
ভালোবাসার মাসে বিয়ে করতে যাচ্ছেন দক্ষিণ ভারতের দুই তারকা বিজয় দেবরাকোন্ডা ও রাশমিকা মান্দানা। পিঙ্কভিলা জানিয়েছে, আগামী বছরের ফেব্রুয়ারিতে গাঁটছড়া বাঁধতে চলেছেন এ দুই তারকা। গত মাসে হায়দরাবাদে ঘরোয়া আয়োজনে আংটি বদল করেছেন তাঁরা।
২০২৬ সালের ২৬ ফেব্রুয়ারি বিয়ের গুঞ্জন চলছে বলে জানিয়েছে পিঙ্কভিলা। খবরে বলা হয়েছে, রাজস্থানের উদয়পুরের একটি জমকালো প্রাসাদে এই বিশাল বিবাহ অনুষ্ঠানটি হবে। তবে এই বিয়ের তারিখ ও স্থান সম্পর্কে এখনো কোনো আনুষ্ঠানিক ঘোষণা আসেনি।
গত ৩ অক্টোবর বিজয়ের হায়দরাবাদের বাড়িতে পরিবারের সদস্য ও ঘনিষ্ঠ বন্ধুদের উপস্থিতিতে একান্ত ব্যক্তিগত পরিসরে দুজনের বাগ্দান সম্পন্ন হয়। তখন বিজয়ের টিম জানিয়েছিল, আগামী বছর বিয়ে করার পরিকল্পনা করছেন বিজয়-রাশমিকা, যা ফেব্রুয়ারির বিয়ের তারিখ নিয়ে চলতে থাকা গুজবের সঙ্গে মিলে যায়।
সম্প্রতি ‘থামা’ ছবির এক প্রচারণা সাক্ষাৎকারে রাশমিকা মান্দানাকে তাঁর বাগ্দান এবং বিয়ের গুঞ্জন সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করা হয়। এর উত্তরে অভিনেত্রী শুধু হেসে বলেন, ‘সবাই তো এটা জানেই।’
কখনো সরাসরি নিজেদের সম্পর্কের কথা স্বীকার করেননি, বিজয় দেবরাকোন্ডা ও রাশমিকা মান্দানা একে অপরকে উল্লেখ করেছেন ‘কাছের বন্ধু’ হিসেবে। দক্ষিণ ভারতের এই প্রেমিক যুগলকে নিয়ে ভক্ত-অনুসারীদের আগ্রহ এমনই যে প্রতিদিনই তাঁরা খবরের শিরোনামে থাকেন। তাই বহুবার তাঁদের বাগ্দান এমনকি গোপন বিয়ের খবরও হয়েছে। বলাই বাহুল্য, সবই কেবল গুজব ছিল।
২০২০ থেকে ২০২২ সালের মধ্যে তাঁদের প্রায়ই একসঙ্গে দেখা গেছে। কখনো ডিনারে, কখনো বিমানবন্দরে; কখনো আবার বিদেশে ছুটি কাটিয়েছেন। ছুটি কাটাতে গিয়ে রাশমিকা আর বিজয় একই জায়গা থেকে আলাদা আলাদা ছবি পোস্ট করেছেন। তাঁদের ইনস্টাগ্রাম পোস্টে অনেক সময় পেছনে একই ব্যাকগ্রাউন্ড দেখা গেছে।
বেশি দিন প্রেম নিয়ে লুকোচুরি করতে পারেননি বিজয় ও রাশমিকা।
২০২৩ সাল থেকে তাঁদের যে সম্পর্ক আছে সেটা দুজনেই পরোক্ষভাবে ইঙ্গিত দেন। যদিও কেউ কারও নাম উল্লেখ করেননি। ২০২৩ সালের জানুয়ারিতে রাশমিকা একটি লাইভ অনুষ্ঠানে জানান, তিনি নতুন বছরকে স্বাগত জানাতে তাঁর এক বন্ধুর বাসায় আছেন। এর পরপরই ব্যাকগ্রাউন্ডে বিজয় দেবরাকোন্ডার কণ্ঠ শোনা যায়। তারপরই তাড়াহুড়া করে সংযোগটি বিচ্ছিন্ন করে দেন রাশমিকা।
২০২৪ সালে এক সাক্ষাৎকারে বিজয়ের সঙ্গে বন্ধুত্বের প্রসঙ্গে রাশমিকা বলেন, ‘বিজু (বিজয়) আর আমি প্রায় একসঙ্গে বড় হয়েছি। তাই আমি জীবনে যা-ই কিছু করি না কেন, তাতে তার ভূমিকা থাকে। তার থেকে সব ব্যাপারে পরামর্শ নিই। সব ক্ষেত্রে তার মতামত আমার কাছে খুবই জরুরি। সে সহজে “হ্যাঁ” বলার পাত্র নয়। বিজু সব সময় যুক্তি দিয়ে কথা বলে। কোনটা ঠিক, কোনটা ঠিক নয়, সে স্পষ্টভাবে জানিয়ে দেয়। আমার জীবনে যে কারও চেয়ে সে অনেক বেশি সমর্থন করেছে। সে এমন এক ব্যক্তি, যাকে আমি সবচেয়ে বেশি সম্মান করি।’ তাঁরা যে চুটিয়ে প্রেম করছেন, এই সাক্ষাৎকারের পরেই সেটা আর কারও অজানা থাকে না।