সালমা, সুমি ও বিউটি। কোলাজ
সালমা, সুমি ও বিউটি। কোলাজ

‘আমরা অভিভাবকশূন্য হয়ে যাচ্ছি’

ফরিদা পারভীনের মৃত্যুতে শোকাহত তরুণ সংগীতশিল্পীরা। এই সময়ের তিন সংগীতশিল্পীর সঙ্গে কথা বলেছে প্রথম আলো।

নিগার সুলতানা সুমি
লোকগীতি নিয়ে অনেকেই কাজ করেছেন, কিন্তু লালনগীতিকে দেশ ও বাইরে ছড়িয়ে দিয়েছেন ফরিদা (পারভীন) আপা। শুধু বাংলাভাষী মানুষ নয়, অন্য ভাষার মানুষের ঘরেও পৌঁছে গিয়েছিলেন তিনি। বিশ্বব্যাপী লালন সাঁইজির বাণী তিনিই পৌঁছে দিয়েছিলেন। শৈশবে পল্লিগীতি আর ক্ল্যাসিক্যাল গাইতাম, তাঁর গান শুনেই লালনগীতির প্রতি আকৃষ্ট হই। হারানোর কিছু নেই, ফরিদা (পারভীন) আপা হারাননি। তিনি আমাদের মধ্যে ছিলেন, আছেন, থাকবেন। যত দিন বাংলা গান তথা লালনগীতি পৃথিবীতে থাকবে, ফরিদা আপাও থাকবেন।

সালমা আক্তার
ফরিদা (পারভীন) আপা আর আমি দুজনই কুষ্টিয়ার মেয়ে, আবার দুজনই লালন সাঁইজির গান করি। তাঁর সঙ্গে স্টেজ শেয়ার করার কপাল আমার হয়নি, শুধু একবারই দেখা হয়েছে। তবে সব সময় মনে হয়েছে, ওনার ছায়া আমার মাথায় আছে। তাঁকে হারানো বাংলা সংগীতের জন্য অপূরণীয় ক্ষতি। একটা সাজানো ফুলবাগানে এসেছিলাম। একেকটা ফুল ঝরে যাচ্ছে। আমরা অভিভাবকশূন্য হয়ে যাচ্ছি। অনেকেই ভালোবেসে আমাদের লালনকন্যা বলে থাকেন। কিন্তু আমার নিজস্ব মতামত, লালনকন্যা ফরিদা পারভীন, তাঁর কাছে আমরা কিছুই নই।

নাসরিন আক্তার বিউটি
ছোটবেলায় যখন গান শিখেছি, বুঝতে শিখেছি; এই মানুষটার গান শুনেই কিন্তু গানের জগতে এসেছি, গান ধারণ করার চেষ্টা করেছি। এ মানুষটাকেই অনুসরণ করেছি। এই মানুষটার গান না শুনলে লালনের গানে আসতাম কি না, জানি না। উনি দেশে ও বিদেশে যেভাবে লালন সাঁইয়ের গানকে সমৃদ্ধ করেছেন, তা অভাবনীয়।