ পাঞ্চালীর সঙ্গে জুটি বাঁধতে চলেছেন আকাঙ্ক্ষা। আর এই সিনেমাতে সুনীল শেঠির মতো জ্যেষ্ঠ অভিনেতাও আছেন। সুনীলের সঙ্গে কাজ করা প্রসঙ্গে অভিনেত্রী বলেছেন, ‘ছবিতে তিনি আমার বাবার চরিত্রে অভিনয় করেছেন। সুনীল শেঠির সঙ্গে প্রথম যেদিন শুটিং ছিল, সেটে পা রেখেই মনে হয়েছিল আমি তাঁকে কত দিন ধরে চিনি। আমাদের বাড়িতে তাঁর সিনেমা খুব দেখা হতো।’

প্রথম ক্যামেরার মুখোমুখি হওয়ার অভিজ্ঞতাও জানান আকাঙ্ক্ষা। তিনি বলেন, ‘খুবই নার্ভাস ছিলাম। প্রথম দৃশ্যের শুটিংয়ের সময় সংলাপ ভুলে গিয়েছিলাম। এর কারণও সুনীল শেঠি! তাঁর সিনেমা দেখে আমি বড় হয়েছি, তাঁর সঙ্গে অভিনয় করার কথা স্বপ্নেও ভাবিনি। কিন্তু সেদিন তিনি আমাকে যেসব পরামর্শ দেন, তা অমূল্য। এটা আমার কাজকে সহজ করে দেয়।’

সাক্ষাৎকারে আকাঙ্ক্ষা জানিয়েছেন, সিনেমাটির ট্রেলার দেখে আবেগপ্রবণ হয়ে পড়েছিলেন তাঁর বাবা। নবাগত এই নায়িকা বলেছেন, ‘আনন্দে তিনি কেঁদে ফেলেছিলেন, বারবার আড়ালে গিয়ে চোখের জল মুছে আসছিলেন। আমার ভাই তখন লুকিয়ে একটা ভিডিও করেছিল।’
আগামীকাল শুক্রবার প্রেক্ষাগৃহে মুক্তি পাবে ‘কেশরি বীর’।