মেজবাউর রহমান সুমন ও নাজিফা তুষি। কোলাজ
মেজবাউর রহমান সুমন ও নাজিফা তুষি। কোলাজ

‘হাওয়া’ নির্মাতার নতুন ছবি মুক্তি পাবে কবে

২০২২ সালে প্রথম সিনেমা ‘হাওয়া’ দিয়ে প্রশংসিত হন মেজবাউর রহমান সুমন। এরপরই নতুন ছবি ‘রইদ’–এর ঘোষণা দেন নির্মাতা। গত বছর শেষ হয় ছবির দৃশ্যধারণ। নির্মাতা জানালেন আগামী বছরের মাঝামাঝি ছবিটি মুক্তির পরিকল্পনা করা হচ্ছে। ছবির প্রধান দুই চরিত্রে আছেন নাজিফা তুষি ও মোস্তাফিজ নূর ইমরান। আরও আছেন গাজী রাকায়াত।

মেজবাউর রহমান প্রথম আলোকে বলেন, ‘এক বছর আগেই ছবির দৃশ্যধারণ সম্পূর্ণ হয়েছে, এখন সম্পাদনার টেবিলে আছে। এ মাসেই আনুষ্ঠানিক ঘোষণা আসবে। এরপর ট্রেলার মুক্তি পাবে। সবকিছু ঠিক থাকলে আগামী জুন-জুলাইয়ে ছবিটি বড় পর্দায় আনার পরিকল্পনা রয়েছে। তবে সামাজিক ও রাজনৈতিক পরিস্থিতির ওপর সিদ্ধান্ত অনেকটা নির্ভর করবে।’

মোস্তাফিজুর নূর ইমরান। খালেদ সরকার

ছবিটি কি উৎসবকে কেন্দ্র করে মুক্তি পাচ্ছে? এমন প্রশ্নের উত্তরে নির্মাতা বলেন, ‘এখনো বলতে পারছি না। তবে উৎসবে না হলেও এর আশপাশেই মুক্তি পাবে। ‘হাওয়া’র ক্ষেত্রেও তা–ই হয়েছিল।’

নির্মাতা বলেন, ‘ছবির অনেকেই প্রথমবার ক্যামেরার সামনে দাঁড়িয়েছেন। ছয় মাস তারা আমাদের সঙ্গে থেকেছেন, গ্রুমিং শেষে তাদের দৃশ্যধারণ করা হয়েছে। এর বাইরে বড় একটা অংশ খুলনা ও যশোর অঞ্চলের থিয়েটারশিল্পী।’

নাজিফা তুষি। ছবি: সুমন ইউসুফ

ছবির গল্প নিয়ে বিস্তারিত কিছু বলতে চাইলেন না সুমন, শুধু জানালেন এটি একটি প্রেমের গল্প। সঙ্গে পারিপার্শ্বিক অনেক কিছুই উঠে আসবে। সিলেটের সুনামগঞ্জে ছবির দৃশ্যধারণ হয়েছে। তবে এর সঙ্গে সিলেট অঞ্চলের ভাষা বা আঞ্চলিকতার কোনো সংযোগ নেই। গল্পটি বাংলাদেশের সব অঞ্চলকেই প্রতিনিধিত্ব করবে বলে জানান নির্মাতা।

চার বছর আগে সিনেমাটির ঘোষণা দিয়েছিলেন মেজবাউর রহমান। সে সময় অভিনেত্রী জয়া আহসানের সিনেমাটি প্রযোজনার কথা ছিল। ২০২০-২১ অর্থবছরে ছবির জন্য ৬০ লাখ টাকার সরকারি অনুদানও পেয়েছিলেন জয়া। তবে কাজ শুরু হতে বিলম্ব হওয়ায় অনুদানের টাকা ফেরত দেন তিনি।
এরপর প্রযোজক হিসেবে যুক্ত হয় বঙ্গ। সহপ্রযোজক হিসেবে আছে নির্মাতার ফেইসকার্ড প্রোডাকশন।