অসুস্থ মায়ের কাছে ছুটে এলেন শ্রাবন্তী

ইপসিতা শবনম শ্রাবন্তী। ছবি: প্রথম আলো
ইপসিতা শবনম শ্রাবন্তী। ছবি: প্রথম আলো

শ্রাবন্তীর মা অনেক দিন ধরেই অসুস্থ। সম্প্রতি তাঁর অবস্থা গুরুতর হয়ে উঠেছে। মায়ের শারীরিক অবস্থার অবনতির খবর পেয়ে যুক্তরাষ্ট্র থেকে বাংলাদেশে ছুটে এসেছেন শ্রাবন্তী। ইতিমধ্যে তাঁর মা মাহমুদা সুলতানাকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

মাকে দেখার জন্য মনটা ছটফট করছিল শ্রাবন্তীর। প্রতিনিয়ত দেশে ফেরার উপায় খুঁজছিলেন। একপর্যায়ে টিকিট জোগাড় করে দুই সন্তানকে নিয়ে তিনি ছুটে এসেছেন দেশে। জন এফ কেনেডি বিমানবন্দরে বসে ফেসবুকে তিনি লিখেছেন, ‘আম্মাকে দেখার অপেক্ষা...।’

ইপসিতা শবনম শ্রাবন্তী। ছবি: প্রথম আলো

সন্তানদের নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্কে বাস করছেন একসময়ের তারকা মডেল ও অভিনয়শিল্পী শ্রাবন্তী। অসুস্থ মায়ের পাশে থেকে তাঁর সেবা করবেন, এটাই তাঁর ইচ্ছে। আজ সোমবার সকালে ফেসবুকে মায়ের জন্য সবার কাছে দোয়া চেয়েছেন তিনি। শ্রাবন্তীর মা মাহমুদা সুলতানা লিভার সিরোসিস, ডায়াবেটিসে ভুগছেন। মাকে দেখতে গত ৯ অক্টোবর দিবাগত রাতে নিউইয়র্ক থেকে ঢাকায় পৌঁছান শ্রাবন্তী। এসেই ছুটে যান বগুড়ায়। প্রথম আলোকে শ্রাবন্তী বলেন, ‘বগুড়ার একটি হাসপাতালে আম্মার চিকিৎসা চলছে। তাঁর অবস্থা খুব একটা ভালো না। অনেক আগে থেকেই আম্মা ডায়াবেটিস ও লিভারের সমস্যায় ভুগছিলেন। এখন শরীরটা আরও বেশি খারাপ হয়ে গেছে। মায়ের এমন অবস্থা শুনে আর থাকতে পারিনি। মায়ের পাশে আছি, সেবা করছি—এটাই স্বস্তি।’

মেয়ের সঙ্গে শ্রাবন্তী। ছবি: সংগৃহীত

প্রায় পাঁচ বছর হলো যুক্তরাষ্ট্রে বসবাস করছেন শ্রাবন্তী। তাঁর মা-বোনেরা বাংলাদেশে। যুক্তরাষ্ট্রে যাওয়ার কিছুদিন পরে শ্রাবন্তী কাজ নিয়েছিলেন ওয়ালমার্টে। এক বছর পর সেটা ছেড়ে দেন। এক সাক্ষাৎকারে তিনি প্রথম আলোকে জানিয়েছিলেন, আমেরিকায় কোনো কাজই ছোট না, তারপরও ওয়ালমার্টে কাজ করতে তাঁর ভালো লাগত না। সে কারণেই সেটা ছেড়ে মেডিকেল সহকারীর স্বল্পমেয়াদি একটি কোর্সে ভর্তি হয়েছিলেন। এই কাজের লাইসেন্স থাকলে আর্থিকভাবে স্বাবলম্বী হওয়া তাঁর জন্য সহজ হবে, এই ছিল তাঁর আশা। ইতিমধ্যে কোর্সটি সম্পন্ন করেছেন তিনি।

প্রসঙ্গত, মডেল ও অভিনেত্রী হিসেবে একসময় ব্যাপক জনপ্রিয় ছিলেন ইপশিতা শবনম শ্রাবন্তী। অভিনয় দিয়ে জয় করেছিলেন দর্শকহৃদয়। আলোচনায় এসেছিলেন ‘জোছনার ফুল’ ধারাবাহিক নাটক দিয়ে। এ ছাড়াও ‘রং নাম্বার’ এবং ‘ব্যাচেলর’ সিনেমায় অভিনয় করে বেশ প্রশংসিত হয়েছিলেন। গত পাঁচ বছরে দুবার বাংলাদেশে এসেছিলেন তিনি। তাঁর বড় মেয়ে রাবিয়া আলম থার্ড গ্রেডে, ছোট মেয়ে আরিশা আলম কিন্ডারগার্টেনে পড়ে। দুই মেয়ের বাবা বাংলাদেশে থাকেন।