
শুরু থেকে সর্বত্র একটাই প্রশ্ন ঘুরপাক খাচ্ছে, সাইফ আলী খান ও কারিনা কাপুর খানের মতো বড় তারকার বাসায় কী করে কোনো অচেনা লোক ঢুকে পড়লেন। সময়ের সঙ্গে সঙ্গে সাইফ আলী খানের ওপর হামলার জট খুলছে। পুলিশ তদন্তে জানতে পেরেছে যে কীভাবে মুহাম্মদ শরিফুল ইসলাম শেহজাদ তারকা দম্পতির বাড়ির অন্দরে প্রবেশ করেছিলেন।
গতকাল পুলিশ সাইফের ওপর হামলার ঘটনাটি ‘রিক্রিয়েট’ করে জানতে পেরেছে, সাইফ-কারিনার আবাসন সদগুরু শারানের মূল ফটক দিয়ে শরিফুল প্রবেশ করেছিলেন।
অভিযুক্ত ব্যক্তি পুলিশকে জানিয়েছেন, তিনি দেখেছিলেন আবাসনের দুজন নিরাপত্তারক্ষী তখন অঘোরে ঘুমাচ্ছিলেন। এর মধ্যে একজন রক্ষী কেবিনের মধ্যে গভীর ঘুমে ছিলেন। আর একজন রক্ষী মূল ফটকের কাছেই ঘুমাচ্ছিলেন বলে জানিয়েছেন শরিফুল।
আরও দুজন নিরাপত্তারক্ষী ঠিকমতো পাহারা দিচ্ছিলেন না বলে দাবি করেন তিনি। সেখানে সিসিটিভি কাজ করছিল না। আর এই সুযোগ পুরোপুরি কাজে লাগিয়েছেন বলে পুলিশকে জানান শরিফুল। তিনি প্রথমে পেছনের সিঁড়ি দিয়ে এবং পরে ডাক্ট এলাকার পাইপ বেয়ে সাইফ-কারিনার অ্যাপার্টমেন্টে পৌঁছে যান। শৌচাগারের জানালার কাচ ভেঙে তৈমুর-জেহর বেডরুমে আততায়ী প্রবেশ করেছিলেন বলে জানা গেছে।
পুলিশের জেরায় অভিযুক্ত ব্যক্তি স্বীকার করেছেন যে শাহরুখ খানের বাংলো মান্নাতেও চুপিসারে ঢোকার পরিকল্পনা করেছিলেন তিনি। কিং খানের বাংলোয় প্রবেশের জন্য ১৪ জানুয়ারি শরিফুল রেকি করেছিলেন বলে পুলিশকে জানান। এমনকি মান্নাতের বিশাল প্রাচীর টপকানোর জন্য সাত থেকে আট ফুট উচ্চতার এক লোহার মই নিয়ে সেখানে হাজির হয়েছিলেন শরিফুল।
গতকাল মঙ্গলবার পুলিশের এক কর্মকর্তা প্রথম আলোকে জানিয়েছেন, অভিযুক্ত জানতেন না যে তিনি সাইফ-কারিনার বাসায় প্রবেশ করেছিলেন। সাইফের ওপর হামলার পরের দিন সকালে তিনি বিষয়টি জানতে পেরেছিলেন বলে পুলিশ জানিয়েছেন। হামলাকারী শুনেছিলেন, বান্দ্রায় বড়লোকেরা থাকেন, তাই তিনি এই এলাকা বেছে নিয়েছিলেন। আর পুলিশের দাবি অনুযায়ী, তারা এ ব্যাপারেও সম্পূর্ণ নিশ্চিত যে অভিযুক্ত শরিফুল বাংলাদেশের নাগরিক। তাঁর পরিবারের সবাই বাংলাদেশেই থাকেন। মেঘালয় দিয়ে অবৈধভাবে ভারতে প্রবেশ করেছিলেন শরিফুল।