সালাউদ্দিন লাভলু, গিয়াসউদ্দিন সেলিম, আফসানা মিমি ও নুসরাত ফারিয়া
সালাউদ্দিন লাভলু, গিয়াসউদ্দিন সেলিম, আফসানা মিমি ও নুসরাত ফারিয়া

এক সিনেমায় এত পরিচালক

জালালের গল্প সিনেমা বানিয়ে দেশ-বিদেশে প্রশংসা কুড়িয়েছেন পরিচালক আবু শাহেদ ইমন। বাগিয়ে নিয়েছেন অনেক পুরস্কারও। এবারই প্রথম সিনেমা প্রযোজনা করছেন এই পরিচালক। পাতাল ঘর নামের এই সিনেমার পরিচালক কমলা রকেটখ্যাত নুর ইমরান মিঠু। এতে অভিনয় করেছেন দুই গুণী পরিচালক সালাউদ্দিন লাভলু ও গিয়াসউদ্দিন সেলিম। আবার সিনেমার গুরুত্বপূর্ণ একটি চরিত্রে অভিনয় করেছেন আফসানা মিমি। অভিনয়শিল্পী হিসেবে জনপ্রিয় হলেও তিনি নির্মাতাও বটে। এক ছবিতে যেন বসেছে পরিচালকদের মেলা! এটি নিশ্চিত করেছেন আবু শাহেদ ইমন নিজেই।

আফসানা মিমি।

ক্যামেরার পেছনে কাজ করা সালাউদ্দিন লাভলু ও গিয়াসউদ্দিন সেলিম এবারই প্রথম একসঙ্গে সিনেমায় অভিনয় করলেন। পাতাল ঘর-এ তাঁরা দুই ভাই। বড় ভাই সালাউদ্দিন লাভলুর মেয়ের চরিত্রে দেখা যাবে নুসরাত ফারিয়াকে। অক্টোবর মাসের প্রথম সপ্তাহ থেকে ঢাকার অদূরে রাজবাড়ী জেলায় চলছে এই সিনেমার শুটিং।

দুই দিনের শুটিং শেষে এরই মধ্যে ঢাকায় ফিরেছেন সালাউদ্দিন লাভলু ও গিয়াসউদ্দিন সেলিম। গতকাল শনিবার দুপুরে লাভলু বলেন, ‘সর্বশেষ অভিনয় করেছিলাম সাপলুডু সিনেমায়। এই ছবিতে কাজ করার পেছনে মিঠুর ভীষণ সৃজনশীল চিন্তা মুগ্ধ করেছে। মিঠু এমন একটা গল্প ফেঁদেছে, যা আমাদের চলচ্চিত্রে পরিবর্তন আনতে ভীষণভাবে দরকার। সেলিমের পরিচালনায় দেড় যুগ আগে একটি নাটকে অভিনয় করেছিলাম, এবার একসঙ্গে বড় পর্দায় কাজ করার অভিজ্ঞতা খুবই সুন্দর।’

নুসরাত ফারিয়া।

গিয়াসউদ্দিন সেলিম বলেন, ‘আমি অভিনয়শিল্পী না। মিঠু আমাদের ছোট ভাই, গুণী পরিচালক। পাশাপাশি ইমন, বন্ধু ও ছোট ভাই। তারা দুজন মিলে একটা স্বাধীন ধারার সিনেমা বানাচ্ছে, আমার পক্ষ থেকে একধরনের শুভেচ্ছাবার্তা আরকি। ছোট একটি চরিত্র, কিন্তু নতুন অভিজ্ঞতা হলো। তবে আমি উপভোগ করেছি। অভিনয় কিন্তু খুব কঠিন শিল্প, ওই একটু থাকা আরকি।’

পাতাল ঘর সিনেমায় আরও অভিনয় করেছেন মামুনুর রশীদ, ফজলুর রহমান বাবু, মামুনুল হক, রওনক হাসান, অর্ষা প্রমুখ। ৩০ অক্টোবর শুটিং শেষে পুরো ইউনিটের ঢাকায় ফেরার কথা রয়েছে বলে জানান ছবিটির প্রযোজক আবু শাহেদ ইমন।