Thank you for trying Sticky AMP!!

করোনা ভ্যাকসিন গবেষণায় রক্ত দিলেন হ্যাঙ্কস দম্পতি

টম হ্যাঙ্কস ও রিটা হ্যাঙ্কস দম্পতি । ছবি: ইনস্টাগ্রাম

টম হ্যাঙ্কস ও রিটা হ্যাঙ্কস দম্পতি করোনায় আক্রান্ত হওয়ার পর চিকিৎসা নিয়েছেন ও সেরে উঠেছেন অস্ট্রেলিয়ায়। করোনার চিকিৎসার সময়ে মাথার সব চুল ফেলে দেওয়া হয়েছিল টমের। টাক মাথার টম বললেন, ‘এই তো আবার চুলগুলো বড় হচ্ছে। তবে জানেন তো, কত সুবিধা। কম সময়ে গোসল সেরে ফেলতাম।’

চিকিৎসার সময় অস্ট্রেলিয়া থেকে কী শিখলেন টম? উত্তর দিলেন, ‘শিখলাম, সেখানে ৩৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা মানে ভালো, আর ৩৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস মানে খারাপ। মানে যেভাবে হলিউড নারীদের বিচার করে আরকি।’ টম মজাও করলেন, করলেন হলিউডের পুরুষতান্ত্রিক মনোভাবের সমালোচনাও।

এনবিসি নেটওয়ার্কের জনপ্রিয় শো স্যাটারডে নাইট লাইভ অনুষ্ঠানে দুবার অস্কারজয়ী অভিনেতা টম হ্যাঙ্কস এমন মন্তব্য করে জানান দিয়েছিলেন করোনা যুদ্ধে জয়ী হয়ে স্বাভাবিক জীবনে ফিরতে খুব বেশি সময় নেননি। এবার করোনা ভ্যাকসিন গবেষণাগারে রক্ত দিয়ে তিনি আবারও যেন সত্যিকারের নায়কের পরিচয় দিলেন।

ধারণা করা হচ্ছে, যেহেতু টম হ্যাঙ্কস ও রিটা উইলসন দম্পতি করোনায় আক্রান্ত হয়ে আবার সুস্থও হয়েছেন, তাই এখন তাঁদের করোনা অ্যান্টিবডি তৈরি হয়েছে। তাই করোনা ভ্যাকসিন গবেষণাগারে রক্ত দিয়ে সহযোগিতা করলেন এই দম্পতি। বিজনেস ইনসাইডার সূত্রে জানা গেছে, করোনা যুদ্ধে জয়ী এই দম্পতি নিজেরাই কোভিড-১৯ নিয়ে গবেষণাকার্যে তাঁদের রক্ত ও প্লাজমা দেওয়া আগ্রহ প্রকাশ করেছেন। এ ব্যাপারে টম বলেন, ‘আমরা বলেছি, তোমরা কি আমাদের রক্ত চাও? আমরা কি প্লাজমা দিতে পারি? আমরা এমন এক স্থানে এটি দেব, যা কাজে লাগবে। আমি একে বলতে চাই হ্যাঙ্ক-সিন।’

টম বলেন, ‘অনেক প্রশ্নই এখন ঘুরছে। আমরা এখন কী করছি? আমাদের করার মতো কী রয়েছে? এবং সত্য হলো, আমরা লক্ষ করলাম, আমরা অ্যান্টিবডি বহন করছি।’

অস্ট্রেলিয়ায় একটি বায়োপিকের জন্য শুটিং করছিলেন, সেখানেই টম ও স্ত্রী রিটা উইলসনের করোনা অর্থাৎ ‘কোভিড-১৯’ পজিটিভ ধরা পড়ে। পরে দম্পতি মার্চ মাসের প্রথম দিকে ফিরে আসেন লস অ্যাঞ্জেলেসে এবং দুই সপ্তাহেরও বেশি সময় কোয়ারেন্টাইনে ছিলেন।