সলিল চৌধুরীর গান মানে যেন শুধু কোনো একটা গান নয়, একসঙ্গে অনেক গানের ঠাসবুনটে তৈরি এক অপূর্ব বিশাল সমাবেশ। যেন একটি বিরাট রঙিন কার্পেট, যা বাইরে থেকে দেখে একক মনে হলেও তার মধ্যে থাকে অসংখ্য রঙিন সুতার সূক্ষ্ম নকশা।
প্রকৃতির সুর
পশ্চিমবঙ্গের চব্বিশ পরগনা জেলার চিংড়িপোটা গ্রামে জন্মেছিলেন সলিল চৌধুরী। শৈশবের অধিকাংশ সময় কেটেছে আসামের চা–বাগানে। সেখানে তাঁর বাবা জ্ঞানেন্দ্রনাথ চৌধুরী চিকিৎসক হিসেবে কাজ করতেন; নিজেও সংগীতের প্রতি গভীর অনুরাগী ছিলেন। ছোটবেলায়, চার-পাঁচ বছর বয়সে চা–শ্রমিকদের গান, গ্রামীণ সংগীত এবং আসামি লোকগান দ্বারা তিনি গভীরভাবে প্রভাবিত হন। অন্যদিকে বাবার সংগ্রহের বাখ, বিটোফেন ও মোজার্টের গ্রামোফোন রেকর্ড তাঁকে পাশ্চাত্য ক্ল্যাসিক্যাল সংগীতের প্রতিও আগ্রহী করে তোলে। পাশাপাশি প্রকৃতির রহস্যময় সুর, বনের পাতার মর্মর শব্দ আর পাখির ডাক শুনতে শুনতে বড় হয়েছেন তিনি।
সিনেমার সলিল
পঞ্চাশের দশকে বাঙালি শ্রোতা যখন সলিল চৌধুরীকে চিনে ফেলেছেন, তখন তিনি পাড়ি দিলেন মুম্বাই। সলিল চৌধুরীর লেখা ‘রিক্সাওয়ালা’ গল্প অবলম্বনে পরিচালক বিমল রায় তৈরি করেছেন ‘দো বিঘা জমিন’। ছবির চিত্রনাট্যকার সলিল চৌধুরী পেলেন সুরকার হিসেবেও দায়িত্ব। গীতিকার শৈলেন্দ্রর কথায় সুর দিলেন সলিল। আসমুদ্র হিমাচল সেই সুর মানুষের মুখে মুখে ছড়িয়ে পড়ল, ‘ধরতি কহে পুকারকে,/ বীজ বিছালে প্যার কে, /মৌসম বিতা যায়, মৌসম বিতা যায়...’।
এরপর ‘মধুমতী’ সিনেমার গানগুলোতে ‘আজা রে পরদেশী’, ‘চড় গয়ি পাপি বিছুয়া’, ‘দিল তড়প তড়প কে কহে রহা হ্যায়’, ‘ঘড়ি ঘড়ি মেরা দিল ধড়কে’, ‘সুহানা সফর ঔর ইয়ে মৌসম হাসিন’ আলোচিত হয়। এরপর হিন্দি ছবির গানে সলিল চৌধুরীকে থামানো যায়নি। ‘আনন্দ’, ‘ছায়া', ‘পরখ’, ‘মেরে আপনে’ ইত্যাদি ছবিতে জনপ্রিয় হয়েছিল সলিল চৌধুরীর সুর।
পরে তিনি পশ্চিমা সংগীত ও ফিউশন করে সৃষ্টিকে প্রসারিত করেছিলেন; কিন্তু বাঙালি লোকসংগীতের যোগ বজায় রেখেছিলেন আজীবন। দীর্ঘ ক্যারিয়ারে ৭৫টি হিন্দি সিনেমা ছাড়াও সুরারোপ করেছেন ৪১টি বাংলা সিনেমায়।
সিনেমার গান নিয়ে বলেছিলেন, ‘বছরের পর বছর নিজস্ব সংস্কৃতি তৈরি করেছে চলচ্চিত্র সংগীত। তাই যদিও চলচ্চিত্রগুলো ভিন্ন ভাষায় তৈরি হয়, গানগুলো সেই ভাষা না জেনেও শ্রোতাদের কাছে জনপ্রিয় হয়ে ওঠে। আমি ১৩টি ভাষায় গান রচনা করে দেখেছি, গানগুলোর কথা যতই সাধারণ হোক না কেন, মানুষ সংগীতকে গ্রহণ করে। এভাবেই একটি বিশেষ ও সর্বজনীন পরিচয় পায় চলচ্চিত্রের সংগীত।’
সংগীতশিল্পী হৈমন্তী শুক্লা মনে করেন, সলিল চৌধুরী নিজের সময়ের থেকে অনেক বেশি এগিয়ে ছিলেন। তিনি বলেন, ‘উনি সেই সময় যে গান করে গিয়েছেন, তা আজকের দিনে ভীষণভাবে প্রযোজ্য। যেমন ওয়েস্টার্ন, তেমনি ইন্ডিয়ান ক্লাসিক্যালে ওর খুব দখল ছিল।’
বিপ্লবের সুর আর সমালোচনা
সলিল চৌধুরী ছিলেন ইন্ডিয়ান পিপলস থিয়েটার অ্যাসোসিয়েশনের (আইপিটিএ) সক্রিয় সদস্য। বাম আদর্শকে তাঁর সংগীত থেকে আলাদা করতে পারতেন না। তাঁর সংগীত যে বামপন্থী রাজনীতি দ্বারা প্রভাবিত ছিল, সে কথা নিজেও স্বীকার করেছেন। গণসংগীত রচনার মাধ্যমে তাঁর গানের জগতে প্রবেশ। ১৯৪৫ সালে বিদ্যাধরী নদীর ভয়াবহ বন্যায় আক্রান্ত চাষিভাইদের জন্য প্রশাসনের বিরুদ্ধে তিনি তৈরি করেছেন তার প্রথম গণসংগীত, ‘দেশ ভেসেছে বানের জলে/ ধান গিয়েছে মরে।’
এই একই সময়ে কৃষক আন্দোলনে সক্রিয় কৃষকদের হয়ে তিনি তৈরি করেছেন, ‘পৌষালি বাতাসে পাকা ধানের বাসে’, ‘আয় বৃষ্টি ঝেঁপে/ ধান দেব মেপে’, ‘তোমার বুকে খুনের চিহ্ন খুঁজি এই আঁধারের রাতে’।
১৯৪৬ সালের নৌ বিদ্রোহ সমর্থন করে সলিল লিখলেন ‘ঢেউ উঠছে/ কারা টুটছে’। সলিলের আত্মজীবনীতে লেখা হয়েছে, ‘কমরেড বীরেশ মিশ্র ডেকে বললেন, উত্তরবঙ্গের রেলশ্রমিকদের মধ্যে ঘুরেফিরে গান বাঁধতে হবে। রেলগাড়ির চাকার শব্দে যে ছন্দের স্পন্দন, তা থেকেই গান তৈরি হলো “ঢেউ উঠছে/ কারা টুটছে/ আলো ফুটছে/ প্রাণ জাগছে, জাগছে, জাগছে।”’
তেভাগা আন্দোলনে সলিল গান বাঁধলেন, ‘হেই সামালো ধান হো’, ‘মানবো না এ বন্ধনে’, ‘ও আলোর পথযাত্রী’। যুদ্ধ ও দুর্ভিক্ষের পটভূমিতে ‘বিচারপতি তোমার বিচার’, ‘ও আলোর পথযাত্রী’, ‘জন্মভূমি’, ‘হাতে মোদের কে দেবে’, ‘কোনো এক গাঁয়ের বধূ’, ‘কালো মেয়ে’, ‘তেলের শিশি ভাঙলো বলে’ ও ‘শান্তির গান’ প্রভৃতি অনবদ্য স্মরণীয় গান রচনা ও সুরকার হিসেবে প্রভূত খ্যাতি অর্জন করেন।
বিদেশি ক্যয়ারের ধারায় আকৃষ্ট হয়ে সলিল বোম্বে ইয়ুথ কয়্যার তৈরি করেন। এরপর ক্যালকাটা ইয়ুথ কয়্যার ও ন্যাশনাল ইয়ুথ ক্যয়ার তৈরি করতে হাত লাগান। ১৯৭৯ সালে তাঁর উদ্যোগে তৈরি হয় ক্যালকাটা কয়্যার৷ তারপর সলিল তৈরি করলেন কলকাতা কয়্যার। ৪৬ বছরে পা দিয়েছে কলকাতা কয়্যার। ক্যালকাটা কয়্যারের ডিরেক্টর তথা সুরকার কল্যাণ সেন বরাট বলন, যে ধারা সলিল চৌধুরী গণসংগীতে নিয়ে এসেছিলেন, সেটি কয়্যারের ধারা। যেটি এসেছে ইউরোপিয়ান চার্চ থেকে। সেই ধর্মীয় সংগীতের ধারাকে সেকু৵লারভাবে ব্যবহার করে বোম্বে ইয়ুথ কয়্যার তৈরি করেন। গণনাট্য সংঘে এই অভিনব ধারার প্রচলন করেন। সলিলদা এখানে কয়্যার গানের জনক। সলিলদার সব গানেই, এমনকি আধুনিক গানেও সব সময় একটা প্রগতিশীল দৃষ্টিভঙ্গি থাকত।’
১৯৪৯ সালে সাধারণ মানুষের মুখে সলিল চৌধুরীর নাম ছড়িয়ে পড়লে যখন হেমন্ত মুখোপাধ্যায় রেকর্ড করলেন ‘কোনো এক গাঁয়ের বধূ’। বিষয়, সুর ও আঙ্গিকে একদমই স্বতন্ত্র এই গান। এরপর ‘অবাক পৃথিবী’, ‘রানার‘, ‘ঠিকানা’, ‘পালকি চলে’ ইত্যাদি কবিতাতে সুর সংযোজন করেন তিনি।
গণসংগীতের ধারাতে নবজোয়ার আনে হেমন্ত-সলিল জুটির ‘ধিতাং ধিতাং বোলে’, ‘পথে এবার নামো সাথি’। জনপ্রিয় হয় ‘শোনো কোনো একদিন’, ‘দুরন্ত ঘূর্ণির’, ‘আমি ঝড়ের কাছে’, ‘আমায় প্রশ্ন করে’ ইত্যাদি গান।
সলিল চৌধুরী ছিলেন এমন এক সংগীত পরিচালক, যিনি প্রায় সব ধরনের বাদ্যযন্ত্র বাজাতে পারতেন। রাজ কাপুর একবার বলেছিলেন, সলিলদা এমন প্রতিভাধর যে তবলা থেকে সরোদ, পিয়ানো থেকে পিকোলো—সবই বাজাতে পারতেন। সলিলদা ভারতীয় জনপ্রিয় সংগীতকে শিখিয়েছিলেন, কীভাবে ব্যতিক্রমী পাশ্চাত্য বাদ্যযন্ত্র ব্যবহার করা যায়। তিনি ব্যবহার করেছিলেন ওবো, ফ্রেঞ্চ হর্ন, ম্যান্ডোলিন, স্যাক্সোফোন ইত্যাদি।’ এমন অভিযোগ অনেকবারই উঠেছে যে সলিল চৌধুরীর গানে পশ্চিমা প্রভাব বেশি। তিনি নিজে এ প্রসঙ্গে বলেছিলেন, ‘হারমোনিয়ামও মূলত পশ্চিমা বাদ্যযন্ত্র। সময়ের স্বাদ অনুযায়ী সংগীতকে সব সময় নতুন রূপে রূপান্তরিত হতে হবে। তবে এই যাত্রায় নিজের ঐতিহ্য ভুলে যাওয়া উচিত নয়।’
আধুনিক বাংলা গানে
সলিলের সুরে লতা মঙ্গেশকরের গান কে না শুনেছে, ‘উজ্জ্বল একঝাঁক পায়রা’, ‘আয় বৃষ্টি ঝেঁপে’, ‘মনের বসন্ত এসো’, ‘সাত ভাই চম্পা, ‘না যেয়ো না’, ‘ওগো আর কিছু তো নাই’, ‘ও মোর ময়না গো’, ‘পামাগারেসা’। এসব গানের প্রসঙ্গে হৈমন্তী বলেন, ‘ছোটবেলায় ওর তৈরি লতাজির গাওয়া “আজ নয় গুনগুন”, “ও বাঁশি কেন” আমরা নিজেরাই গাইতাম। তখন তাঁকে চিনতাম না৷’
সলিল চৌধুরীর শাস্ত্রীয় সংগীতের সঙ্গে পাশ্চাত্য সংগীত মেশানোর রীতি কেমন লাগত? হৈমন্তী বলেন, ‘খুব ভালো লাগত। এত ভালো লাগত যে বলে বোঝানো যাবে না। “মন বন পাখি চন্দনা” গানটা একাধারে শাস্ত্রীয় ও ওয়েস্টার্ন। এই গানটাতে খুব তান সারগম ছিল। উনি গানটা রেকর্ডের পর ছেলেমানুষি করে বলেছিলেন, “তোর ওস্তাদদের এই গানটা একটু শুনিয়ে দিস, গানটা কেমন বানিয়েছি!”’
সলিল চৌধুরীর সুরে বাংলা গান গেয়েছেন কিশোর কুমার, মান্না দে, শ্যামল মিত্র, সন্ধ্যা মুখোপাধ্যায়, সবিতা চৌধুরী, দ্বিজেন মুখোপাধ্যায়, ধনঞ্জয় ভট্টাচার্য, প্রতিমা বন্দ্যোপাধ্যায়, জটিলেশ্বর মুখোপাধ্যায়, সুবীর সেন, পিন্টু ভট্টাচার্য, অনুপ ঘোষাল, সাগর সেন, অরুন্ধতী হোম চৌধুরী প্রমুখ প্রথিতযশা সংগীত শিল্পী।
ছোটদের গান
একসময় বাঙালির শৈশব মানে বাড়িতে সলিল চৌধুরীর ছোটদের গানের ক্যাসেট অবশ্যই থাকবে। সেই ক্যাসেটের ওপর থাকত অল্প বয়সি অন্তরা চৌধুরীর হাসিমুখ। ‘বুলবুল পাখি ময়না টিয়ে’, ‘সোনা ব্যাঙ ও কোলা ব্যাঙ’, ‘এক যে ছিল মাছি’, ‘হবু চন্দ্র গোবু চন্দ্র’, ‘পুজোর গন্ধ এসেছে’, ‘ইসকাবনের দেশে’, ‘খুকুমণি গো সোনা’, ‘ও মাগো মা’ ইত্যাদি গান বাঙালি শিশুদের কাছে এখনো সমান জনপ্রিয়।
সলিলকন্যা গায়িকা অন্তরা চৌধুরী বলেন, ‘অন্যান্য গানের মতোই সলিল চৌধুরীর ছোটদের গানে শুধু প্রাঞ্জল ভাষা বা স্বচ্ছ ধারণা নয়, তার মধ্যে মানুষের কথা ও সামাজিক বার্তা থাকে। পাশাপাশি বাবার যে সুর, এটা একটা আলাদা মাত্রা এনে দিয়েছে গানে। আমার মতে এই গান চিরকাল থাকবে। বাচ্চারা এখনো এই গানগুলো খুব মজা করে গায়। এই গান কোনোদিন পুরোনো হবে না।’
টেবিল টেনিসের নেশা
অনেকেই তাঁকে সুরের গুরু মনে করেন। বাংলা গানে হেমন্ত-সলিল জুটি বা লতা-সলিলের গান শ্রোতাদের কাছে চিরকাল প্রিয় থাকবে। খ্যাপাটে স্বভাবের জন্যও পরিচিত ছিলেন সলিল চৌধুরী। গুলজার যেমন নিজের লেখায় জানিয়েছেন, তিনি দেখেছেন, টেবিল টেনিস খেলা মানুষটা পরক্ষণেই কেমন করে পিয়ানো নিয়ে সুর তুলতে মগ্ন হয়ে পড়লেন। এমনই ছিল সলিলের ‘সৃষ্টিশীল খ্যাপামি’।
সলিল চৌধুরীর সুর করা ‘কোনো এক গাঁয়ের বধূর কথা তোমায় শোনাই শোনো’ গান প্রসঙ্গে জানা যায়, এক রাতে শ্যামল মিত্রের বাড়িতে থাকাকালে হঠাৎ নাকি ঘুম থেকে উঠে হারমোনিয়াম নিয়ে বসে ‘ডাকিনী যোগিনী এল শত নাগিনী’ অংশটির সুর করতে লেগে পড়েন। গানটির এটি দ্বিতীয় অংশ। তার আগপর্যন্ত প্রথম অংশেরই সুরটা তৈরি হয়েছিল। বাকিটা হয়ে ওঠেনি। পরে হৈমন্তী শুক্লাও সলিলের চরিত্রের এই বিশেষ দিকের কথা উল্লেখ করেছেন। ‘ভালোবাসি বলেই ভালোবাসি বলি না’ গানটি টানা তাঁকে দেননি। দিয়েছেন ধাপে ধাপে। সলিল চৌধুরীর গানে আরও একটা উল্লেখযোগ্য দিক হলো, তাঁর ছন্দের ব্যবহার। এ বিষয়ে তাঁকে বাংলা গানের সত্যেন্দ্রনাথ দত্ত বলা চলে।
বাংলাদেশ–যোগ
সলিল চৌধুরীর বিপ্লবী শিল্পীসত্তা বিশ্বের বিভিন্ন মুক্তিকামী জনতার সপক্ষে সর্বদা সোচ্চার থাকত। বাংলাদেশের অভ্যুদয়েও সলিলের গান রেখেছে প্রেরণাদায়ক ভূমিকা। ১৯৭১ সালের সেই অগ্নিঝরা দিনগুলোতে স্বাধীন বাংলা বেতারকেন্দ্র থেকে প্রতিদিন বেজেছে ‘বিচারপতি তোমার বিচার করবে যারা’,‘মানবো না এ বন্ধনে’, ‘ও আলোর পথযাত্রী’ ‘আমার প্রতিবাদের ভাষা’ এসব গান।
বাংলাদেশের দুটি চলচ্চিত্র সলিল চৌধুরী সংগীত পরিচালনা করেন। ১৯৭২ সালে মমতাজ আলী পরিচালিত মুক্তিযুদ্ধভিত্তিক চলচ্চিত্র ‘রক্তাক্ত বাংলা’ ও ১৯৭৯ সালে আলমগীর কবির পরিচালিত ‘রূপালী সৈকতে’। ‘রক্তাক্ত বাংলা’ চলচ্চিত্রে ‘ও দাদাভাই’ জনপ্রিয় এই গান বাংলাদেশে লতা মঙ্গেশকরের গাওয়া একমাত্র গান। দুটি ছবিতে মোট আটটি গান ছিল, যেগুলোর শিল্পী ছিলেন মান্না দে, লতা মঙ্গেশকর, শ্যামল মিত্র, তালাত মাহমুদ ও সবিতা চৌধুরী।
ব্যক্তি সলিল
১৯৫২ সালে চিত্রকর জ্যোতি চৌধুরীকে বিয়ে করেন সলিল চৌধুরী। তাঁদের তিন সন্তান। পরে গায়িকা সবিতা চৌধুরীকে বিয়ে করেন, এই সংসারে তাঁদের দুই সন্তান।
১৯৯৫ সালের ৫ সেপ্টেম্বর ৬৯ বছর বয়সে কলকাতায় মৃত্যু হয় সলিল চৌধুরীর।
ডয়েচে ভেলে, দ্য হিন্দু, দ্য মিন্ট, আনন্দবাজার পত্রিকা অবলম্বনে