Thank you for trying Sticky AMP!!

বিয়ের পর জীবনের অর্থ খুঁজে পেয়েছেন বিবার

জাস্টিন বিবার ও হেইলি ব্যাল্ডউইন। ছবি: ইনস্টাগ্রাম

‘বিয়ের আগে জীবন ছিল অর্থহীন।’ শুনলে হয়তো অনেকে একটু অবাক হবেন, সত্যি কি এই কথা জাস্টিন বিবার বলেছেন! এটাই সত্যি, কথাটি জাস্টিন বিবারই বলেছেন। বিয়ের পরেই তিনি জীবনের অর্থ খুঁজে পেয়েছেন।

পাঁচ বছরের দীর্ঘ বিরতি ভেঙে ভালোবাসা দিবসে ভক্তদের নতুন অ্যালবাম ‘চেঞ্জেস’ উপহার দিলেন জাস্টিন বিবার। ২৫ বছর বয়সী এই কানাডীয়-মার্কিন পপ তারকার নতুন অ্যালবামের সব কটি গান তাঁর স্ত্রী হেইলি ব্যাল্ডউইনকে ঘিরে।

জাস্টিন বিবারের অ্যালবামের প্রচ্ছদ শেয়ার করে ইনস্টাগ্রামে হেইলি ক্যাপশন লেখেন, ‘অবশেষে ভক্তদের কাছে তোমার নতুন অ্যালবাম পৌঁছাল। এর চেয়ে খুশির ব্যাপার আর কী হতে পারে বলো? তোমাকে নিয়ে আমি গর্বিত, প্রিয়। দুর্দান্ত একটি অ্যালবাম উপহার দেবার জন্য তোমাকে অভিনন্দন।’ ২০১৯ সালের সেপ্টেম্বর মাসে বিয়ের আনুষ্ঠানিকতা সারেন বিবার ও হেইলি জুটি। অবশ্য এক বছর আগেই চুপি চুপি রেজিস্ট্রি করে বিয়ের আনুষ্ঠানিকতা সেরেছিলেন তাঁরা। এই ‘অল অ্যারাউন্ড মি’ তারকা বিয়ের পর সিএনএনকে বলেন, ‘বিয়ের আগে আমি কী ছিলাম, তা এখন আর ঠিক মনে পড়ে না। মাঝেমধ্যে বোঝার চেষ্টার করি, তখন আমার জীবন কেমন ছিল। একেবারে অর্থহীন।’

২০১৯ সালের সেপ্টেম্বর মাসে বিয়ের আনুষ্ঠানিকতা সারেন বিবার ও হেইলি জুটি। ছবি: এএফপি

অন্যদিকে বিবারকে নিয়ে ‘সিজনস’ নামে নির্মিত হচ্ছে ইউটিউবের ডকুমেন্টারি সিরিজ। সেখানেও সরব উপস্থিতি বিবারের জীবনসঙ্গী হেইলি ব্যাল্ডউইনের। জাস্টিন বিবারের ইউটিউব চ্যানেল থেকে প্রকাশিত ‘ইয়াম্মি’, ‘গেট মি’, ‘ইনটেনশন্স’ গানগুলো কোটি কোটিবার দেখা ও শোনা হয়েছে।

জাস্টিন বিবার ও হেইলি ব্যাল্ডউইনের বিয়ের আরেকটি ছবি। ছবি: এএফপি

২০১২ থেকে ২০৬ সাল পর্যন্ত সময়টা মোটেও ভালো যায়নি জাস্টিন বিবারের। অল্প বয়সে আকাশচুম্বী জনপ্রিয়তা, মাদকাসক্তি, গাড়ি চালানোর নিয়ম ভঙ্গ করা, পুলিশের সঙ্গে হাতাহাতি, একাধিক নারীর সঙ্গে সম্পর্ক ভাঙা–গড়ার খেলা—সব মিলিয়ে জীবনটা তছনছ হয়ে গিয়েছিল। সে রকম সময়েই বিবারের হাত শক্ত করে ধরেছিলেন হেইলি। এরপর ধীরে ধীরে দুজনে মিলে সবকিছু গুছিয়ে এনেছেন। বেইলি ইনস্টাগ্রামে সেই সময়ের কথা লিখেছিলেন এভাবে, ‘১৯ বছর বয়সে আমি মারাত্মক সব ধরনের মাদকে আসক্ত হয়ে পড়ি। আমার ব্যক্তিগত সম্পর্কে ধস নামে। আমি নারীদের সম্মান করতে পারতাম না। যারা আমাকে ভালোবাসত, আমার পাশে ছিল, একে একে তারা সবাই আমাকে ছেড়ে চলে যায়। আমি নিজের থেকে নিজেই পালিয়ে বেড়াচ্ছিলাম। মাদক আর ভুল সম্পর্কের ভেতর সমস্ত আশ্রয় খুঁজেছি।’ এরপর দীর্ঘদিন মাদকাসক্তি নিরাময় কেন্দ্রে জাস্টিন বিবারের চিকিৎসা হয়েছে। আর সেই সঙ্গে চলেছে মানসিক চিকিৎসা। আর এই দুইয়ের সঙ্গে হেইলি তো ছিলেনই।