জুলাই গণ–অভ্যুত্থানে স্ফুলিঙ্গের মতো ছড়িয়েছে হিপহপ বা র্যাপ গান। র্যাপার সেজানের ‘কথা ক’সহ বেশ কয়েকটি গান আন্দোলনে প্রেরণা জুগিয়েছে।
হিপহপ বাংলাদেশে এখন মূলধারার সংস্কৃতি হলেও তা যথাযথ সম্মান পায় না বলে মনে করেন সেজান। গত রোববার এক ফেসবুক পোস্টে তিনি লিখেছেন, ‘বাংলাদেশে হিপহপ এখন মূলধারার সংস্কৃতি হওয়া সত্ত্বেও যথাযথ সম্মানটা পায় না।’
সেজানের ভাষ্য, ‘জুলাই আন্দোলন–সম্পর্কিত যেকোনো শোয়ের ব্যাপারে আমার সঙ্গে কোনো যোগাযোগ করবেন না।’ তিনি লিখেছেন, ‘আন্দোলনে ছাত্র–জনতার সমর্থনে সর্বপ্রথম দাঁড়ায় বাংলাদেশ হিপহপ কমিউনিটির র্যাপাররা। আমাদের গ্রাফিতি আর্টিস্টরাও সেখানে মুখ্য ভূমিকা রাখে। কিন্তু বছর ঘুরতে না ঘুরতে জুলাই–সম্পর্কিত যেসব অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হইছে, সেইখানে র্যাপ বা হিপহপ আর্টিস্টদের প্রাধান্য নাই বললেই চলে।’
সেজান লেখেন, ‘আমরা কিছু জায়গায় পারফর্ম করছি। অধিকাংশ জায়গায় মনে হইছে আমরা জোর কইরা আসছি। বাকিদের কথা সবাই প্রায় ভুলেই গেছে। অথচ আমি মনে করি, হিপহপ আর্টিস্টদের একটা বড় লাইনআপ রাখা যায় প্রত্যেক শোতেই। অনেক জায়গায় কয়েকজনকে রাখা হইলেও নামমাত্র সম্মান ও সম্মানী অফার করা হয় অন্যান্য ব্যান্ড বা শিল্পীদের তুলনায়।’
সেজানের ভাষ্য, ‘যে শোগুলাতে আমি কথা দিয়া রাখছি, ওইগুলা শেষ করার পর প্রোপার লাইনআপ মেইনটেইন করে আমাকে ডাকবেন। আর শোতে আর্টিস্টের প্রোপার প্রটোকল দেওয়ার ব্যবস্থা করবেন। অন্যথায় অযথা নিজের ও আমার সময় নস্ট করবেন না কেউ আশা করি।’