বিয়ে, বিচ্ছেদ ও সম্পর্কের গল্পে জোভান–নীহা, রইল ১০ ছবি
বিনোদন প্রতিবেদক
বিয়ে, বিচ্ছেদ ও সম্পর্কের গল্পে তৈরি হয়েছে নাটক ‘সহযাত্রী’। জোভান–নীহা অভিনীত নাটকটি মুক্তির পর থেকেই রয়েছে আলোচনায়। দুই দিনে এই নাটকের ভিউ ২২ লাখ পেরিয়েছে। নাটকের বিভিন্ন দৃশ্য থেকে রইল জোভান–নীহার ১০টি ছবি
ইদানীং ফারহান আহমেদ জোভানের সঙ্গে তরুণ অভিনয়শিল্পী নাজনীন নীহার নিয়মিত নাটকে কাজ করা হচ্ছে। দুজনের একটা জুটিও তৈরি হয়েছে। এই জুটির নতুন কাজ ‘সহযাত্রী’। পরিচালক এটিকে বলছেন ইউটিউব ফিল্ম।‘সিনেমাওয়ালা’ ইউটিউব চ্যানেলে ১৩ সেপ্টেম্বর মুক্তি পেয়েছে ‘সহযাত্রী’। মুক্তির পর থেকে জোভান–নীহা অভিনীত ‘সহযাত্রী’কে নিয়ে চলছে আলোচনা। পারিবারিক গল্পের এই ইউটিউব ফিল্ম একদম নতুন একটা ভাবনা নিয়ে তৈরি করা হয়েছে বলে জানান পরিচালক মুহাম্মদ মোস্তফা কামাল রাজ।
বিজ্ঞাপন
সহযাত্রী দেখার পর কেউ বলছেন, বিচ্ছেদের নয়, সম্পর্ক টিকিয়ে রাখার বার্তা এই নাটক। দাম্পত্য জীবন মানে দায়িত্ব, বোঝাপড়া আর সহনশীলতা। ব্যাপারটিকে সুন্দরভাবে ফুটিয়ে তুলেছেন পরিচালক।‘সহযাত্রী’র গল্পে দেখা যায়, নিজেদের পছন্দকে প্রাধান্য দিয়ে জয়-অবনী (জোভান-নীহা) বিয়ে করে। কিছুদিনের মধ্যে তাদের দাম্পত্য জীবনে ছোট ছোট কারণে দূরত্ব বাড়তে থাকে। একসময় তারা বিচ্ছেদের সিদ্ধান্ত নেয়। তাদের মামা জানায়, বিয়েতে যেহেতু জয়-অবনী কাউকে দাওয়াত দেয়নি, এ জন্য তাদের বিচ্ছেদ হবে মহাধুমধাম আয়োজনে। সেই বিচ্ছেদ অনুষ্ঠানের আয়োজনে গল্পের বাঁকবদল ঘটে।
বিজ্ঞাপন
‘সহযাত্রী’ প্রথমে চ্যানেল আইয়ে প্রচারিত হয়। এরপর গত শনিবার দুপুরে ‘সিনেমাওয়ালা’র ইউটিউবে মুক্তি পায়। দুদিনেই ২২ লাখের বেশি দর্শক এটি দেখেছেন।জানা গেছে, ‘সহযাত্রী’র মূল গল্প মুহাম্মদ মোস্তফা কামাল রাজের এবং এটির চিত্রনাট্য লিখেছেন জোবায়েদ আহসান। জোভান–নীহা ছাড়া এতে অভিনয় করেছেন ডা. এজাজুল ইসলাম, সুষমা সরকার, তানজিম অনিক, জেবিন, তাবাসুম ছোঁয়া প্রমুখ।‘সহযাত্রী’ দেখার পর নানাজন নানা ধরনের মন্তব্য করছেন। আজ সন্ধ্যা পর্যন্ত ইউটিউবে মন্তব্যের ঘরে জমা হয়েছে প্রায় পাঁচ হাজার মন্তব্য। মনোতোষ বিশ্বাস নামের একজন লিখেছেন, ‘সিরিয়াসলি বলছি...আমি চোখের জল ধরে রাখতে পারিনি। আমি বিবাহিত। আমাদের মাঝেও খুনসুটি, ঝগড়া হয়। প্রতিনিয়তই হয়। কিন্তু কোন মায়ায় যেন আমরা আবার এক হয়ে যাই। আমরা সকালে ঝগড়া করি কিন্তু কোন অদৃশ্য মায়ার শক্তিতে দুপুর গড়াতেই আবার দুজনই ঘুরতে বের হয়ে যাই। আর দুজনই চা খাই। ভালো থাকুক সকল জয় ও অবনী।’নাটকটি দেখে এম ডি রাব্বী নামের আরেকজন মন্তব্য করেছেন এ রকম—‘অসাধারণ একটা নাটক। অনেক সুন্দর অভিনয় করার জন্য জোভান ভাইকে অসংখ্য ধন্যবাদ। পরিচালককে অসংখ্য ধন্যবাদ এত সুন্দর একটি গল্প সবার সামনে তুলে ধরার জন্য। এভাবে যদি শত শত বিচ্ছেদের মিল হতো, সমাজটাই বদলে যেত।’তানভীর আহমেদ নামের একজন লিখেছেন, ‘বর্তমানে যে হারে বিচ্ছেদ বাড়ছে, সেখানে এই নাটক দেখার পর অনেকেই তাদের সম্পর্ক নতুনভাবে শুরু করার সাহস পাবে। এমন কাজের জন্য ধন্যবাদ টিম “সহযাত্রী”কে।’ সোনিয়া খন্দকার লিখেছেন, ‘সম্পর্ক বাঁচানোই আসল কাজ। “সহযাত্রী” যেন আমাদের ঘরের আয়না হয়ে উঠেছে, যেখানে আমরা নিজেদের ভুল দেখতে পাচ্ছি। এই সময়ে এমন শিক্ষণীয় নাটক বানানোর জন্য নির্মাতাকে স্যালুট।’‘সহযাত্রী’ নাটকের দৃশ্যে জোভান ও নীহা।