‘ভাইস প্রিন্সিপালস’, ‘স্ট্রেঞ্জার থিংস’-এ ছোট্ট দুটি চরিত্র করেছিলেন, তবে সেগুলো ঠিক মনে রাখার মতো ছিল না। ‘আউটার ব্যাংকস’ দিয়ে প্রথম নজর কাড়েন মডেল-অভিনেত্রী ম্যাডেলিন ক্লাইন। নেটফ্লিক্সের সিরিজটিতে সারাহ ক্যামেরন চরিত্রে অভিনয় করে সারা দুনিয়ার তরুণদের প্রিয় পাত্রী বনে যান। সেই ম্যাডেলিন এবার ওটিটির গণ্ডি থেকে বের হয়ে সিনেমায়ও নিজের ছাপ রাখতে চান। গত শুক্রবারই প্রেক্ষাগৃহে মুক্তি পেয়েছে তাঁর অভিনীত নতুন সিনেমা ‘আই নো হোয়াট ইউ ডিড লাস্ট সামার’।
২৭ বছর বয়সী অভিনেত্রী এখন খ্যাতির সঙ্গে মানিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করছেন। ‘টিন ভোগ’ সাময়িকীতে দেওয়া সাক্ষাৎকারে ম্যাডেলিন বলেন, ‘আমি বরাবরই অন্তর্মুখী। নিজেকে এখনো ছোট শহরের একটা সাধারণ মেয়ে বলেই মনে করি। এত ভক্ত–অনুসারী, সংবাদমাধ্যমের সঙ্গে কথা বলা আমার জন্য একটু অস্বস্তির। তবে ‘আউটার ব্যাংকস’-এর সাফল্য আর মেট গালায় হাজির হওয়ার পর এটা আমাকে নিয়মিতই করতে হচ্ছে।’
সাক্ষাৎকারে অভিনেত্রী স্বীকার করেন, ‘আউটার ব্যাংকস’ তাঁর ক্যারিয়ারের গতিপথ যেমন বদলে দিয়েছে, তেমনি অভিনেত্রী হিসেবেও তাঁকে পরিণত করেছে। ম্যাডেলিনের ভাষ্যে, ‘সারাহ ক্যামেরনের চরিত্রটি সময়ের সঙ্গে সঙ্গে পরিণত হয়েছে নানা মানসিক ধাক্কা আর সংকটের ভেতর দিয়ে। প্রতিটি মৌসুমে সে যেন নতুনভাবে শুরু করে, সারাহর সঙ্গে আমিও ছুটে চলি।’
গত বছরের নভেম্বরে নেটফ্লিক্স জানিয়েছে, পঞ্চম মৌসুমে শেষ হবে সিরিজটি। ম্যাডেলিন মনে করেন, সিরিজটি শেষ হলেও সারাহ চরিত্রটি তাঁর মধ্যে অনেক দিন থেকে যাবে, হয়তো জীবনভর।
‘আই নো হোয়াট ইউ ডিড লাস্ট সামার’ দিয়ে হরর ঘরানায় ম্যাডেলিনের অভিষেক। এর আগে দেওয়া সাক্ষাৎকারে বলেছিলেন, হরর সিনেমা পছন্দ নয়। তবে কেন এটা করতে রাজি হলেন? ‘হররের চেয়ে আমি সাইকোলজিক্যাল থ্রিলার বেশি পছন্দ করি। তবে এ ছবি তো আইকনিক! নব্বইয়ের দশকের আলোচিত এই ফ্র্যাঞ্চাইজির সিনেমা কে না দেখেছে। এই প্রস্তাব ফিরিয়ে দেওয়া তাই কঠিন ছিল,’ বলেন ম্যাডেলিন।
জেনিফার কেটিন রবিনসন পরিচালিত ‘আই নো হোয়াট ইউ ডিড লাস্ট সামার’ মুক্তির পর সমালোচকদের কাছ থেকে মিশ্র প্রতিক্রিয়া পেয়েছে। তবে ম্যাডেলিনের পারফরম্যান্সের প্রশংসা করেছেন সবাই। সিনেমাটিতে আরও অভিনয় করেছেন জোনাহ হাউয়ের-কিং, বিলি ক্যাম্বেল, চেজ সুই ওয়ান্ডার্স। সিনেমাটি আগামী শুক্রবার ঢাকায়ও মুক্তি পাবে।