‘দাবাং’-এর আইটেম গান ‘মুন্নি বদনাম হুই’–এ মালাইকা অরোরা। আইএমডিবি
‘দাবাং’-এর আইটেম গান ‘মুন্নি বদনাম হুই’–এ মালাইকা অরোরা। আইএমডিবি

আইটেম গানে মালাইকাকে খোলামেলা দেখতে চাননি সালমান, খান পরিবারে অসন্তোষ

বলিউডের ব্লকবাস্টার সিনেমা ‘দাবাং’-এর আইটেম গান ‘মুন্নি বদনাম হুই’ আজও জনপ্রিয়তার শীর্ষে। তবে গানটি ঘিরে একসময় খান পরিবারের ভেতরে বেশ টানাপোড়েন তৈরি হয়েছিল। সেই অজানা গল্পই সামনে আনলেন পরিচালক অভিনব কশ্যপ।

অভিনবের ভাষায়, প্রথমে আরবাজ খান চাননি তাঁর স্ত্রী মালাইকা অরোরা এই গানে আইটেম গার্লের চরিত্রে আসুন। ‘আরবাজের আপত্তি ছিল, স্ত্রীকে “আইটেম গার্ল” বলা হবে, সেটা তিনি পছন্দ করতেন না। আরবাজ ও সালমান আসলে অনেকটা রক্ষণশীল মানসিকতার। মালাইকার পোশাক নিয়ে সালমানের সঙ্গেও মতবিরোধ ছিল। তাঁরা চাননি, তাঁদের ঘরের মেয়েরা এতটা খোলামেলা হোক,’ বলেন পরিচালক।

মালাইকা নিজের সিদ্ধান্তে অনড় ছিলেন। অভিনব জানান, ‘মালাইকা ছিলেন স্বাবলম্বী, দৃঢ়চেতা নারী। প্রস্তাব পাওয়ার পরই তিনি রাজি হন। আরবাজকে বোঝাতে কিছুটা সময় লেগেছিল। তিনি স্বামীকে বলেছিলেন, “এতে অশ্লীল কিছু নেই, শুধু নাচ। চারপাশে পরিবার-পরিজন, ভয় কিসের?” শেষ পর্যন্ত আরবাজ রাজি হন। আর গানটি তো রেকর্ড ভেঙেছিল।’

‘দাবাং’-এর আইটেম গান ‘মুন্নি বদনাম হুই’ গানে সালমান ও মালাইকা। আইএমডিবি

অভিনব আরও বলেন, ‘মালাইকার নাচের দক্ষতার কারণেই তাঁকে বেছে নেওয়া হয়েছিল। “ছাইয়া ছাইয়া”র মতো গানে তিনি দারুণ সাড়া ফেলেছিলেন। সিনেমায় তিনি তেমন অভিনয় করতেন না, কিন্তু দুর্দান্ত নাচতেন। পর্দায় কম দেখা যায়, এমন কাউকে দর্শক বেশি কৌতূহল নিয়ে দেখেন। তাই মালাইকাই ছিলেন সেরা পছন্দ।’

গানটিতে শুরুতে সালমান খানের থাকার কথা ছিল না। পরিকল্পনা ছিল, আইটেম গান শেষে তাঁর প্রবেশ ঘটবে। কিন্তু গান শুনে সালমান নিজেই অংশ নিতে আগ্রহী হন। পরিচালক জানান, ‘আমি চেয়েছিলাম “শোলে”র “মেহবুবা”র মতো দৃশ্য। ভিলেন আনন্দ করছে, পুলিশ ফাঁদ পাতছে। কিন্তু সালমান বললেন, “এটাই সেরা গান, তাঁকে থাকতে হবে।” তাই তাঁর প্রবেশটা এগিয়ে আনতে হলো।’

এই পরিবর্তনের কারণে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছিলেন খলনায়ক চরিত্রে অভিনয় করা সোনু সুদ। আগে তিনি মালাইকার সঙ্গে পুরো গানটিতে থাকবেন বলে পরিকল্পনা ছিল। পরে সেটি চলে যায় সালমানের হাতে। সোনু এক সাক্ষাৎকারে বলেছিলেন, ‘আমি তো বলেছিলাম, এ গান আমার, তিনি মাঝখানে এলেন কীভাবে? তবে শেষমেশ যা হয়েছে, ভালোই হয়েছে। মানুষ এখনো গানটা মনে রেখেছে।’

মালাইকা অরোরা। এএফপি

আরবাজ খান ও মালাইকা অরোরা ২০১৬ সালে আলাদা হন। তাঁদের বিবাহবিচ্ছেদ চূড়ান্ত হয় ২০১৭ সালে। বর্তমানে ছেলে আরহানকে দুজনই একসঙ্গে লালন-পালন করছেন।

তথ্যসূত্র: ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস