
শুটিং কিংবা ফটোশুট; ক্যারিয়ারের কাজে বছরজুড়ে নানা সাজে দেখা যায় অভিনেত্রী বিদ্যা সিনহা মিমকে। তবে বছরের বিশেষ দিন, দুর্গাপূজার সময়ের জন্য সাজতে আলাদা প্রস্তুতি থাকে এই নায়িকার। এ জন্য আগেই পরিকল্পনা করে রাখেন। কিন্তু কেনাকাটার তেমন সুযোগ পান না। কারণ, প্রচুর উপহার পান। এবার কী উপহার পেলেন এই নায়িকা?
মিম এবার শারদীয় দুর্গাপূজা উপলক্ষে সবচেয়ে বেশি শাড়ি উপহার পেয়েছেন। সেগুলো পরেই ছুটছেন পূজামণ্ডপে। তিনি বলেন, ‘পূজার জন্য একটি শাড়ি কিনেছি। কিছু শাড়ি পছন্দ করেও রাখছিলাম। পরে অনেকগুলো শাড়ি উপহার হিসেবে পেয়েছি। প্রতিবছর এমনই হয়, অনেক শাড়ি পাই। আমি কিছু কেনার আগেই সবাই উপহারগুলো দিয়ে থাকে। সবগুলোই আমার পছন্দের রঙের। এটা আমার কাছে বিশেষ সারপ্রাইজের মতো।’
প্রতিবছর পূজা এলে এই নায়িকার মন চলে যায় রাজশাহীতে। কিন্তু ব্যস্ততার কারণে মা-বাবার সঙ্গে পূজার সময় রাজশাহীতে থাকা হয় না। আবার ঢাকায়ও বন্ধু–সহকর্মীদের সঙ্গে বিশেষ এই সময়টা উপভোগ করতে হয়। পূজা ঘিরে থাকে নানা রকম ব্যস্ততা।
মিম বলেন, ‘পরিবারের সঙ্গে সময় কাটাতেই রাজশাহী আসা হয়। এটা আমার পছন্দের জায়গা। আজই আবার ঢাকায় ফিরব। পরে যেতে হবে কুমিল্লায়। দুর্গাপূজার শেষ সময় ছুটোছুটির মধ্য দিয়েই কেটে যাবে। উৎসবমুখর পরিবেশে ঘুরতে ঘুরতেই সময়টা কেটে যায়। এটাও বেশ উপভোগ করি।’
এ ছাড়া দুর্গাপূজায় আলাদা মজা থাকে প্রণামি/বকশিশ নিয়ে। প্রিয়জনদের কাছ থেকে প্রণামিও নিচ্ছেন। তবে শৈশবে প্রণামি ঘিরে অনেক মজার ঘটনা ঘটত উল্লেখ করে মিম বলেন, ‘এটা সালামির মতোই। আগে সবার কাছে গিয়ে প্রণামি চাইতাম। কেউ কম দিলে নিতাম না। কেউ কেউ অনেক টাকা দিতেন। সেগুলো জমাতাম। এখন শৈশবের মতো আবদারের বিষয় থাকে না। বড়রা এমনিতেই প্রণামি দেয়। তবে এখন আমাকেই বেশি দিতে হয়।’
‘পূজার জন্য অপেক্ষার বিশেষ কোনো কারণ থাকে?’ এমন প্রশ্নে এই চিত্রনায়িকা বলেন, ‘সাজপোশাক তো থাকেই। তবে আলাদা আকর্ষণ থাকে নানা রকম খাবার নিয়ে। এই সময়টা পছন্দের খাবার বেশি রান্না করা হয়। এগুলো বেশ উপভোগ করি।’ মিম সবশেষে জানালেন, শারদীয় দুর্গাপূজার ব্যস্ততার শেষে দেশের বাইরেও যাবেন সময় কাটাতে।