
ক্যারিয়ারের শুরুর দিকে নায়কের ভূমিকায় দেখা গেছে মিশা সওদাগরকে, তবে সুবিধা করতে পারেননি। পরে খলচরিত্রে অভিনয় করে খ্যাতি পেয়েছেন তিনি। কখনো খুনি, কখনো গ্যাং লিডার—সাড়ে তিন দশকের ক্যারিয়ারে ভয়ংকর সব চরিত্রে অভিনয় করেছেন তিনি। খলচরিত্রে অভিনয় করে দর্শকের হৃদয়ে ভীতির সঞ্চার করেছেন মিশা।
পর্দার খল অভিনেতা মিশা সওদাগর ব্যক্তিজীবনে কেমন—তা নিয়ে দর্শকের মধ্যে কৌতূহল রয়েছে। কেউ কেউ পর্দার মিশার সঙ্গে বাস্তবের মিশার সঙ্গে মেলানোর চেষ্টাও করেন। বাস্তবে মিশা কেমন—মিশা সওদাগরের বড় ছেলে হাসান মোহাম্মদ ওয়ালিদ বলেন, ‘আমার আব্বু পর্দায় যে রকম, রিয়েল লাইফে (বাস্তব জীবনে) একদম অপোজিট (বিপরীত)। খুবই পারিবারিক, খুবই ইসলামিক ও খুবই রিলিজিয়াস (ধার্মিক)।’
মাছরাঙা টেলিভিশনের সেলিব্রিটি শো ‘স্টার নাইট’–এ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন মিশা সওদাগর। অনুষ্ঠানে এক ভিডিও বার্তায় বাবাকে নিয়ে কথা বলেছেন হাসান মোহাম্মদ ওয়ালিদ। তিনি যুক্তরাষ্ট্রে পড়াশোনা করেন, থাকেন টেক্সাসে।
মিশার ছোট ছেলে ওয়াইজ করণীও পড়াশোনার সুবাদে টেক্সাসে থাকেন। তিনি এক ভিডিও বার্তায় বলেন, ‘ছোটবেলা থেকেই দেখছি, আমার বাবার একটাই ইচ্ছা—আমি যেন একজন জ্ঞানী, উচ্চশিক্ষিত ও ভালো মানুষ হই। তাঁর ইচ্ছা পূরণ করার জন্যই আমি ইউনিভার্সিটিতে পড়ছি। সবাই দোয়া করবেন, আমি যেন বাবার ইচ্ছাকে সফল করতে পারি।’
এর আগে প্রথম আলোকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে মিশা বলেছিলেন, ‘আমাদের জীবনের অন্যতম সেরা অর্জন, আমাদের দুই সন্তান। তারা বড় হচ্ছে, মানুষের মতো মানুষ হয়ে উঠছে, এটাই বড় শান্তি।’
সন্তানেরা বাবার কী ধরনের আদর্শ পেয়েছেন—এমন প্রশ্নের জবাবে মিশা বলেছিলেন, ‘আমি দেশকে ভালোবাসি, তাদের মধ্যেও সেই শিক্ষা ছড়িয়ে দিয়েছি। দেশের সংস্কৃতিকে ভালোবাসতে শিখিয়েছি। আমার পেশা অভিনয়, সেই পেশাকে তারা ভালোবাসে, সম্মান করে। কারণ, অভিনয়ের কষ্ট করা ঘামের অর্থ দিয়েই তাদের বড় করেছি, পড়িয়েছি। মানুষের প্রতি সম্মানবোধসহ যতটা পেরেছি শিক্ষা দেওয়ার চেষ্টা করেছি।’
১৯৯৩ সালের ৫ ডিসেম্বর জোবায়দা রব্বানীর সঙ্গে বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হন মিশা সওদাগর। স্ত্রীর প্রতি ভালোবাসা থেকে, স্ত্রীর ডাকনাম মিতা নামের প্রথম শব্দ ‘মি’ ও নিজের আসল নাম শাহিদ হাসানের প্রথম শব্দ ‘শা’ দিয়ে নাম রাখেন মিশা। আর দাদার নামের সওদাগর উপাধি থেকে নিজের পুরো নামকরণ করেন মিশা সওদাগর।