বলিউডের বর্ষীয়ান অভিনেতা ধর্মেন্দ্রকে ঘিরে গতকাল রোববার রাত থেকেই ছড়িয়ে পড়ে নানা গুঞ্জন। পরিবারের পক্ষ থেকে এখনো কোনো আনুষ্ঠানিক ঘোষণা না এলেও মুম্বাইয়ের একাধিক সংবাদমাধ্যম তাঁর মৃত্যুর খবর প্রকাশ করেছে। অন্যদিকে আবার কয়েকটি সূত্র বলছে, তিনি গুরুতর অসুস্থ, তবে চিকিৎসাধীন।
দ্য হিন্দু, ফিল্মফেয়ারসহ মুম্বাইয়ের কয়েকটি সংবাদমাধ্যম দাবি করেছে, প্রবীণ এই অভিনেতা আর নেই। সংবাদ সংস্থা এএনআই জানিয়েছে, ধর্মেন্দ্রর বাসার সামনে ভিড় জমছে তারকাদের। অভিনেত্রী হেমা মালিনীকে গাড়ি করে শ্মশানের দিকে যেতে দেখা গেছে। তবে পরিবারের কেউ গণমাধ্যমের সঙ্গে কথা বলতে চাননি। তাঁর বাড়ির সামনে বাড়ানো হয়েছে নিরাপত্তা।
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস জানাচ্ছে, দুই সপ্তাহ আগে হাসপাতাল থেকে ছাড়া পাওয়ার পর ধর্মেন্দ্র বাসায় চিকিৎসাধীন ছিলেন। গত সোমবার আবার তাঁর শারীরিক অবস্থার অবনতি হলে বাড়ির বাইরে নিরাপত্তা জোরদার করা হয়, ব্যারিকেড বসানো হয়। তাঁর তিন মেয়ে—এশা, অজিতা ও বিজেতা—বাবার খোঁজ নিতে ইতিমধ্যেই বাসায় পৌঁছেছেন।
অন্যদিকে হিন্দুস্তান টাইমস লিখেছে, প্রবীণ এই অভিনেতা প্রয়াত। সকালে তাঁর বাসার সামনে কড়া নিরাপত্তাসহ একটি অ্যাম্বুলেন্স দেখা যায়। এক মাসের ব্যবধানে এটি ছিল তাঁর দ্বিতীয় স্বাস্থ্য সংকট। পবনহংস শ্মশানে হেমা মালিনী ও এশা দেওলকে দেখা গেছে বলেও জানিয়েছে পত্রিকাটি। তবে পরিবারের পক্ষ থেকে কোনো আনুষ্ঠানিক বিবৃতি এখনো আসেনি এবং পরবর্তী আপডেটের অপেক্ষায় রয়েছে সংবাদমাধ্যম।
এর আগেও চলতি মাসের শুরুতেই সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ধর্মেন্দ্রর মৃত্যু নিয়ে ভুয়া সংবাদ ছড়িয়ে পড়ে। তখন তাঁর মেয়ে এশা দেওল বলেন, ‘মিডিয়া ভুল খবর ছড়াচ্ছে। আমার বাবার শারীরিক অবস্থা স্থিতিশীল এবং তিনি সুস্থ হয়ে উঠছেন। আমাদের পরিবারকে গোপনীয়তা দিন।’
স্ত্রী হেমা মালিনীও এক্সে লিখেছিলেন, ‘যা ঘটছে, তা ক্ষমার অযোগ্য! দায়িত্বশীল সংবাদমাধ্যম কীভাবে এমন একজন মানুষকে নিয়ে মিথ্যা খবর ছড়াতে পারে, যিনি চিকিৎসায় সাড়া দিচ্ছেন? পরিবার ও গোপনীয়তার প্রতি সম্মান দেখান।’
গত সপ্তাহে শারীরিক অবস্থার অবনতি হলে ধর্মেন্দ্রকে মুম্বাইয়ের ব্রিচ ক্যান্ডি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। তখন তাঁর ভেন্টিলেটর সাপোর্টে থাকার খবর প্রকাশ পায়। স্ত্রী–সন্তানেরা হাসপাতালের ভেতর–বাইরে অবস্থান করছিলেন। পরে হাসপাতাল থেকে তাঁকে বাসায় নিয়ে যাওয়া হয়।