গতকাল সকালে এফডিসিতে বৈঠক করেন এফডিসির কর্মীরা
গতকাল সকালে এফডিসিতে বৈঠক করেন এফডিসির কর্মীরা

এক সপ্তাহের মধ্যে বেতন না পেলে কর্মবিরতির হুঁশিয়ারি এফডিসির কর্মীদের

তিন মাস ধরে বেতন পাচ্ছেন না বাংলাদেশ চলচ্চিত্র উন্নয়ন করপোরেশনের (বিএফডিসি) ২২৩ কর্মকর্তা–কর্মচারী। সামনে ঈদ, উৎসব ভাতা তো দূরে থাক, বেতন পাবেন কি না, তা নিয়ে অনিশ্চয়তার মধ্যেই বেতনের দাবিতে সোচ্চার হয়েছেন কর্মীরা।

বেতনের দাবিতে করণীয় নির্ধারণে গতকাল সকালে এফডিসির কলাকুশলী ও কর্মচারী লীগ কার্যালয়ে বৈঠকে বসেছিলেন কর্মীরা। রোববার সকালে এফডিসির ব্যবস্থাপনা পরিচালক নুজহাত ইয়াসিমনের কাছে লিখিতভাবে বেতনের দাবি জানাবেন কর্মীরা।
এফডিসির কলাকুশলী ও কর্মচারী লীগের সাধারণ সম্পাদক আহসান হাবীব শুক্রবার দুপুরে প্রথম আলোকে জানান, বেতন দিতে এফডিসিকে ১৩ এপ্রিল পর্যন্ত সময় বেঁধে দেবেন তাঁরা। এর মধ্যে বেতন–ভাতা না পেলে সবার মতামতের ভিত্তিতে কর্মবিরতির ঘোষণা দেবেন কর্মীরা, মানববন্ধন করবেন। প্রয়োজনে সাংবাদ সম্মেলনও করবেন।
লোকসানের মুখে ধুঁকতে থাকা এফডিসির কর্মকর্তা থেকে মালি, ক্লিনার, নিরাপত্তারক্ষী কেউই জানুয়ারি, ফেব্রুয়ারি ও মার্চ মাসের বেতন–ভাতা পাননি।

নাম প্রকাশ না করার শর্তে এফডিসির এক ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা প্রথম আলোকে জানান, এফডিসির এখন মাসে আয় ৩০ লাখ টাকা। তার বিপরীতে কর্মীদের প্রতি মাসে বেতন বাবদ ব্যয় ৯৮ লাখ টাকার মতো। ফলে এফডিসির তহবিলে পর্যাপ্ত অর্থ না থাকায় বেতন পরিশোধ করা যাচ্ছে না। সঙ্গে অবসরে যাওয়া কর্মীদের যথাযথ পাওনাও পরিশোধ করা যায়নি।

এফডিসি বলছে, কর্মীদের বেতন ও আনুতোষিক দিতে পারা কিংবা না পারা নির্ভর করছে অর্থ মন্ত্রণালয়ের ওপর; প্রতিষ্ঠানটি অর্থ মন্ত্রণালয়ে ২০ কোটি টাকা অনুদান চেয়েছে। তবে তারা কবে নাগাদ অনুদান দেবে, তা এখনো নিশ্চিত জানা যায়নি।
গত ২০২১ সালের জানুয়ারিতে এফডিসিকে সরকার ৭ কোটি টাকা দেয়। এর আগে ২০২০ সালেও দুই মাসের বেতন বাকি পড়েছিল, পরে সে বছর এপ্রিলে ৬ কোটি টাকা অনুদান পেয়ে বেতন পরিশোধ করেছিল প্রতিষ্ঠানটি।