কনকচাঁপা
কনকচাঁপা

তারা কখনোই ওসমান হাদির আদর্শের হতে পারে না: কনকচাঁপা

সংগীতশিল্পী কনকচাঁপা সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে দেওয়া এক পোস্টে শহীদ ওসমান হাদির মৃত্যুকে ঘিরে সাম্প্রতিক সহিংসতা ও নৈরাজ্যের তীব্র নিন্দা জানিয়েছেন। তিনি স্পষ্ট ভাষায় বলেছেন, ওসমান হাদির নাম ব্যবহার করে যারা দেশের শিল্প, সাহিত্য ও সাংস্কৃতিক অঙ্গনে হামলা, ভাঙচুর, অগ্নিসংযোগ এবং বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করেছে, তারা কখনোই ওসমান হাদির আদর্শের হতে পারে না।

শরিফ ওসমান হাদি

ফেসবুক পোস্টে কনকচাঁপা উল্লেখ করেন, ওসমান হাদি বারবার বলেছেন—‘আমি আমার শত্রুর সঙ্গেও ইনসাফ করতে চাই।’ তাঁর এই বক্তব্যই প্রমাণ করে, ন্যায়বিচার ও মানবিক মূল্যবোধ ছিল ওসমান হাদির চিন্তার কেন্দ্রে। অথচ তাঁর মৃত্যুর প্রতিক্রিয়ায় যেসব ধ্বংসাত্মক কর্মকাণ্ড ঘটছে, তা সম্পূর্ণভাবে সেই আদর্শের পরিপন্থী বলে মন্তব্য করেন এই শিল্পী।

কনকচাঁপা

কনকচাঁপা আরও লেখেন, ওসমান হাদি সাংস্কৃতিক আগ্রাসনের বিরুদ্ধে সহিংসতার ডাক দেননি; বরং ভালো সংস্কৃতি সৃষ্টি করার আহ্বান জানিয়েছিলেন। শিল্প, সাহিত্য ও সাংস্কৃতিক প্রতিষ্ঠানগুলোতে ধ্বংসাত্মক কার্যকলাপ যারা করেছে, তারা কখনো শান্তিপূর্ণ দেশপ্রেমিক হতে পারে না বলেও মত দেন কনকচাঁপা।

কনকচাঁপা

পোস্টে ময়মনসিংহের ভালুকায় দীপু দাস নামে এক সনাতন ধর্মাবলম্বী ব্যক্তির হত্যাকাণ্ডের প্রসঙ্গও তোলেন এই সংগীতশিল্পী। তিনি লেখেন, ধর্ম অবমাননার অভিযোগে কোনো ব্যক্তিকে নৃশংসভাবে হত্যা করা কখনোই গ্রহণযোগ্য নয়। যদি সত্যিই কোনো অপরাধ হয়ে থাকে, তবে দেশের প্রচলিত আইন অনুযায়ী তাঁর ন্যায়বিচার নিশ্চিত করা উচিত ছিল। আইন নিজের হাতে তুলে নেওয়া ধর্মীয় বা নৈতিক কোনো কাজ হতে পারে না বলেও মন্তব্য করেন তিনি।

কনকচাঁপা

কনকচাঁপা দেশের সর্বস্তরের মানুষের প্রতি আহ্বান জানিয়ে বলেন, ধর্ম, মত ও আদর্শের ভিন্নতা থাকা সত্ত্বেও সবাইকে দেশের স্বাধীনতা, সার্বভৌমত্ব, শৃঙ্খলা ও শান্তি বজায় রাখতে সচেতন হতে হবে। তিনি লিখেছেন, ‘কোনো ষড়যন্ত্রকারীর উসকানি, গুজব ও ইন্ধনে দেশ ও দেশের মানুষের ক্ষতি করবেন না।’