Thank you for trying Sticky AMP!!

জুলাইয়ে মা হচ্ছেন ‘আয়নাবাজি’র নাবিলা

অভিনেত্রী ও উপস্থাপক মাসুমা রহমান নাবিলা মা হতে যাচ্ছেন। আজ সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে স্বামীর সঙ্গে একটি ছবি পোস্ট করেছেন তিনি। আর এর মাধ্যমেই পরিবারে নতুন সদস্য যুক্ত হওয়ার খবরটি জানিয়েছেন বন্ধুদের। মাস কয়েক আগে নিজেরা বিষয়টি জানতে পারেন। কিন্তু বন্ধু ও অনুরাগীদের জানানোর পরিকল্পনা করেছিলেন এপ্রিল মাসে। কারণ, এই মাস তাঁদের জন্য বিশেষ।

নাবিলা ও জোবায়দুল হক

অনাগত সন্তানের অপেক্ষায় চিকিৎসকের পরামর্শে দিন কাটছে এই অভিনেত্রীর। সুখবর দেওয়ার জন্য কেন এপ্রিল মাসকে বেছে নিলেন? এর উত্তরে জানা গেল, এ মাসেই নাবিলা ও তাঁর স্বামী জোবায়দুল হকের জন্মদিন। আর এই মাসেই তাঁদের বিবাহবার্ষিকী। তাই এই আনন্দের আবহে সবাইকে মা হওয়ার খবর জানানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছেন।

মাসুমা রহমান নাবিলা

এপ্রিলের সকাল থেকেই ফেসবুকে কী লিখবেন, তা নিয়ে ছিলেন দ্বিধায়। স্বামীর সঙ্গে আলোচনা করে পরে লিখেছেন, ‘আমার আর আমার পরিবারের জন্য এপ্রিল বিশেষ একটা মাস। এই চমৎকার এপ্রিলে আপনাদের একটা সুখবর দিতে চাই। আনন্দের সঙ্গে জানাচ্ছি যে আমাদের ভালোবাসার বাবু আসবে এই জুলাইয়ে। দোয়া আর শুভকামনার দাবি রইল। ভালোবাসা আর আলোয় পরিপূর্ণ হোক আপনাদের সবার জীবন।’

অনেক দিন ধরেই কাজ থেকে দূরে ছিলেন নাবিলা। পর্দায় তাঁর উপস্থিতি কমে গিয়েছিল। এবার জানা গেল এর কারণ। নাবিলা বলেন, ‘প্রায়ই অনেকে বলতেন, “আপা, আপনাকে কাজে দেখা যায় না।” আমি কাউকে কিছু বলতে পারছিলাম না। এবার আমি বলতে চাই, আমি মা হতে যাচ্ছি। তাই সবকিছু থেকে দূরে ছিলাম। আপাতত কোনো কাজ করছি না। পুরোপুরি বিশ্রাম নিচ্ছি। আপনারা সবাই আমার জন্য দোয়া করবেন।’

মাসুমা রহমান নাবিলা

২০১৮ সালে নিজের অভিনীত সিনেমা ‘আয়নাবাজি’র ‘লাগ ভেলকি’ গান বাজিয়ে বিয়ে করেন নাবিলা, ২০ বছর আগে যাঁকে ভালো লেগেছিল, সেই জোবায়দুল হককেই। নাবিলার দাদার বাড়ি চট্টগ্রামের সাতকানিয়ায় হলেও বাবার চাকরি সূত্রে জন্ম ও বেড়ে ওঠা সৌদি আরবের জেদ্দায়। সেখানেই কেটেছে তাঁর কৈশোরের আনন্দময় দিনগুলো। জোবায়দুলরাও থাকতেন সেখানে। দেশ থেকে দূরে সেই শহরে বর্ণ পরিচয়ের সময় থেকেই তাঁদের পরিচয়। সেই থেকেই দুজন দুজনকে পছন্দ করতেন। সেই ভালো লাগা পরে রূপ নেয় ভালোবাসায়।

নাবিলার জীবনের প্রথম ১৫ বছর কেটেছে সৌদি আরবে। মাধ্যমিকের গণ্ডি পেরিয়ে ২০০০ সালে জেদ্দা থেকে স্থায়ীভাবে ঢাকায় চলে আসেন। ভর্তি হন ভিকারুননিসা নূন স্কুল অ্যান্ড কলেজে। বাংলাদেশে ফেরার আট মাসের মাথায় তাঁর বাবার মৃত্যু হয়। বোন ও ভাইয়েরা তখন অনেক ছোট। বড় সন্তান হিসেবে সংসারের হাল ধরতে হয় তাঁকে। বন্ধুদের উৎসাহে ২০০৬ সাল থেকে শুরু করেন উপস্থাপনা। এরপর ধীরে ধীরে অভিনয়।