Thank you for trying Sticky AMP!!

আবার নির্বাসনে তনুশ্রী?

তনুশ্রী দত্ত

‘হ্যাশট্যাগ মি টু’র ঝড় তুলে দিয়ে দিব্যি ঘুরে বেড়াচ্ছেন বলিউড তারকা তনুশ্রী দত্ত। সম্প্রতি নবরাত্রি উৎসবে যাওয়ায় তাঁকে এ কথা শুনতে হয়েছে। তাহলে কি আবারও নির্বাসনে যাবেন তনুশ্রী? সম্প্রতি তিনি জানিয়ে দিয়েছেন, যেভাবে ভালো লাগে, সেভাবেই জীবন কাটাবেন তিনি। কারও কটূক্তিতে গৃহবন্দী থাকবেন না তিনি।

সম্প্রতি নবরাত্রি উৎসবে উপস্থিত হয়েছিলেন তনুশ্রী দত্ত। তাঁর হাস্যোজ্জ্বল মুখ দেখে অনেকেই অবাক হয়েছেন। অনেকে ভেবেছেন, এ কেমন কথা! কলঙ্কের কালি নিয়ে জনসমক্ষে ঘুরে বেড়াচ্ছে কীভাবে? এ নিয়ে কেউ কেউ মন্তব্য করেছেন সামাজিক যোগাযোগমধ্যমে। কিন্তু প্রতিবাদী তনুশ্রী উড়িয়ে দিয়েছেন সেসব মন্তব্যকারীকে।

বিবৃতিতে তনুশ্রী বলেছেন, ‘আমার নবরাত্রি উৎসবে উপস্থিত হওয়া নিয়ে যারা প্রশ্ন তুলেছে, তাদের একটু কাণ্ডজ্ঞান বিতরণ করতে চাই। অন্যায়ের প্রতিবাদ করে মুখ গোমড়া করে ঘরে বসে থাকব, আমাদের কাছে আপনারা কেন সেই প্রত্যাশা করেন? আমি কখনই এমনটি করিনি, কখনো করবও না। ১০ বছর নিয়মিত আমি নানা অনুষ্ঠানে গিয়ে আনন্দ করেছি এবং সেটা আমার জন্মগত অধিকার। আমি একুশ শতকের মেয়ে। আপনাদের আদিম মানসিকতার সঙ্গে আমার জীবনযাপন মিলবে, সেটা কীভাবে আশা করেন? ভুলে যাবেন না যে আমার একটা নিজস্ব পরিচয় আছে। আমি সাবেক মিস ইন্ডিয়া, মূলধারার বেশ কয়েকটি চলচ্চিত্রের নায়িকা এবং একজন পরিচিত মুখ। পৃথিবীতে যার নিজস্ব একটি অবস্থান আছে।’

তনুশ্রী আরও বলেন, ‘নারীরা কেন যৌন হয়রানি, ধর্ষণ ও লাঞ্ছনা নিয়ে কথা বলার সাহস পাবেন, যখন একটা সমাজ তাঁদের ওপর এ রকম অদ্ভুত নিয়মকানুন চাপিয়ে দেবে? গত ১০ বছর ধরে হর্ন ওকে প্লিজ ছবির চার নির্যাতনকারীকে দেখছি, তাঁরা ছবি করছে, নানা উৎসব-অনুষ্ঠানে যাচ্ছে, স্বাভাবিক জীবন যাপন করছে, পুরস্কার নিচ্ছে, হাসছে-খেলছে, সুনাম কুড়াচ্ছে। তাঁদের নিয়ে তো কেউ প্রশ্ন তুলছে না, কেন? এবার আমার পালা। আমি মানুষকে সচেতন করব, নিজের কাজ করব, বাইরে যাব, বন্ধু ও পরিবারের সঙ্গে সময় কাটাব। অন্ধকারে আশাহতদের আশা জাগাব এবং জাগিয়ে তুলব হৃদয়ভাঙা মানুষদের। নিজের আলো সমুজ্জ্বল রেখে সবাইকে দেখাব, আমি ছায়া থেকে তৈরি হইনি। সেসব হবে দারুণ, চমৎকার, ভয়ংকর সুন্দর। আমি ঈশ্বরের সন্তান, আমি অন্যদের থেকে আলাদা। এই ঝড়ের ভেতরেও কীভাবে শান্তিতে থাকা যায়, সমৃদ্ধ হওয়া যায়, বেড়ে ওঠা যায়, দেখে নিয়ো। শত্রুরা পায়ের নিচে পড়ে থাকবে, আমি ইগলের মতো উড়ে যাব। খারাপ লাগলে মর।’

সম্প্রতি তদন্তকারীদের কাছে অভিনেতা নানা পাটেকর, কোরিওগ্রাফার গণেশ আচার্য এবং প্রযোজক সামী সিদ্দিকী এবং পরিচালক রাকেশ সরণের মাদক সম্পৃক্ততা, মস্তিষ্ক পরীক্ষা ও মিথ্যা বলার প্রবণতা পরীক্ষা নেওয়ার দাবি করেছেন তনুশ্রী। তথ্যসূত্র: ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস