Thank you for trying Sticky AMP!!

জায়েদ–সায়ন্তিকার সেটে গিয়েছিলেন রাজীব কুমার। কোলাজ

জায়েদ খান-সায়ন্তিকার সিনেমার সেটে কেন গিয়েছিলেন শ্রাবন্তীর সাবেক স্বামী রাজীব

বাংলাদেশের নায়ক জায়েদ খানের সঙ্গে জুটি বেঁধে ‘ছায়াবাজ’ নামের একটি ছবিতে অভিনয় করছেন কলকাতার নায়িকা সায়ন্তিকা বন্দ্যোপাধ্যায়। এক সপ্তাহ টানা শুটিং করে ৭ সেপ্টেম্বর দেশে ফিরে গেছেন এই নায়িকা। দেশে যাওয়ার পরপরই গণমাধ্যমে ছড়িয়েছে, নৃত্য পরিচালকের সঙ্গে বনিবনা না হওয়ায় প্রথম ধাপের কাজ শেষ না করেই দেশে ফিরে গেছেন সায়ন্তিকা।

Also Read: শাকিবের সঙ্গে দেখা হতে পারে, আপাতত জায়েদ খানের সঙ্গে কাজটি নিয়ে রোমাঞ্চিত আমি: সায়ন্তিকা

শোনা যায়, একটি গানের দৃশ্য করার সময় নৃত্য পরিচালক মাইকেল বাবু না বলে সায়ন্তিকার হাত ধরে গানের দৃশ্য বুঝিয়ে দেওয়ার কারণেই নাকি নায়িকা চটেছেন। এবার পশ্চিমবঙ্গের গণমাধ্যম আনন্দবাজার পত্রিকা জানিয়েছে, ওই সিনেমার শুটিংয়ে উপস্থিত ছিলেন কলকাতার পরিচালক রাজীব কুমারও। এই রাজীব অভিনেত্রী শ্রাবন্তীর সাবেক স্বামী।

জায়েদ-সায়ন্তিকা অভিনীত সিনেমার সঙ্গে কীভাবে যুক্ত হলেন রাজীব? এ প্রসঙ্গে

জায়েদ খানের সঙ্গে জুটি বেঁধে ‘ছায়াবাজ’ ছবিতে অভিনয় করছেন কলকাতার নায়িকা সায়ন্তিকা বন্দ্যোপাধ্যায়

আনন্দবাজার অনলাইনকে পরিচালক বলেন, ‘আমি তেমনভাবে যুক্ত নই। মনিরুল (সিনেমার প্রযোজক মনিরুল ইসলাম) ভাইয়ের সংস্থার সঙ্গে অল্পস্বল্প কাজ করি। এই ছবির গানের রেকর্ডিং হয়েছিল কলকাতায় আমার তত্ত্বাবধানে। তাই যখন শুনলাম গানের শুটিং হচ্ছে, তাই দেখতে গিয়েছিলাম। সেখানে যা কিছু ঘটেছে, তখন আমি উপস্থিত ছিলাম না। তাই কী হয়েছে, আমার পক্ষে বলা কোনোভাবেই সম্ভব নয়।’

রাজীব কুমার। ইনস্টাগ্রাম

ঘটনার বিস্তারিত জানিয়ে তিনি আরও বলেন, সে সময় তিনি বাংলাদেশে গিয়েছিলেন নিজের অন্য একটি ছবির প্রি-প্রোডাকশনের জন্য। এত বিতর্কের আগেই কলকাতায় ফিরে আসেন তিনি।

এই ঘটনা প্রসঙ্গে আনন্দবাজার অনলাইনকে সায়ন্তিকা বলেছিলেন, ‘মূল সমস্যার নেপথ্যে রয়েছেন ছবির প্রযোজক। বারবার আমি প্রযোজক মনিরুলের সঙ্গে কিছু টেকনিক্যাল সমস্যা নিয়ে যোগাযোগ করার চেষ্টা করেছিলাম। কিন্তু কোনো উত্তরই পাওয়া যায়নি। ওনার কোনো পরিকল্পনা নেই। কোনো ব্যবস্থা নেই।’

সায়ন্তিকার অভিযোগ নিয়ে আগে দেওয়া সাক্ষাৎকারে মনিরুল ইসলাম প্রথম আলোকে বলেছিলেন, ‘নিজের দেশের শিল্পীকে ছোট করা হবে, সেটি মেনে নেব না। প্রয়োজনে ছবিই আর করব না। এটি সায়ন্তিকাকে বলেছি। যদি মাইকেল বাবুর সঙ্গে তিনি কাজ করেন, তাহলে ছবি করব, না হলে ছবির বাকি কাজ আর করব না। আমার যা লোকসান হয়, হবে।’